Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

অণুগল্প ।। সেই আরতি আজ ।। উম্মেসা খাতুন

 


  রঞ্জন তার মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে এসেছে। হার্ট স্পেশালিস্ট ডা: অতনু মুখার্জির কাছে। পনেরো নম্বরে নাম পড়েছে। এখন চার নম্বর চলছে। তারমানে পেতে এখনও দেরি আছে।
   অতএব রঞ্জন তার মাকে নিয়ে ওয়েটিং রুমে বসল। আরও অনেক পেশেন্ট বসে আছে তাদের সঙ্গে।তার মায়ের নম্বর এলে আপনি ডাকবে। যেভাবে আগের পেশেন্টদের ডেকে ডেকে ঢোকাচ্ছে।আর তক্ষুনি তার মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল। রঞ্জন নম্বর দেখে ফোনটা রিসিভ করল,"হ‍্যাঁ মা বল,কেমন আছিস?"
   রঞ্জনের এই মা হল, রঞ্জনের মেয়ে।নাম আরতি।দিল্লিতে থাকে। ওখানে সে পড়াশোনা করে। এ বছর সে আই পি এস পরীক্ষায় বসেছে। পাশ করতে পারলেই জুটে যাবে তার কপালে সম্মানজনক একটা বিরাট চাকরি। আর তার দরুন দেশের সর্বত্র তার নাম ছড়িয়ে পড়বে। সবাই তাকে চিনবে এবং জানবে। রঞ্জনও নিজেকে একজন আই পি এস মেয়ের বাবা বলে পরিচয় দিতে পারবে। এ কী কম আনন্দ আর গর্বের কথা!কিন্তু সেই দিনটি কবে যে আসবে!
   আরতি বলল,"আমি ভালো আছি বাবা, খুব ভালো আছি।আই পি এস পরীক্ষায় আমি পাশ করেছি।"
   রঞ্জনের এই একটিই মাত্র মেয়ে। এই একটি ছাড়া তার আর কোন সন্তান নেই। না কোন ছেলে, না কোন মেয়ে।নিলে অবশ্যই হতো। কিন্তু রঞ্জন আর নেয়নি। পরে আবার যদি মেয়ে হয় এই বলে। কারণ,কন‍্যা সন্তান রঞ্জনের মোটেও পছন্দ ছিল না। আরতির জন্ম হওয়ার পর তাই সে তাকে হাসপাতালে চোখের দেখাটা পর্যন্ত দেখতে যায়নি। বরং মনে মনে সে তার মৃত্যুই কামনা করেছিল,মৃত‍্যুই। সেই আরতি আজ...
   রঞ্জনের দু'চোখ জলে ভরে গেল।
                           ---------------

উম্মেসা খাতুন, গ্রাম-দেবীপুর, পোস্ট:-মদনপুর, থানা:-দৌলতাবাদ।মুর্শিদাবাদ।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক