Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

ছবি
  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

অণুগল্প ।। সেই আরতি আজ ।। উম্মেসা খাতুন

 


  রঞ্জন তার মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে এসেছে। হার্ট স্পেশালিস্ট ডা: অতনু মুখার্জির কাছে। পনেরো নম্বরে নাম পড়েছে। এখন চার নম্বর চলছে। তারমানে পেতে এখনও দেরি আছে।
   অতএব রঞ্জন তার মাকে নিয়ে ওয়েটিং রুমে বসল। আরও অনেক পেশেন্ট বসে আছে তাদের সঙ্গে।তার মায়ের নম্বর এলে আপনি ডাকবে। যেভাবে আগের পেশেন্টদের ডেকে ডেকে ঢোকাচ্ছে।আর তক্ষুনি তার মোবাইল ফোনটা বেজে উঠল। রঞ্জন নম্বর দেখে ফোনটা রিসিভ করল,"হ‍্যাঁ মা বল,কেমন আছিস?"
   রঞ্জনের এই মা হল, রঞ্জনের মেয়ে।নাম আরতি।দিল্লিতে থাকে। ওখানে সে পড়াশোনা করে। এ বছর সে আই পি এস পরীক্ষায় বসেছে। পাশ করতে পারলেই জুটে যাবে তার কপালে সম্মানজনক একটা বিরাট চাকরি। আর তার দরুন দেশের সর্বত্র তার নাম ছড়িয়ে পড়বে। সবাই তাকে চিনবে এবং জানবে। রঞ্জনও নিজেকে একজন আই পি এস মেয়ের বাবা বলে পরিচয় দিতে পারবে। এ কী কম আনন্দ আর গর্বের কথা!কিন্তু সেই দিনটি কবে যে আসবে!
   আরতি বলল,"আমি ভালো আছি বাবা, খুব ভালো আছি।আই পি এস পরীক্ষায় আমি পাশ করেছি।"
   রঞ্জনের এই একটিই মাত্র মেয়ে। এই একটি ছাড়া তার আর কোন সন্তান নেই। না কোন ছেলে, না কোন মেয়ে।নিলে অবশ্যই হতো। কিন্তু রঞ্জন আর নেয়নি। পরে আবার যদি মেয়ে হয় এই বলে। কারণ,কন‍্যা সন্তান রঞ্জনের মোটেও পছন্দ ছিল না। আরতির জন্ম হওয়ার পর তাই সে তাকে হাসপাতালে চোখের দেখাটা পর্যন্ত দেখতে যায়নি। বরং মনে মনে সে তার মৃত্যুই কামনা করেছিল,মৃত‍্যুই। সেই আরতি আজ...
   রঞ্জনের দু'চোখ জলে ভরে গেল।
                           ---------------

উম্মেসা খাতুন, গ্রাম-দেবীপুর, পোস্ট:-মদনপুর, থানা:-দৌলতাবাদ।মুর্শিদাবাদ।

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল