গাঁয়ের উপকণ্ঠে
গোপা সোম
যাচ্ছে দেখা দূরে ওই, ছোট্ট এক খানি গাঁ,
স্বল্প পরিসরে জমি, নিয়ে কয়েক বিঘা।
গাঁয়ের উপকণ্ঠে আছে বিশাল পুষ্করিণী,
গাঁয়ের যত মানুষ, সবে, তার কাছে ঋণী।
ঘাট গুলি বাঁধানো , সুন্দর তার সোপান,
শান্ত জলে মুগ্ধ, পাই গভীর এক টান।
স্বচ্ছ, পরিষ্কার জল তার, করে টলটল,
তরঙ্গায়িত জলস্তর, বাতাস পরিমল।
সেই পুষ্করিণীতে হয় হরেক মাছের চাষ,
এছাড়া, কিছু জলজ প্রাণীর আছে এতে বাস।
সাঁতার কাটে কাতলা, মৃগেল, জলে তরতাজা
শোল আছে, রুই মাছ আছে, মাছেদেরই রাজা।
ছিপ নিয়ে মাছ ধরে কেউ, সারা দিনমান ধরে,
টোপ বানায় মাছের তরে, অনেক যতন করে।
মাঝে মধ্যেই জেলেরা, পুকুরে ফেলে জাল,
টাটকা তাজা মাছগুলি, হয় যে নাকাল।
গাঁয়ের মানুষ, সুলভে পায় পুষ্টির উপাদান,
বাড়তি মাছ গুলি সকল বাজারে হয় চালান।
স্নান করা, বাসন মাজা, নিষেধ আছে সেথা,
গ্রামবাসীরা পালন করে সাধ্যমত যথা।
মাঝে মাঝে মাছরাঙা পাখি দেয় জলে ডুব,
মাছ মুখে নিয়ে উঠে আসে, আনন্দিত খুব।
বক ধার্মিক, আশায় থাকে, মাছের প্রতীক্ষায়,
মাছের দেখা মিললে পরে, ছোঁ মেরে নিয়ে যায়।
পুষ্করিণী ঐ গাঁয়ের মানুষের অনেক আশা-ভরসা,
শান্ত, সুনিবিড় ছায়াতলে সে, মনোরম, সুন্দর খাসা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন