ফুটবলের রাজপুত্র
আনন্দ বক্সী
ফুটবল ছিল ধ্যান-জ্ঞান ফুটবল ছিল প্রাণ
ফুটবলের সঙ্গে ছিল তাঁর যে নাড়ীর টান।
তাঁর খেলাতে সৃষ্টি হতো তীব্র আকর্ষণ
ফুটবল-শৈলীতে তাঁর ভরতো সবার মন।
তাঁর খেলাতে সারা বিশ্ব হয়েছিল একসূত্র
মারাদোনা নামটা যে তাঁর ফুটবল-রাজপুত্র।
আর্জেন্টিনাবাসী তিনি ফুটবল-জাদুকর
ফুটবল-দক্ষতায় তিনি বিশ্ব করেন ঘর।
ছুতোর মিস্ত্রি পিতা তাঁর দরিদ্র পরিবার।
আট ভাইবোন নিয়ে ছিল কষ্টের সংসার।
অনটনের সঙ্গে সদা করতে হতো লড়াই
স্কুলে ভর্তি হলেও তাঁকে ছাড়তে হলো পড়াই।
ফুটবলকেই তিনি শেষে ধরলেন যে আঁকড়ে
বদলে গেল জীবন তাঁর নিলো এমন বাঁক রে।
পড়ে গেলেন এমন চোখে দেখতে হলো না ফিরে
জুহুরীর চোখ চিনে নিলো যে এক আসল হীরে।
ক্লাব কিম্বা দেশের হয়ে মাতিয়ে দিলেন খেলে
তাঁর খেলাতে মুগ্ধ হলো প্লাতিনি থেকে পেলে।
বার্সালোনা-নাপোলিতে খেলেন তিনি চুটিয়ে
ক্লাব-তাঁবু সাজিয়ে দিলেন ট্রফির ফুল ফুটিয়ে।
ছিয়াশির বিশ্বকাপের তিনি একক নায়ক
প্রতিযোগিতা-সেরার ট্রফি তারই পরিচায়ক।
চার-পাঁচজন মিলে তাঁকে ধরলো যতই ঘিরে
তবুও তিনি দিলেন পাস সেই রক্ষণ চিরে।
তাঁর খেলাতে সৃষ্টি হলো চরম উত্তেজনা
দর্ষকরা তুললো রব মারাদোনা মালাদোনা।
সারা মাঠে ছড়ালেন তিনি শিউলির সুগন্ধ
বাম পায়ের ঝলকানিতে ছিল অন্য ছন্দ।
মেক্সিকোর বিশ্বকাপে হলেন চ্যাম্পিয়ান
বিশ্ব মাঝে বাড়িয়ে দেন আপন দেশের মান।
নিজেকে তিনি নিয়ে গেলেন এমন উচ্চতায়
সেখানে তিনি একইভাবে দাঁড়িয়ে আছেন ঠায়।
দারিদ্র্যের দিনগুলোকে ভোলেননি একদম
তাইতো তিনি বিলাসিতাও করতেন খুব কম।
ফুটবল আশমানে তিনি উজ্জ্বল এক তারা
মারাদোনা নামে এ বিশ্ব আজও আত্মহারা।
=============================
আনন্দ বক্সী, গ্রাম-বেলিয়াডাঙ্গা,ডাক-দক্ষিণ বারাশত ,থানা-জয়নগর, জেলা-দক্ষিণ ২৪ পরগনার, সূচক-৭৪৩৩৭২
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন