অপারগ
প্রবীর কুমার চৌধুরী
অনেক তো ভারী তোমার পাওনার ঝুলি
বাড়ছে বেলা...এবার কিছু কথা বলি
পাগল-ছাগল বলে এড়িয়েই গেলে
আর কত বাড়াবে চাহিদা -- হিসাব মেলালে কতটা পেলে?
পথের পাশে টাঙিয়েই রেখেছো তিনরঙা বিজ্ঞাপন
তাতেও লুকিয়েছ অভিসন্ধির গোপন রং
শ্মশানযাত্রীর কাঁধের শবের হতাশার দীর্ঘশ্বাসে
দুকূল ভাসায় তিরস্কার,ঘরে- বাইরে বিশ্বাস যোগ্যতাই অপসৃয়মান।
গৃহস্থের দুইবেলাই নড়ছে হাতে জপের মালা
ঠান্ডাঘরে কন্যাভ্রূণের ,অহরহ মারণ খেলা
পাপস্খলনে উদাসীন, অসম্মতি,সঙ্গম বলপূর্বক
কেবল নারীর হাহাকারে গৃহস্থে মঙ্গল হোক ।
বলতেই হয় এতো গোপন রাখার কিছুই নয়
প্রখর গ্রীষ্মে খিদের রাতে প্রেমের গায়ে আগুন জ্বলে
লালসার ফাগুন লাগে লেলিহান শিখায় গৃহস্ত ভস্ম হয়
শরীর দেখে শরীরে নেশা লাগে আইন সংগত পরকীয়া।
লোভের নাড়ি জ্বালাও দেখি ঘৃণ্য তোমার বীর্যতেজে
পাপের টাকার ঝাড়বাতিটা জ্বলছে দেখি মহান সেজে
টাকার পাহাড় গড়ছে দেখি জয়নিনাদ উদ্ভাসে
হতেই হবে নতজানু ক্ষোভান্তরে যে বাড়ছে সে।
================
প্রবীর কুমার চৌধুরী
গড়িয়া,কলকাতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন