google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re বেদ পুরাণে জগৎ সৃষ্টির কথা ।। দীপক পাল - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

বেদ পুরাণে জগৎ সৃষ্টির কথা ।। দীপক পাল

 

বেদ পুরাণে জগৎ সৃষ্টির  কথা 

দীপক  পাল      



       অব্যয় অব্যক্ত চিরন্তন  সর্বসৃষ্টিকর্তা সর্বচরাচরব্যপী সয়মভূ পুরুষ শ্রীনারায়ণ নাম চিহ্নের অতীত। তিনি অদৃশ্য  আদি অন্তহীন, কালের ও সীমার অতীত। তার থেকেই সৃষ্টি হয় ব্রহ্মা। ব্রহ্মাই জীবসমূহের স্রষ্টা ও পালক তাই প্রজাপতি। বেদ ও পুরাণানুযায়ী , মরিচ, অত্রী, পুলহ, পুলস্ত,ক্রতু, অঙ্গীরা, বশিষ্ট  এই সপ্ত  ঋষি এবং দক্ষ, ভৃগু ও নারদ এই দশজন ব্রহ্মার মানসপুত্র এবং প্রজাপতি বলে। শ্রীমতভগবত অনুযায়ী মানসপুত্র পমরিচ  মহরষি কর্মের কন্যা কলাকে বিবাহ করেন। তার গর্ভে মহরষী কশ্যপের  জন্ম হয়।

          মৎস্য পুরাণানুযায়ী  ব্রহ্মা নয়টি মানসপুত্র সৃষ্টি করার পর শতরূপা নামে এক কন্যা সৃষ্টি করেন। পরে তিনি তাকেই বিয়ে করেন। শতরূপার গর্ভে সয়মভূ মনুর জন্ম হয়। কালে শতরূপার গর্ভে মনুর প্রিয়ব্রত ও উত্তানপদ নামে দুটি পুত্র এবং আকুতি, দেবাহুতি ও প্রসূতি নামে তিন কন্যার জন্ম  হয়। মনুদের পুত্র কন্যা থেকে মনুষ্য জাতির সৃষ্টি ও বিস্তার হয়।

          শ্রীমতভগবৎ অনুযায়ী ব্রহ্মার মানসপুত্র মরীচি মহরষী করদম ও মনু কন্যা দেবাহুতির কন্যাকে বিবাহ করেন, কশ্যপ তাদেরই সন্তান।  এই কশ্যপ দক্ষ প্রজাপতির তেরটি কন্যাকে বিবাহ করেন। তেরটি কন্যাই সর্বলোকের জননী, জগৎ প্রসবিনী। অদিতি হলেন দেবগণের মাতা। দিতি দৈত্যদের জননী, দনু দানবকুলের মাতা, গন্ধরবকুলের মাতা অরিষ্ঠা, রাক্ষসকুলের মাতা সুরসা, অপসরাদের মাতা মুণি, ক্রোধবশা পিশাচদের  মাতা, পশুদের মাতা কাষঠা, গো-মহিষাদরি মাতা সার্ভিস, শাপদকুলের মাতা তাম্রা, বৃক্ষ উদ্ভিদ সমূহর মাতা ইলা। মতানতর আছে অন্য পুরাণের।

          বেদে বহু সংখ্যক দেবতার উল্লেখ আছে। প্রাচীন কালে সরল প্রকৃতির আর্যরা প্রকৃতির বিস্ময়কর ঘটনা ও কাজে একটি করে দেবতারঅস্তিত্ব কল্পনা  করেছিলেন। এমনকি গাছ-পাথরও বাদ পড়েনি। এই দেবতাদের অবস্থান অনুযায়ী তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন পৃথিবী দেবতা, অনতরীক্ষ বা আকাশের দেবতা এবং স্বর্গের দেবতা।

          পৃথিবীর দেবতারা হলেন, অগ্নি, পৃথিবী, অপ, সোম। অন্তরীক্ষ বা আকাশের দেবতা - ইন্দ্র, রুদ্র বা শিব, বরুনদেব (মেঘ-বৃষটি), স্বর্গের দেবতার সবিতা বা সূর্য ( ইনি প্রাণীসকলকে রোগ থেকে মুক্তি দেন), বিষ্ণু  (সূর্যের পূর্ব, পশ্চিম ও মধ্যগগনে অবস্থান করেন, ইনি ঋতুর নিয়ামক)। মিত্র পৃথিবী ও স্বর্গে ধারণ করেন আর বরুণ জলের সৃষ্টি কর্তা অর্থাত তিনিই অন্নদাতা।  দ্যু-কে বিশ্বের পিতা  এবং পৃথিবীকে মাতা রূপে কল্পনা  করা হয়েছে। বৃহস্পতি (প্রজ্ঞাবান, তিনি মন্ত্র  উৎপাদন করেন)। বেদের এত সব দেবতার মধ্যে তিন প্রধান দেবতা হলেন,  পৃথিবীর অগ্নি,  অন্তরীক্ষ লোকের ইন্দ্র ও স্বর্গলোকের সূর্য।

_________0________


Dipak Kumar Paul,
DTC Soutnern Heights,
Block-8, Flat-1B 
Diamond Harbour Road, Joka
Kolkata - 700104
























কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন