নন্দু (the ghost)
খগেশ্বর দেব দাস
ভোরের বেলা গিয়েছিলাম ডিমরু নদীর কূলে।
আপন মনে জাল ফেলছিলাম মাছ ধরবো বলে।
কি যে করি ছাই, মাছের হদিশ নেই যে হেথা -
মনে মনে ভাবলাম,যাই দেখি অন্য কোথা ও।
হঠাৎ কে যেন ডাকলো-ও নন্দু!এদিকে আয়, এদিকে!
বটগাছটার দিকটাই-অনেক মাছ পাবি এই দিকটাই।
মনে হলো যেন চেনা গলা-
কে ডাকে এই ভোরের বেলা ?
হাঁকিয়ে বললাম,কে? কে ওখানে,ডাকে আমায়!
বল্লে,আমি নন্দু রে,নন্দু-
তোর ছোট বেলার-বাল্যবন্ধু।
ঐ যে,তোদের দীঘির পারের নন্দু।
রোজ দুপুরে এক সাথে নাইতাম।
পেয়ারা গাছের ডালে দোলনা ঝুলতাম।
ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মনে পড়লো,ওরে বাব্বা!
নন্দু তো সেই কতকাল আগেই ভূত হয়ে গেছে!
এই না ভেবে ভয়ে আমার কাঁপে সারা অঙ্গ!
পরিমরি করে ছুটে গিয়ে দিলাম রণে ভঙ্গ!
ছুটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়লাম সেথা জোরে।
তাঁকিয়ে দেখি,
কঙ্কালসার নন্দুটা নাকি সুরে গান ধরেছে:-
''আয় গোলু দেখে যা, দুটো মাছ রেখে যা!
যেই মাছের নাক নেই,চোখ নেই, কাণ নেই!
দেখে নাকো,শুনে নাকো,ঢুসঢাস করে না!
কাঁটা যেন মারে না,গলায় গেলে লাগে না''!
এই না শুনে জ্ঞান হারিয়ে পড়লাম সেথা ভূতলে।
_________________________________________
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন