শীতের নগ্নতা
রানা জামানশীতের কী ঠেকা পড়েছে নিজ শরীরের
বোঝা হালকা করে কৃশাঙ্গ হবার!
বরফ জড়ানো সুশীতল কায়া
জন্মের ঐতিহ্য মূল থেকে শীর্ষ
কখনো সরীসৃপের মতো নিরবিচ্ছিন্ন
কখনোবা তূলো হয়ে সওয়ার ঘুঘুর ডানায়
হিমেল প্রান্তিকে সাদা ভাল্লুকের পিঠে চড়ে
কিংবা বলা যায় পেঙ্গুইনের বুকে লেপ্টে
চলে আসে গ্রীষ্মপ্রধান দেশের হাড়মজ্জয়
পরিযায়ী পাখি পালকের ঘ্রাণ ছড়িয়ে
তপ্ত মৃত্তিকায় আইসফিশের আঁশের চুম্বনে
নাতিশীতোষ্ণ থেকে বিছায় হিমেল মাদুর
বস্ত্রহীন শীতে কাতর দেহের কাঁপুনির ঝড়ে
পৈশাচিক খুশি কী পরিমাণ বাদুড়ের দাঁত
বিষের বিস্তার ঘটায় তা বুঝে জমাট পারদ
জবুথবু শিশু চোখে জিরো ডিগৃ কিংবা
আরো কম উষ্ণতার নির্বিকার প্যাঁচা
দৃঢ় পায়ে হেঁটে ঢুকে পড়ে মৃত্তিকার ঘরে
এখানেই শীতকালের বৈশিষ্ট্য বিশ্রাম শেষে
চরিত্র গুটিয়ে চলে যায় আপন নিবাসে
পেছনে নিস্তব্ধ রেখে যায় প্রতিক্রিয়া
এক বৃত্তে হামাগুড়ি দেয়া হাসিকান্নার নাটক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন