অঙ্কিতা পাল
অগ্রহায়ণ মাস ভালোই ঠান্ডা, এইতো সেদিন সন্ধ্যেবেলা ছোট মেয়েকে পড়তে দিয়ে এসে বাড়িতে ফিরছি। টিপটপ টিপটপ বৃষ্টিতে রাস্তায় জনমানুষ অন্যদিনের থেকে একটু কম ছিলো। মেয়েদের বায়না প্রতি শনিবার কেক খাবে, আমি কেবলই দোকান থেকে বেরিয়েছি............. অমনি হঠাৎই কোথা থেকে ঝমঝম বৃষ্টিতে সন্ধ্যের আধার কে যেন গভীর করে দিলো। কি প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছিলো . .............
দোকানদার অত্যন্ত ভালো মানুষ তাই আমাকে একখানি ছাতা দিলেন, ওটা নিয়ে আমি পাকা রাস্তা ধরে হেঁটে চলেছি - এমন সময় চোখে বললো বড়ো বাতির স্তম্ভের সাদা আলোর দিকে বৃষ্টিটা যেন কেমন বাঁকা হয়ে বাতির ওপর পরেই চলেছে অনবরত ।
মনে হল যেন সাদা চিনির দানা ভূপৃষ্ঠে পতিত হচ্ছে। তারপর গ্রামের পথ ধরে এগোচ্ছি................
মোটামুটি পুকুর পার থেকে ঘুটঘুটে অন্ধকার ; আলোক স্তম্ভে একটিও আলো নেই নিরালা পথ ঘাট। ।
আমি চলেছি দূরভাষ নামক বস্তুতে থাকা টর্চের আলো জ্বালিয়ে , সারা শরীর ভয়ে কাঁটা দিচ্ছে আর তার সাথে ঝম ঝম বৃষ্টি। বৃষ্টির ঠান্ডা বৃষ্টির জল ক্রমশ সোয়েটার ভেদ করে ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে এতটাই শীতল অনুভূতি মনে হচ্ছিল যেন উত্তর সিকিমের আঁকাবাঁকা পথ ধরে চলেছি............
এমন সময় হাতে থাকা যন্ত্রটি বেজে ওঠে দেখি মা ফোন করেছেন, শঙ্কিত মনে উত্তর করলাম - এইতো রাস্তায় আছি। ওপার থেকে মা বললেন - তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আয়।
হঠাৎ মনে হলো একজন অপরিচিত ব্যক্তি আমার দিকে এগিয়ে আসছে , ভয়ে ভয়ে দ্রুত একটি বাড়ির সদর দরজায় প্রবেশ করলাম, লোকটি গটগট করে চলে গেল।
আমিও ছুটে চলেছি বাড়ির দিকে..........
পিছনে ঘেউ ঘেউ করে চলেছে চারটি কুকুর সেটা তো আমি যমের মতো ভয় পাই। অবশেষে মায়ের আশ্রমের বড়ো আলোক স্তম্ভের কাছে এসে যেন ধরে প্রাণ এলো এবার একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সরু রাস্তা ধরে বাড়ি ফেরা হলো। যাইহোক এমন বৃষ্টি ভেজা হেমন্ত সন্ধ্যার কথা কখনোই ভুলবো না . ..............
নাম - অঙ্কিতা পাল
ভাঙ্গড় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
দোকানদার অত্যন্ত ভালো মানুষ তাই আমাকে একখানি ছাতা দিলেন, ওটা নিয়ে আমি পাকা রাস্তা ধরে হেঁটে চলেছি - এমন সময় চোখে বললো বড়ো বাতির স্তম্ভের সাদা আলোর দিকে বৃষ্টিটা যেন কেমন বাঁকা হয়ে বাতির ওপর পরেই চলেছে অনবরত ।
মনে হল যেন সাদা চিনির দানা ভূপৃষ্ঠে পতিত হচ্ছে। তারপর গ্রামের পথ ধরে এগোচ্ছি................
মোটামুটি পুকুর পার থেকে ঘুটঘুটে অন্ধকার ; আলোক স্তম্ভে একটিও আলো নেই নিরালা পথ ঘাট। ।
আমি চলেছি দূরভাষ নামক বস্তুতে থাকা টর্চের আলো জ্বালিয়ে , সারা শরীর ভয়ে কাঁটা দিচ্ছে আর তার সাথে ঝম ঝম বৃষ্টি। বৃষ্টির ঠান্ডা বৃষ্টির জল ক্রমশ সোয়েটার ভেদ করে ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে এতটাই শীতল অনুভূতি মনে হচ্ছিল যেন উত্তর সিকিমের আঁকাবাঁকা পথ ধরে চলেছি............
এমন সময় হাতে থাকা যন্ত্রটি বেজে ওঠে দেখি মা ফোন করেছেন, শঙ্কিত মনে উত্তর করলাম - এইতো রাস্তায় আছি। ওপার থেকে মা বললেন - তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আয়।
হঠাৎ মনে হলো একজন অপরিচিত ব্যক্তি আমার দিকে এগিয়ে আসছে , ভয়ে ভয়ে দ্রুত একটি বাড়ির সদর দরজায় প্রবেশ করলাম, লোকটি গটগট করে চলে গেল।
আমিও ছুটে চলেছি বাড়ির দিকে..........
পিছনে ঘেউ ঘেউ করে চলেছে চারটি কুকুর সেটা তো আমি যমের মতো ভয় পাই। অবশেষে মায়ের আশ্রমের বড়ো আলোক স্তম্ভের কাছে এসে যেন ধরে প্রাণ এলো এবার একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে সরু রাস্তা ধরে বাড়ি ফেরা হলো। যাইহোক এমন বৃষ্টি ভেজা হেমন্ত সন্ধ্যার কথা কখনোই ভুলবো না . ..............
নাম - অঙ্কিতা পাল
ভাঙ্গড় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন