পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

ব্লগ-নবপ্রভাত ।। ভাষাদিবস সংখ্যা ২০২১ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

ছবি
সূচিপত্র  একুশে ফেব্রুয়ারি : মাতৃভাষার জন্য এক আপোষহীন সংগ্রামের স্বীকৃতি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী ভাষা আন্দোলনে যোগদানের পটভূমি ।। আবদুস সালাম প্রবন্ধ ।। ভাষা আন্দোলন ও বাংলা ভাষার বিশ্বজয় ।। সবিতা বিশ্বাস যাপনেঃ বাংলা ভাষা ।। শ্বেতা বসু নিবন্ধ ।। ভাষার মৃত্যু এবং বাংলাভাষা ।। অনিন্দ্য পাল একুশের গান ।। তুহিন কুমার চন্দ কবিতা ।। অ্যালবাম ।। সিদ্ধার্থ বসু ভাষাদিবসের কবিতা ।। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। আট-ই ফাগুন ।। উৎপলকুমার ধারা কবিতা ।। মাতৃভাষা বাংলাভাষা ।। মাথুর দাস কবিতা ।। বাংলা ভাষা ।। সুমন নস্কর কবিতা ।। অমর একুশ আমার একুশ ।। রমলা মুখার্জী কবিতা ।। ভাষাবাড়ি ।। বনশ্রী রায় দাস কবিতা ।। মা, খোকা ও বর্ণমালা ।। মোয়াল্লেম নাইয়া কবিতা ।। মাতৃভাষা ।। তরুণ মান্না কবিতা ।। বর্ণপরিচয় ।। হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। বর্ণমালা ।। সুদীপ চৌধুরী কবিতা ।। বাংলা মায়ের প্রাণের ভাষা ।। সুব্রত চৌধুরী একুশের কবিতাগুচ্ছ ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। আমার মাতৃভাষা বাংলা ।। সুবীর ঘোষ কবিতা ।। বাংলা ভাষা ।। শুভাশিস দাশ কবিতা ।। বাংলাভাষা তোমাকে ।। সুমনা ভট্টাচার্য্য কবিতা ।। একুশে ফেব্রুয়ার

একুশে ফেব্রুয়ারি : মাতৃভাষার জন্য এক আপোষহীন সংগ্রামের স্বীকৃতি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী

ছবি
          একুশে ফেব্রুয়ারির কথা উঠলেই আমাদের মনে পড়ে যায় - ভাষার জন্য একটি বিশেষ জাতির এক সংগ্রামের কথা । সেই সংগ্রাম হলোএক আবেগপ্রবণ , আপোষহীন রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ! মাতৃভাষায় কথা বলা , ইস্কুল-কলেজে পড়াশুনা করা , অফিস-কাছারিতে কাজ করার ভাষার চিরায়ত অধিকারকে বজায় রেখে , তাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেবার জন্য আন্দোলন । স্থানীয় ভাবে জেগে ওঠা সেদিনের সেই আন্দোলন শেষপর্যন্ত দেশের গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি , ছড়িয়ে পড়েছিল - বিশ্বের আঙিনায় । লাভ করেছিল আন্তজার্তিক স্বীকৃতি । আজ সেই একুশে ফেব্রুয়ারির পূণ্যলগ্নে আমরা একবার সেই মাতৃভাষা এবং ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে কিছু জেনে নেয়ার চেষ্টা করবো ।           সত্যি কথা বলতে - ভাষা সম্পর্কে কোনও সুষ্পষ্ট এবং অপরিবর্তিত সংজ্ঞা আজ পর্যন্ত কোত্থাও লিপিবদ্ধ হয়েছে কিনা , আমার অন্তত জানা নেই । তবে , কাজ চালাবার মতো সংজ্ঞা হিসেবে প্রখ্যাত ভাষাবিদ ড: সুনীতি চট্টোপাধ্যায় , ড: মুহম্মদ শহীদুল্লাহ , ড: সুকুমার সেন প্রমুখের প্রদত্ত ভাষা সংক্রান্ত সংজ্ঞাগুলো একত্র করে বলা যেতেই পারে -" ভাষা হলো মানুষের মস্তিষ্ক জাত একটি মানবিক ক্ষমতা বা অর্

ভাষা আন্দোলনে যোগদানের পটভূমি ।। আবদুস সালাম

ছবি
    পৃথিবীর ইতিহাস চোখের সামনে আনলে আমরা দেখতে পাই  যখনই মানুষ নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে এসেছে ততবার রাষ্ট্র কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। যুগে যুগে মানুষের গণঅভ্যুত্থান প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়েছে তার কারণ মানুষ বড্ড স্বার্থপর জাতি। ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদী পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই পরিলক্ষিত হয়। আন্দোলন মানেই  চাপা ক্ষোভ ও বঞ্চনার  স্বতস্ফুর্ত বহিঃ প্রকাশ । মানুষ সাধারণত আন্দোলন করে  খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান এর জন্য। কিন্তু এই আন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল প্রজাতির। এই আন্দোলনের নাম ভাষা আন্দোলন।  এখন আমরা দেখার চেষ্টা করবো  কেন সাধারণ মানুষ এই ব্যাপক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে এগিয়ে এলো।   (ক)  ১৯৪৭ এর ১৪ই  আগষ্ট মাসে এসেছে জনগণের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাকিস্তান। বিজাতী বিদ্বেষ- জাত  ইসলাম ফেরারী ভাবটা লোকের মনে ছিল প্রবল ভাবে। পূর্ব বঙ্গের লোকের মনে ছিল ফেরারী উদারতা এবং ছিল হিন্দু ভীতি।গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো "কয়েদে আযমের"ঊর্দূপক্ষ সমর্থন  জনমানব কে নাড়িয়ে দিয়েছিল। (খ)    উনিশ শতকের বাঙালি রেনেসাঁ কে লক্ষ্য করলে তে উপাদান টা তীব্র হয়ে মানুষের চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার

প্রবন্ধ ।। ভাষা আন্দোলন ও বাংলা ভাষার বিশ্বজয় ।। সবিতা বিশ্বাস

ছবি
  জাতীয়তার প্রধান উপাদান মাতৃভাষা । পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যে তার মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে । ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট মূলত দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে । তারপরই পাকিস্তান সরকার অগণতান্ত্রিক উপায়ে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করে । পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে ভউগো লিক দুরত্ব ছিল ১৩০০ মাইল । এই দুই অংশের অর্থনৈতিক ব্যবধান ও বৈষম্য ছিল প্রকট । ব্যবধান ছিল সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত দিক দিয়েও । ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করে যে উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা । এ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানকারী বাংলা ভাষাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় । কোনদিনই পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করেনি । এই কারণেই পাকিস্তান সৃষ্টির অব্যবহিত পরেই ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পূর্ব বাংলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ

যাপনেঃ বাংলা ভাষা ।। শ্বেতা বসু

ছবি
পৃথিবীর অষ্টম সংখ্যা গরিষ্ঠ ভাষা, ইংল্যান্ড অষ্ট্রেলিয়ায় স্বীকৃত দ্বিতীয় ভাষা, আ মরি বাংলা ভাষা|আমার আপনার  গর্বের ভাষা| ইন্দো আর্য ভাষা গুলি বিভক্ত হতে হতে পূর্বি মাগধীর অন্তর্গত বাংলা ভাষা বর্তমানে গগনের একপাশে বলা হলে ভুল হবে না|                                    সাধারন মানুষ অত নিয়ম জানে না| জানে না ব্যাকরণ, জন্মের পর মা আর তার মুখের ভাষা, মায়ের মতনই বলতে শেখা, বুঝতে শেখা| একদিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে শিক্ষকশিক্ষিকা শুধরে দিচ্ছেন উচ্চারণ| শিশুটি বাড়ী ফিরে কিন্তু তার মাকে শুধরে  দেয়| ক্রমশ সে বুঝতে শিখে যায় |খুব কিছু দ্বন্দ্ব থাকে না | এইভাবেই ঘর বাহির সামলে যায়|                                     পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিগত পঁচিশ বছরেরও বেশী বাংলা বই দেখলে বোঝা যায়, যে ভাষা শিক্ষা একটা দিশায় চলছে| কিন্তু সমস্যাটা অন্য| বাংলা ভাষার ব্যবহারের ক্ষেত্র খুব সীমিত|  বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারী, পাবলিক সেক্টারে কর্মরত মানুষ, একজন সাধারণ অতিসাধারণ মানুষ তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে সহজ ধারণায় চলেন এবং ইংরাজী মাধ্যমকে বেছে নেন| যুক্তিহীন তো নয়|আগে পেট ভরে খেতে দে তারপর তত্ব কথা| কয়েক