Featured Post
ভাষা আন্দোলনে যোগদানের পটভূমি ।। আবদুস সালাম
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
পৃথিবীর ইতিহাস চোখের সামনে আনলে আমরা দেখতে পাই যখনই মানুষ নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে এসেছে ততবার রাষ্ট্র কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। যুগে যুগে মানুষের গণঅভ্যুত্থান প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়েছে তার কারণ মানুষ বড্ড স্বার্থপর জাতি। ভাষা ভিত্তিক জাতীয়তাবাদী পৃথিবীর ইতিহাসে খুব কমই পরিলক্ষিত হয়। আন্দোলন মানেই চাপা ক্ষোভ ও বঞ্চনার স্বতস্ফুর্ত বহিঃ প্রকাশ । মানুষ সাধারণত আন্দোলন করে খাদ্য বস্ত্র বাসস্থান এর জন্য। কিন্তু এই আন্দোলন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল প্রজাতির। এই আন্দোলনের নাম ভাষা আন্দোলন।
এখন আমরা দেখার চেষ্টা করবো কেন সাধারণ মানুষ এই ব্যাপক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে এগিয়ে এলো।
(ক)
১৯৪৭ এর ১৪ই আগষ্ট মাসে এসেছে জনগণের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পাকিস্তান। বিজাতী বিদ্বেষ- জাত ইসলাম ফেরারী ভাবটা লোকের মনে ছিল প্রবল ভাবে। পূর্ব বঙ্গের লোকের মনে ছিল ফেরারী উদারতা এবং ছিল হিন্দু ভীতি।গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো "কয়েদে আযমের"ঊর্দূপক্ষ সমর্থন জনমানব কে নাড়িয়ে দিয়েছিল।
(খ)
উনিশ শতকের বাঙালি রেনেসাঁ কে লক্ষ্য করলে তে উপাদান টা তীব্র হয়ে মানুষের চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার হলো বাঙালির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাঙালি ও বাংলা কে পৃথক মর্যদায় চিহ্নিত করার যে শুরু বিশ শতকে খন্ডিত বাঙলার বুকে "একুশে ফেব্রুয়ারি" যেন তারই একটা মূর্ত প্রতীক।
(গ)
"রাষ্ট্র ভাষা"কথাটা স্বৈরাচারী রাষ্ট্র ব্যাবস্থার ফল হিসেবে পরিগণিত। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে অতীষ্ট ও বিব্রত বোধ করতো সবসময়। মানুষ খুঁজছিলো অছিলা। ভাষা আন্দোলনের প্রক্রিয়া ছিল একটা অছিলা মাত্র। এখানে আরও একটা কথা বলে রাখা ভালো ভাষা আন্দোলনে লোকে সামিল হয়েছিল বাংলা ভাষা কে ভালোবেসে নয় । কেবল দাবি আদায়ের হাতিয়ার হিসেবেই মানুষ এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল এটা বলাবাহুল্য। স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়তে যাওয়ার সময় বাংলাভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবি একটা আলাদা মাত্রা পেয়েছিল। তাই ভাষা আন্দোলন স্বমহিমায় উদ্ভাসিত।
( ঘ)
পাকিস্তানের মুসলিম লীগ শাষকচক্র ছিলো সাম্রাজ্যবাদের সমর্থক। মুসলিম লীগ সরকার দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও অন্তত কুড়ি বছর ইংরেজি ভাষা কে রাষ্ট্র ভাষা রাখার জন্য ওকালতি করেছে। অথচ লীগ শাসকেরা সবাই ছিলেন ঊর্দূভাষী। তারা বুঝতে পেরেছিলেন মসনদে টিকে থাকতে হলে এবুদ্ধি তাদের কাজে লাগাতেই হবে যে সাধারণ মানুষ যাতে রাষ্ট্র পরিচালনার অংশগ্রহণ করতে না পারে । আর তার জন্য সম্ভাব্য সবরকম ব্যাবস্থা করে রাখা উচিত। এই বুদ্ধির প্রথম ধাপ হলো রাষ্ট্র ভাষা কে বদলে দিয়ে কার্যত সাধারণ মানুষ কে বোবা করে রেখে শাসন চালিয়ে যাওয়া অনেক নিরাপদ। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ এই উপলব্ধি করেছিলো বলেই স্বতস্ফুর্ত ভাবে এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিল।
( ঙ)
বৃহত্তর বাংলার রাজনৈতিক বিভাজন বাংলার আত্মিক বিভাজন নয় এটা অস্বীকার করা যায়না । বাংলার তিন শ্রেষ্ঠ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম এবং জীবনানন্দ দাশ ক্রমশ দুই বাংলার যোগাযোগের সেতু হিসেবে পরিগণিত। "একুশে ফেব্রুয়ারি "পালন করা তার ই লক্ষণ।আপামর জনসাধারণ বাংলা কে ভিত্তি করেই তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের পথ খুঁজে পেতে চেষ্টা করেছে মাত্র।
( চ )
"বাংলা ভাষা" কে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকবর্গ এই বলে প্রচার করে যে বাংলা হলো হিন্দুদের ভাষা , পৌত্তলিক দের ভাষা।পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকবর্গ আরও প্রচার করে যে এই ভাষা আন্দোলনের পেছনে ভারতীয়রা বেশি বেশি ক্রিয়াশীল । তবে পূর্ব পাকিস্তানের বিখ্যাত কবি কায়কোবাদ বলেন ধর্মগ্রন্থ চর্চার জন্য বাংলার মুসলমানদের আরবি ফারসি পড়া বা শিক্ষার প্রয়োজন থাকলেও ঊর্দূ ও ফারসি ভাষা নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাতে অক্ষম। বাংলা হলো হিন্দু মুসলমানদের মিলিত মায়ের মুখের ভাষা। সাধারন মানুষের মাঝে যখন এই উপলব্ধি এসেছে তখনই ভাষা আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে আত্মিক সমর্থন জুগিয়েছে। মাতৃভাষা আন্দোলনে স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল সেদিন তার বলার অপেক্ষা রাখেনা।
(ছ )
১৯৪৭এর পহেলা সেপ্টেম্বর গঠিত (তমদ্দুন মজলিস)এক বিবৃতি দেয় বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে। এই বিবৃতির বিরুদ্ধে মারাত্মক প্রভাব ফেলে ডিসেম্বর মাসে।১৯৪৭এর ডিসেম্বর লাহোর থেকে বার্তা সংস্থা এ.পি.পাকিস্থানের নতুন মুদ্রা সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদন টি এই রকম "পাকিস্তান সরকার যে নতুন টাকা বাজারে আনতে চলেছে তার এক পৃষ্ঠে রাজার ছাপের পরিবর্তে অর্ধ চন্দ্র খোচিত থাকবে। একটাকা কথাটি অর্ধ চন্দ্রের উপর ঊর্দূতে এবং নীচে ইংরেজি তে লেখা থাকবে। অপর পৃষ্ঠায় পাকিস্তান সরকার কথাটা উপরে ইংরেজি তে এবং নীচে হিন্দি তে লেখা থাকবে। (দৈনিক ইত্তেহাদ ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৪৭কলকাতা)।
কমরেড আব্দুল মতিন সহ বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের অনেক নেতা মন্ত্রীদের ভাষ্য অনুযায়ী সরকারের ঊর্দূঘেঁসা নীতির প্রথম প্রতিবাদ আসে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষের তরফ থেকে। সচিবালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পক্ষ থেকে প্রথম মিছিল বের হয়।
( জ)
জাতীয়তাবাদ কে প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তানি রাষ্ট্রকাঠামোর অভ্যন্তরেই নিপীড়ন বিরোধী বাঙালি জাতীয়তাবাদের অগ্রসর হয়েছিল। পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদ ছিল স্বৈরাচারী আর বাংলী জাতীয়তাবাদ ছিল গণতান্ত্রিক। বাঙালি জাতীয়তাবাদ হলো ভাষা ভিত্তিক। ভাষার সীমা আর রাষ্ট্রের সীমা এক হয়না। একই রাষ্ট্রে একাধিক ভাষাভাষীর লোক বসবাস করতে পারে । যেমন আমরা কানাডায় দেখি ইংরেজি ও ফরাসি ভাষার লোক বসবাস করছেন। আমাদের ভারতবর্ষের কথা তো বলতেই নেই ।বহু ভাষাভাষীর দেশ আমাদের ভারতবর্ষ । এটাই আমাদের ঐতিহ্য।বহু ধর্মের লোকের সমাবেশ রয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ হয়েছে। একদিকে মুসলমান অন্যদিকে হিন্দু। মুসলিম প্রধান দেশ পাকিস্তান আর হিন্দু প্রধান দেশ ভারত। ধর্মের ভিত্তিতে পাকিস্তান ভাগ হলেও তাদের হীন অপচেষ্টা সফল হয়নি। কেননা ধর্ম মানুষকে একসূত্রে বাঁধতে পারে না। এর বলিষ্ঠ প্রমাণ আমার দেখতে পাই পাশের প্রতিবেশী দেশের দিকে নজর দিলেই। পাকিস্তান আবার ও দুই টুকরো হয়ে গেছে। হীন অপচেষ্টা তাদের সফল হয়নি। বস্তুত জাতীয়তাবাদের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ভিত্তি হলো ভাষা , ধর্ম নয়।
১৯৪৭এ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর দেখা যায় বাংলার দুই তৃতীয়াংশ পড়েছে পূর্ব পাকিস্তানের ভাগে। মাত্র এক তৃতীয়াংশ রয়েগেছে মূল ভূখণ্ডে। অর্থাৎ ভারতের ভাগে। তাই বিশাল ভারতবর্ষের অনেক গুলো ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষা একটি ভাষা মাত্র। পুরো পাকিস্তান জুড়ে ছাপ্পান্ন শতাংশ মানুষ বাংলাভাষী আর মাত্র চুয়াল্লিশ শতাংশ মানুষ অন্য ভাষী। অথচ পাকিস্তানের রাষ্ট্র নেতা পল্টন মাঠে ২১ শে মার্চ ঘোষণা দিলেন ঊর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা ।আর তাই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছে কি হতে চলেছে ভবিষ্যতে ও পাকিস্তানের শাসকবর্গ কি করতে চায়। এটা বুঝতে পেরে তারা প্রতিবাদ জানাতে নেমে পড়ে রাস্তায়। ধর্ম ভিত্তিক জাতীয়তাবাদ তে কতো ভয়ঙ্কর হতে পারে একুশে ফেব্রুয়ারি তার জ্লজ্যান্ত প্রমাণ। সাধারন মানুষ উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন ঊর্দু কেবল রাষ্ট্র ভাষায় হবে না ঊর্দু নাজানার কারণে ভাষা দন্ডের লাঞ্ছিত হতে হতে নতুন করে বাঙালি পরাধীনতার শৃঙ্খল গলায় পড়বে।এই জন চেতনায় বাঙালি জাতি ভাষা আন্দোলনে স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল।
( ঝ)
রাষ্ট্রের সীমানা ও শাসক বদল লোকে চায়নি। তারা চেয়েছিল মুক্তি। রাষ্ট্র ভাষার প্রশ্নে বাঙালি কে বুঝিয়ে দিলো গণতন্ত্রের কোন দাম নেই। সংখ্যা গরিষ্ঠতা এখানে নিছকই নামের নাম । কোন দিনই এখানে তা মান্যতা পাবে না যতদিন স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় থাকবে। অবাঙালি স্বৈরাচারী সরকারের হাতে রয়েছে শাসন ক্ষমতা, আমলাতন্ত্র, সামরিক বাহিনী , ও ব্যাবসা বাণিজ্য। জোর করেই তারা বাঙালি কে শাসন ও শোষণ।
পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু মধ্যবিত্ত সরে গেছে আর তার জায়গায় এসেছে মধ্যবিত্ত মুসলমান। কিন্তু না চিত্রটি ছিল অন্যরকম । হিন্দু মধ্যবিত্ত সরে যাওয়ার পর দেখা গেল অবাঙালি মুসলমানদের আধিপত্য। অসম প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়ার আশঙ্কা সমগ্র বাঙালি জাতি কে একুশে ফেব্রুয়ারির আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। পাকিস্তানী সরকারের বিরুদ্ধে এই ঘটনা ছিলো বাঙালির জনযুদ্ধ।
(ঞ)
অল্প সংখ্যক কায়েমী স্বার্থবাদী যে কোন আন্দোলন শুরু করতে পারে বটে কিন্তু সেই আন্দোলন কখনই বৃহত্তর রূপ নিতে পারে না। ভাষা আন্দোলন হলো সকলের আন্দোলন। এই আন্দোলন কখনই জাতি ভিত্তিক আন্দোলন নয়। এটা সম্পূর্ণ ভৌগোলিক ব্যাপার । মানুষ ক্রীতদাস হয়ে বেঁচে থাকা কখনোই চায়না। একমাত্র ভাষা আন্দোলন ই পেরেছিলো সকল ধর্মের লোক কে একি পঙক্তি তে বসাতে। বাঙালির আরও সৌভাগ্য যে একটি সংগ্রাম করতে গিয়ে অন্য একটি বৃহত্তর সংগ্রামের পথ প্রস্তুত করতে সক্ষম হয়েছিলো। একুশে আন্দোলনের মধ্যেই নিহিত ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের বীজ।
( ট)
জনগণের ক্ষোভের পেছনে ছিলো পাকিস্তানের খাদ্য নীতি, কৃষি পণ্যের বাজার দর,আমলা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠান, বিশেষ করে পুলিশের আচরণ।১৯৪৭এর পরবর্তী সময়ে খদ্যাভাবের জন্য কর্ডন প্রথা,লেভী প্রথা কৃষকদের জীবন কে অতীষ্ট করে তুলে ছিল। এসকল সমস্যার সঙ্গে যোগ হয়েছিল পুলিশের জুলুম। (একটা পরিসংখ্যানে দেখা যায় পুলিশ ১৯৪৮ সালে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ৩৮বার এবং ১৯৪৯সালে ৯০বার, ১৯৫০সালে ১১০বার, এবং ১৯৫১তে ৫০বার সাধারণ মানুষের উপর গুলি ছুঁড়ে ছিল।) এছাড়া তাজউদ্দীনের ডাইরিতে যে উল্লেখ পাওয়া যায় সেটি হলো এই রকম পাটের দাম কমে হয় অর্ধেক, এবং অন্য দিকে চালের দাম বেড়ে হয় দ্বিগুণ ( ১৫টাকা মন) অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল অতি ভয়াবহ। এই সব দিক থেকেই বিচার করলে বলতে হয় সব দিক থেকেই মানুষ অতীষ্ট হয়ে ভাষা আন্দোলনে সামিল হয়েছিলো।
(ঠ)
ইতিহাসের একটি বড়ো বদ অভ্যাস হলো বিখ্যাতদের মহিমান্বিত করে অখ্যাতদের বড়ো কাজকে অবহেলা করা। "ভাষা আন্দোলনের "বড়ো বৈশিষ্ট্য হলো এক জাতিকে অভিন্ন হতে শেখানো। দুর্দিনে জাতিকে সুসংবদ্ধ এবং দৃঢ় হতে শিখিয়েছে কারণ এতে জড়িত ছিল সকল শ্রেণীর স্বার্থ।আর এই সম্মিলিত স্বার্থ জড়িত বলেই ভাষা আন্দোলনের সূচনা থেকেই সংখ্যাহীন জনগণ এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিল।
মাতৃভাষার দাবিতে এই আন্দোলন পৃথিবীর চোখ খুলে দিয়েছে। একুশের আন্দোলনের শহীদদের জানাই শতকোটি প্রণাম।
###
তথ্যসূত্র:
আরম্ভ ঈদ সংখ্যা ১৪১০,
ভাষা আন্দোলনের আদি পর্ব ১৯৭৬__আবদুল হক।
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস_১৯৬৭।
গৈরিক একুশের সংকলন__১৯৭১ (পুন: মুদ্রিত)।
একুশের প্রবন্ধ ১৯৮৫।
মায়ের ভাষা একুশে ফেব্রুয়ারি সুবর্ণ জয়ন্তী সংকলন ২০০৩।
=============================
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন