মজারু
“সে বড় সুখের সময় নয়, সে বড় আনন্দের সময় নয়...
ফুটপাথ বদল হয় মধ্যরাতে/বাড়ি ফেরার সময়, বাড়ির ভিতর বাড়ি, পায়ের ভিতর পা,/বুকের ভিতর বুক/আর কিছু নয়” _শক্তি চট্টোপাধ্যায়
১
বাস থেকেই ট্রেকারটা দেখতে পেয়েছিল প্রমিত।
শেষ হেমন্তের শীতল সন্ধ্যাকে আদরে আদরে ভরিয়ে তুলেছে শুক্ল পক্ষের চন্দ্রানি রাত। বাস থেকে নেমে সেই হিমেল জোছনা গায়ে মাখতে মাখতে দ্রুত পায়ে এগিয়ে আসে প্রমিত। সে জানে এই গাড়িটা মিস করলে সারারাত এই বাসস্ট্যান্ডে বসে থাকতে হবে ওকে। এখানে আসার আগে অভিজিৎ বলে দিয়েছিল, ‘মনে রাখিস, সাড়ে সাতটায় কিন্তু লাস্ট গাড়ি। ওতে বসার জায়গা না পেলেও উঠে পড়বি’। প্রমিত তাই করল। বড় ব্যাগটা ট্রেকারের মাথায় তুলে দিয়ে পাদানিতে দাঁড়িয়ে পড়ল। কোলকাতায় বাসে কিংবা ট্রেনে প্রায়সই এরকম দরজায় ঝুলতে হয়, তবে এই রকম ‘জিপ গাড়ি’ জাতীয় ট্রেকারে ঝুলে ঝুলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা প্রমিতের কাছে একেবারেই নতুন। কনকনে ঠান্ডা হাওয়া শরীরকে ছুরির মত কেটে যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু প্রমিতের বেশ রোমাঞ্চ বোধ হচ্ছে। ট্রেকারের সার্চ লাইটের আলোয় নগ্ন মেঠো রাস্তার লজ্জা পাওয়া রাঙা মুখ, দিগন্তে মিশে যাওয়া চাষের জমিতে পড়া চাঁদের আলো আর কুয়াশার অশরীরী অস্তিত্ব ...প্রমিতের প্রতিটি শিরা উপশিরায় ছড়িয়ে পড়ছে!
‘সামনেটায় বেঁধে দাও গো..’
গাড়ি থামল। ভাড়া মিটিয়ে চলে গেল প্রমিতের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটা। আর তারপর গাড়ি ছাড়তেই ভিতরে বসা কয়েকটা মহিলার গলা শোনা গেল। কেউ বলছে ‘এটা ভুবন মন্ডল না?’ কেউ তার উত্তরে বলছে ‘আরে... মেজকির কাকা’ তার উত্তরে ‘ওদের যে সম্পক্ক খারাপ?’ তার পরিপ্রেক্ষিতে ‘ওরম দেখাতে হয়, ভিতরে ভিতরে...আরে তা না হলে কি আর মেজকির বিয়েতে অত খরচা...’ এইভাবে চর্চা এদের চলতেই থাকল, তবে প্রমিতের এ সব শোনার এতটুকু ইচ্ছে নেই। ও শুনেছিল অভিজিতের মুখে, গ্রামের পরচর্চার বিষয়টা অসহনীয়; অন্তত শহরের পরনিন্দার বিষয়বস্তুর পরিপ্রেক্ষিতে। কারণ, প্রত্যন্ত গ্রাম্য জীবনে এখনো একবিংশ শতকের আধুনিকতা সম্পূর্ণরূপে ছায়া ফেলতে সক্ষম হয়নি। অভিজিৎ বলেছিল, ‘লাস্ট ইয়ার একটি মেয়ের বিয়েতে অর্ধেক লোক খেতে আসেনি। তার কারনটা শুনলে তুই হাসবি। ওদের খেতে না আসার কারন, মেয়েটির লাভ ম্যারেজ!’ কথাটা ঠিক হজম হয়নি প্রমিতের। কিন্তু ট্রেকারের মহিলা দু জনের কথাবার্তা শোনার পর বিশ্বাসটা আপনি ঘারে চেপে বসছে প্রমিতের।
-‘দাদা.. এটাই রেশান দোকান’ প্রমিতকে উদ্দেশ্য করে বলল ড্রাইভার। প্রমিত ট্রেকার থেকে নেমে গাড়ির মাথা থেকে প্রথমে ওর ঢাউস ব্যাগ নামালো। ব্যাগের সাথে একটা বড় কারটুন (বড় বাক্স)-ও এনেছে ও। মালপত্র সব গুছিয়ে ভাড়া মিটিয়ে দিল প্রমিত। এবার সব থেকে বড় কাজটা বাকি; বাড়িটা খোঁজা! কিন্তু অভিজিৎ যে বলেছিল ওদের চৌকিদারটা এসে দাঁড়িয়ে থাকবে এখানে, সে কোথায়? ফোন করবে একবার অভিকে? নাকি... আরে.. আরে.. ওইতো টর্চ হাতে একটা লোককে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। প্রমিতও ওর পকেট থেকে টর্চ বার করল।
-‘আপনি কি প্রমিত বিশ্বাস?’ প্রশ্ন করল আগুন্তুক। আর সন্দেহ রইল না প্রমিতের। এগিয়ে গেল চৌকিদারের দিকে।
২
সেদিন ছিল বছরের প্রথম কালবৈশাখীর দিন।
পার্কস্ট্রিটের এক বারো তলা ফ্ল্যাটের থার্ড ফ্লোরের ঘষা কাচেও কাল বৈশাখের মাতাল করা ঝড় ‘ঠকঠক’ আওয়াজ করেছিল। আর তখন সেই ফ্ল্যাটের বেডরুমে...
-‘ঝড় উঠল না?’ ইশিকার নরম চুলে আঙ্গুল চালাতে চালাতে বলে প্রমিত। ইশিকা প্রমিতের নগ্ন বুক থেকে মাথা তুলে ওর ঠোঁটে আলতো চুমু খেয়ে খুব আলগা ভাবে বলল ‘সো হোয়াট? ঝড় উঠে তো সিচুয়েশান আরো রোম্যান্টিক করে দিল..উমমম..মম..’ আরো একবার গাঢ় ভাবে চুমু এঁকে দিল প্রমিতের ঠোঁটে।তারপর আরো খানিকক্ষণ আদর পর্ব চলার পর ইশিকা বলে ‘আচ্ছা প্রমিত...এর পরেও তুমি চলে যাওয়ার কথা বলবে? আমাকে মিস করবে না ওখানে চলে গেলে?’
-কে বলল মিস করব না? তাই তো বলেছি ‘তুমিও উক এন্ডে যেও’।
-বাজে কথা বলো না। কোথায় উইক এন্ডে আমরা দুজনে নন্দন চত্তরে ঘুরে বেড়াই, প্রেম করি...আর তার বদলে ওই ধ্যাদ্ধেরে গোবিন্দপুরে গিয়ে...ইম্পসিবেল!
ইশিকার কপালে এসে যাওয়া অবাধ্য অলকচূর্ণকে আদুরে আঙ্গুলের ছোঁয়ায় সরিয়ে দিয়ে প্রমিত বলে, ‘আচ্ছা, তুমি কি চাও না; আমি অ্যাস আ আর্টিস্ট পরিচিতি লাভ করি?’
-হোয়াই নট? বাট..সেটা তো কোলকাতায় থেকে, ভাল চাকরি করেও করা যায়। তুমিই বল, সব শিল্পীরা কি গ্রামে গিয়ে ভ্যাগাবন্ডের মত ঘুরে ঘুরে ছবি আঁকে?
-সবাই না আঁকুক, আমি আঁকব! আমি চোখের সামনে সাবজেক্ট চাই...
ইশিকা প্রমিতের এই সিরিয়াস কথাটাকে হালকা ইয়ার্কিতে উড়িয়ে দিয়ে বলে ‘কেন?আমি সাবজেক্ট হতে পারি না?’ কিন্তু প্রমিত এই মন্তব্যটাকে গ্রাহ্য না করে, ইশিকাকে ওর বুকের উপর থেকে সরিয়ে দিয়ে বলে, ‘আমার হাতে ভিঞ্চির জাদু নেই... কিংবা তোমায় ভালবেসে আমার কান কেটেও দিতে পারব না। সো, তোমার পোর্টরেট আঁকা বা তোমার কথা মত তোমার অফিসের আট ঘণ্টার ক্রিতদাস হয়ে থাকা আমার পক্ষে পসিবল নয়’।
ইশিকা সব শুনে অস্ফুটে শুধু বলেছিল, ‘তুমি এইভাবে কথাটা বললে আমায়?’
...
‘আমি তাহলে এবার যাই?’ অভিজিতদের চৌকিদারটার ডাকে চৈতন্য ফিরল প্রমিতের। এতক্ষণ একটানা ঝিঁঝিঁর ডাকে প্রমিত ফিরে গিয়েছিল ইশিকার বেডরুমে। ভাবতে ভাবতে নিজেকেই ভিলেন লাগছিল প্রমিতের। কথাগুলো খুব করা ভাবে বলেছিল প্রমিত, ওটা উচিত হয়নি। মাস গেলে মায়নেটা তো ওখান থেকেই আসত!
-হ্যাঁ হ্যাঁ, তুমি এস।
মেনগেটের চাবি ভিতরের দরজার চাবি, বুঝিয়ে দিয়ে আর রাতের খাওয়ার খেয়ে নেওয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে চৌকিদার চলে গেল।
চারকামরার দোতলা মাটির বাড়িতে এখন প্রমিত একদম একা।এই বাড়ির সন্ধান ওকে ওর কলেজের বন্ধু অভিজিৎ দিয়েছে, এটা অভিজিতদের পৈত্রিক বাড়ি; তবে এখন কেউ থাকে না এখানে। বছরে একআধবার আসে বেড়ানোর জন্য, আর এই একআধবার আসে বলেই এখনো সিদাম (চৌকিদার) কে মাসোহারা পাঠায় অভিজিতরা।এখন প্রমিত এসেছে, ওর জন্য খাওয়ার রান্না করে দেবে বলেছিল; কিন্তু প্রমিত রাজি হয়নি। প্রমিত এখানে একাকি থাকাটাকেও আর্টের পর্যায় নিয়ে যেতে চায়। ইশিকার কাছে, আত্মীয়স্বজনদের কাছে, অফিসের ফাইলে রোজ কলম পেশা মানুষগুলো... যাদের চাহিদা কোনোদিনো পুরন হবার নয়, কোনোদিন যারা তাদের এক্সপেক্টেড স্যালারি পাবে না, সেই জনারণ্যবাসীকে প্রমিত দেখিয়ে দেবে কাকে বলে মাস্টার পিস। এখন দরকার শুধু সাবজেক্ট!
৩
ঘুম থেকে উঠে ঘরের বাইরে আসতেই অচেনা বাতাসের ছোঁয়ায় মনটা বড় ভাল হয়ে গেল ওর। এই শীতল অথচ মধুর বাতাসের কাছে যেন সব তুচ্ছ...ইশিকার রাগ তুচ্ছ, চাকরি হারানোর দুঃখ তুচ্ছ!
-‘সক্কাল সক্কাল এই শীতের মধ্যে উঠোনে দাঁড়াবেননি... নতুন জেগা, ঠান্ডা লেগে যাবে’ বলতে বলতে ঢুকল সিদাম। ওকে ঢুকতে দেখেই প্রমিতের জরুরি কথাটা মনে পরে গেল। অভিজিৎ বলে দিয়েছিল, ‘ওখানে সনত কাকু, মানে সনত হালদার, ওনার একটা কাপড়ের দোকান আছে। ওনার সঙ্গে কথা বলে নিবি, উনি তোর কোলকাতা থেকে রঙ, তুলি ক্যানভাস সব আনিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবেন। আর মনে হয় না তার জন্য তোকে টাকা পয়সা...আই মিন সনতকাকুকে আলাদা করে কিছু দিতে হবে না’।
প্রমিত সিদামকে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা সিদাম, এখানে সনত হালদারের বাড়িটা কোথায়?’
-‘সনতবাবুর বাড়ি তো একদম কাছে। ওই প্রাইমারি স্কুলটার পাশ দিয়ে যে গলি মত রাস্তা চলে গেছে, ওখান দিয়ে সোজা হাঁটলেই ডান হাতের প্রথম বাড়িটা সনত বাবুদের। ওনাদের টাউনে কাপড়ের দোকান আছে তো...’ ইত্যাদি আরো অনেক কথাই বলল সিদাম ভদ্রলোক সম্পর্কে। প্রমিত অত কথায় কান দিল না। সে ভাবল, ‘ভদ্রলোকের বাড়ি যখন যেতে হবেই তখন দেরি করে লাভ নেই, চট পট স্নান সেরে হালকা কিছু টিফিন করে নিয়ে বেড়িয়ে পরবে’।
দুটো বড় খেজুর গাছের ফাঁক দিয়ে দোদুল্যমান জলের স্রোত যেখানে রোদ মাখছে, সেখানে সনতবাবুর বাড়ির ছায়াও পরিষ্কার বিদ্যমান। দোতলা চমৎকার পাকা বাড়িটার দিকে প্রমিত কিছুক্ষন বিমুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকল, তারপর মেনগেট খুলে ভিতরে ঢুকল। ঈষৎ কুন্ঠিত পদক্ষেপেই ভিতরের দিকে এগোলো প্রমিত, যদিও অভিজিৎ তাকে বলেছিল যে তার নাম বললে সনতবাবুর বাড়িতে প্রমিতের কোনো অসুবিধে হবে না, তাও... অচেনা বাড়িতে অযাচিত প্রবেশ...
-‘কে?’
প্রমিত ঘাড় তুলে তাকাতেই দেখতে পেল বছর পঞ্চাশেকের এক প্রৌঢ় ওকে জরিপ করছে। দ্রুত অভিজিতের নাম করে নিজের পরিচয়টা দিয়ে দিল। ভদ্রলোক প্রমিতের কথা শুনে এক মুহূর্ত কি যেন ভাবলেন, তারপর মাথা নেরে বেশ উৎফুল্লভাবে বললেন –‘আরে ভিতরে এস, আমি নীচে আসছি দাঁড়াও’।
‘...তাহলে বুঝলে তো আমি কেন এত শিল্পানুরাগী?’ ঝাড়া দু ঘন্টা নিজের জীবনের শুরুতে কিভাবে একজন শিল্পী হওয়ার বাসনা নিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্যাবসায়ী হয়ে গেলেন সনতবাবু, সে কথা বলার পর আর না বোঝার কিছু থাকতে পারে বলে তো প্রমিতের মনে হয় না। সত্যি কথা বলতে কি, ভদ্রলোক নিজের অ্যাম্বেশান নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনাটা এতটা অতিরঞ্জিত করে বললেন যে সেখানে দুঃখের লেশটুকুও প্রমিতকে স্পর্শ করল না। তবে একটা বিষয় আন্দাজ করে প্রমিত নিশ্চিন্ত হল যে এই প্রত্যন্ত গ্রামে একজন পাওয়া গেল, যার বাড়ি এসে একটু আড্ডা মারা যাবে আর সেই সঙ্গে শহর থেকে ওর প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো আনাতেও অসুবিধে হবে না।
দু ঘন্টা ধরে ড্রইং রুমে বসে প্রমিত কথা বলছে অথচ বাড়ির আর কাউকে সে দেখতে পাচ্ছিল না, এবার দেখতে পেল সনতবাবুর ডাকে।
‘ছোটকি...!’
ভিতরের ঘর থেকে বছর উনিশ কুরির যে মেয়েটি অত্যন্ত সাবলীল ভঙ্গিতে চায়ের কাপ হাতে বেড়িয়ে এল তার দিক থেকে চোখ ফেরানো কঠিন। তবে প্রমিতের মনঃসংযোগ নষ্ট করল সনত বাবুর একটি কথা। চায়ের কাপটা রেখে চলে যাওয়ার সময় সনতবাবু মেয়েটিকে জিজ্ঞেস করল, ‘মেজকি আর ফোন করেছিল?’
মেজকি! এই নামটা কোনো গল্প বা টিভি সিরিয়ালে নয়, এই গ্রামে আসার পরই কোথায় যেন শুনেছে...কিন্তু কোথায়?
৪
মানুষ তবুও নিজের সহজাত প্রবৃত্তিকে আটকাতে পারেনা।
এই গ্রামে আসার সময় ট্রেকারে কয়েকজন মহিলার সমালোচনায় উঠে এসেছিল এই মেজকির নাম, যে সম্ভবত প্রনয়ঘটিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল এবং তাতে তার কোনো এক বিত্তবান কাকা যতেষ্ট অর্থ সাহায্য করেছিলেন (তিনিও ওই ট্রেকারে ছিলেন)। আর মজাটা এখানেই সেই মেজকির বড় দিদি অভিজিতের বলা গল্পের সেই মেয়ে, যার বিয়েতে পাড়ার অনেকে খেতে আসেনি একই কারনে। তবুও ‘প্রেম তো আসে নিঃশব্দ চরণেই’। তাই আজ সনত বাবুর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসার সময় সেই একই বাড়ির ছোট মেয়ের চোখেও প্রমিত স্পষ্ট ভাল লাগার ছাপ দেখেছে, ইংরাজি সাহিত্যের ভাষায় ‘লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট’। আর প্রমিতও বোধ হয় একিভাবে ‘ছটকির’ প্রতি আকৃষ্ট!
প্রমিত বা ইশিকার ভালোবাসায় আসলে সেই হঠাৎ আগমনের ব্যাপার নেই, ওদের প্রেম তাই চাবুক খেয়েছে অনেক জায়গায়। তবুও প্রমিত জানে না ইশিকা ঠিক কি চায়?
প্রমিত ভাবল, এটাই তো হতে পারে সাবজেক্ট। মানুষের হৃদয়ে বাসা বাঁধা অনুভূতি। ইশিকার সাথে কোনো রকম বোঝাপরা ছাড়াই ওর একান্ত আপন ক্যানভাসে দাগ কেটেছে ছোটকি।আসলে সব ভালোবাসার হঠাত আগমন হ-য-ব-র-ল। প্রমিত তাই ছবির নাম দেবে ‘মজারু’। কারন ‘সজারু যদি হতে পারে, তবে মজারু হবে না কেন?’
...ইশিকার ফোন এল এমন সময়।
-----------------------
নাম- অয়ন সাঁতরা
ঠিকানা- ১৭সি এ.সি পাল স্ট্রীট, কোল-৫৭
ফোন- ৯৮৩৬৬১৪০৮৪