সেদিনের স্মৃতি
সেদিন শ্রাবণ বুঝি। গাঁয়ের পথঘাট কর্দমাক্ত। বর্ষায় ধান্য রোপনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। মাঠে মাঠে ট্রাক্টর আর পাওয়ার টিলারের শব্দে খান খান।
সেই বর্ষণসিক্ত দিনে আমার সাধের জন্মভূমি গ্রামকে ছেড়ে কাজের নিমিত্তে দূর শহর কলকাতায় পাড়ি দিয়েছিলাম। সেই দিন টা আজও আমার মনে বড় ব্যথার উদ্রেক করে। যখন একা থাকি মনে পড়লে দুচোখ ভরে জল আসে। পারিবারিক অশান্তি প্রশমনের নিমিত্তে সবুজ শ্যামলিমার স্নেহ ছিন্ন করে ভাইয়ের হাত ধরে চলে এসেছিলাম কলকাতায়। আমাদের বিদায় বেলায় জ্যাঠামশাই এর সেই বহুক্ষণ পথ চেয়ে থাকা ও ক্রন্দনরত মুহূর্ত অক্লেশে হৃদয় ব্যথায় ভরিয়ে দেয়।আমরা দুই ভাই আসছিলাম আর বারবার পিছন ফিরে জ্যাঠামশাই কে হাত নেড়ে টাটা বাই বাই করছিলাম। জ্যাঠামশাইয়ের সেই পথ চেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আজও আমার মনে সূর্যের মতো স্থির হয়ে আছে। আজও অমলিন সে স্মৃতি। আজও বুঝি আমাদের বিদায়ের পথ চেয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। আর অঝোরে কেঁদে চলেছেন। মনে মনে ভাবছেন বুঝিবা হায়রে আমার মা হারা বাছারা কোথায় যাচ্ছিস তোরা সব ছেড়ে সব ফেলে এ বুক শূন্য করে! "শূন্য এ বুকে পাখি মোর ফিরে আয় ফিরে আয়"!! তেমন করে আর ফেরা হয়নি ঘরে।তেমন করে আর ফিরতে পারি না ঘরে! একাকি এমন আজও কেঁদে চলে নির্জনে নিরালায়। সে কান্নার হিসাব মিলবে না কোনদিন দেখবে না কেউ বুঝবে না কোনদিন! তবে আজও জন্মভূমি জননী মা আমায় হাতছানি দিয়ে ডাকে। আজও জ্যাঠামশাইয়ের ক্রন্দন আমার হৃদয় বিদারিত করে!
*****************************************
মৃত্যুঞ্জয় হালদার
কানন এপার্টমেন্ট
কানন এপার্টমেন্ট
গড়িয়া স্টেশন রোড
গড়িয়া কলকাতা-৮৪
ফোন নং- ৭৫৯৫৯১২২০৬
হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর
হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর
তারিখ- ০৬/০১/২০২০
************
************