Featured Post

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

ছবি
  "নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি।  ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)।  আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব

মৌমিতা ঘোষালের মুক্তগদ্য



একুশে



সূর্যটা সেদিন আলাদা ছিল না। শুধু এক ভাষার অস্তিত্ব ছিনিয়ে যাবার বিরুদ্ধে সেদিনের রাস্তায় নেমেছিল হাজার হাজার মানুষ, তারা না দেশ-রাষ্ট্র-সত্তা চেয়েছিল, না চেয়েছিল তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত কোনো দাবি। তারা প্রত্যেকেই চেয়েছিল সন্মান, নিজের ভাষার সন্মান। ১৯৫২, ২১শে ফেব্রুয়ারি। ঢাকার রাজপথে নেমে আসে হাজার হাজার বাঙালি, দাবি একটাই 'বাংলা' ভাষা। গুলি চলে। নির্মম ভাবে রক্তাক্ত হয় রাজপথ। তবুও আন্দোলন চলে, মাতৃভাষা বুকে ধরে বাঙালি অমর করে তোলে একুশে-কে। সন্মান-প্রাণ-নাড়ীর টান নিজের ভাষাকে আমৃত্যু বলার স্বাধীনতার রাগে একুশের সূর্য অমর আমার বুকে। হ্যাঁ, আমি সেই বাঙালি। আমার জীবনের প্রথম সূর্য আমাকে বাংলা ভাষা চিনিয়েছে। ছোটবেলায় মায়ের কোলে নিয়ে মাথায় বিলি কেটে দিতে দিতে 'এক যে ছিল রাজপুত্তুর...' রূপকথায় বেঁধে দিত সমস্ত স্বপ্নটা। আমি মায়ের বুলিতে বুনে তুললাম আস্ত একটা জগত। আমার বাংলা শৈশব জুড়ে খেলার মাঠে, পড়ার বইয়ে, দুষ্টুমি ঘিরে,ভালোবাসায়, দুঃখে, রাগে, কান্না-হাসিতে দু'হাত ভরিয়ে দিয়েছে। প্রত্যেক হোঁচটে 'মা গো' বলে কাতরেছি। 'ধ্যাত্তেরি' বলে বিরক্ত হয়েছি। প্রেমিককে 'ভালোবাসি' জানিয়ে তার রাঙা গালে বাংলাকে রঙিন হতে দেখেছি। নিজের অধিকার-সম্মানে, তর্কে-বিতর্কে, আবেগে-আন্দোলনে বাংলা আমার ভাবনায় এনেছে প্রাণ। প্রৌঢ়া আমি যখন শেষ শয্যার আমার বাংলায় আমি চেয়েছি 'জল', চেয়েছি ফিরে আসতে আবার, এই বাংলায়। আবার এই ভাষায় গুনগুনিয়ে, আমার অগোছালো স্বপ্ন সাজাতে আমার মায়ের ভাষায়। চেয়েছি পরজন্মের সূর্য যেন আবার আসে এই ভাষায় ঘিরে। হ্যাঁ, আমি সেই বাঙালি যার নাড়ীর টানে শুধু বাংলা। যার মাতৃভাষার উপর একটা আঁচড় লাগলে হাজার হাজার রফিক, জব্বর, বরকত নেমে আসবে রাস্তায়, তারা না দেখবে ধর্ম, না মানবে শাসক দলের ভ্রুকুটি, বুকের রক্ত ঝরিয়ে শাসকের দম্ভ চুর্ন করে ছিনিয়ে নেবেই মাতৃভাষার সম্মান। একুশে অমর, একুশে শাশ্বত।

=============

মৌমিতা ঘোষাল
বাঁকুড়া

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

নবপ্রভাত সম্মাননা ২০২৪

জনপ্রিয় লেখা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৬৭তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৪তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩১ এপ্রিল ২০২৪

অনুভবে, অনুধ্যানে অনালোকিত কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী ।। সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৬৬তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩০ আগস্ট ২০২৩