পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ছবি
  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র : ২৫তম সংখ্যা মার্চ ২০২০ চৈত্র ১৪২৬

ছবি
সূচিপত্র গদ্য: বনশ্রী রায় দাস       ডাঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়    রণেশ রায়    প্রণবকুমার চক্রবর্তী    বটু   কৃষ্ণ   হালদার    সবিতা বিশ্বাস     শেফালী সর    অনির্বাণ মন্ডল    কৃষ্ণেন্দু পাল    জিত   মল্লিক    অঞ্জনা   গোড়িয়া    সুব্রত মাইতি    সঞ্জয় কুমার মল্লিক পদ্য:   অর্যমা ভট্টাচার্য       চন্দন মিত্র    উত্থানপদ বিজলী    রাখী সরদার    সুমিত মোদক আবদুস সালাম     তাপসী প্রামানিক   সুমন নস্কর    সৌরভ ঘোষ    দীপঙ্কর বেরা সুজাতা মিশ্র ( সুজান মিঠি )    অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়    শ্যামাপদ মালাকার    রাণা চ্যাটার্জী সুকুমার কর     সঞ্জীব সেন    বিমল মণ্ডল    সুনন্দ মন্ডল    মৃণাল কান্তি ভট্টাচার্য পারমিতা রাহা হালদার ...

নিবন্ধ : বনশ্রী রায় দাস

ছবি
ভেঙে দাও লজ্জার কপট কপাট      এ যেন ছেলে ভোলানো কথা সমস্ত অধিকার তোমায় দিলাম কিন্তু কোনো অধিকারই প্রকৃত   কার্যকরী হয় না কিংবা হতে হতে অর্ধেক জীবন   অথবা গোটা জীবনই পেরিয়ে যেতে পারে । আদপে নারীজাতি কী প্রকৃত মানুষের সম্মান     অথবা মর্যাদা পেয়ে থাকেন? আসলে অধিকাংশ পুরুষ নারীকে একটি নির্দিষ্ট গম্ভীর মধ্যে দেখতেই অধিক সাচ্ছন্দ বোধ করেন । নারী হবে সংসারী অঙ্কশায়িনী লাজবন্তী ইত্যাদি ইত্যাদি । হাতের তালুতে রেখে নাচিয়ে নেওয়া যায় ইচ্ছে মতো।তাই তো ঘরে বাইরে নারী প্রতিক্ষণে নিপীড়িত । যৌনতার নিরিখে যথেচ্ছ বববহার করা হয় বিজ্ঞাপন থেকে শুরু দেবতার আসন পর্যন্ত ।                      পুরীর মন্দিরে প্রায় আটশ বছর ধরে নারীদের দেবদাসী বানিয়ে দেবতার চরণে উৎসর্গ করার রীতি প্রচলিত ছিল। পুরোহিতরা সেই সমস্ত কিশোরী কিংবা যুবতীদের দেবতার চরণে উৎসর্গ করে নিজেরাই যথেচ্ছ যৌনাচার চালাতো।তাহলে ভাবুন এরা এতোটাই পাপিষ্ঠ  মানুষের চোখে ধর্মের ধুলো ছিটিয়ে মন্দিরকে   করেছে যৌনতার কেন্দ্র ভূমি...

কবিতা : অর্যমা ভট্টাচার্য

ছবি
লজ্জা ______ অবিন্যস্ত আঁচল ধুলোয় থমকে--- উচ্ছ্বল জলরাশির  হঠাত্ - স্তব্ধতা ঘেরা আর বাকিটুকু  অব্যক্ত। পাঞ্চালী ক্লান্ত --- সহায়তার শেষ প্রার্থনায়।  মুক্তির আর্তিতে  বিষাক্ত নির্জন কৃষ্ণচূড়া  কেবল রিপুর উল্লাস, আর উপহাস পৌরুষ-দম্ভের। দুঃশাসন একা? তার প্রতিবিম্বগুলিও মত্ত আজ! ছেঁড়া সুতোয় ভিজতে থাকে আলো, আঁধারে ঢেকে যায়                        মূর্তিখানি! দ্রৌপদী যাজ্ঞসেনী,   ঈশ্বরী শিখীপুচ্ছে মেঘ ঘনায়, বর্ষা নামে পুরাণকথার আশ্বাসে। টেলিভিসনটা বন্ধ করলাম                      ..... বাইরে মাটিটা ভেজা তখনও          দ্রৌপদীর লজ্জা-ছেঁড়া শরীর                   অশ্রু-ধুলোয় ঘেরা! পাশে ছড়িয়ে --- ভাঙা চুড়ির টুকরো            গ্রহণ-দাগ...

প্রবন্ধ : ডাঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়

ছবি
নারীকে ঘিরে এটা বললে নিশ্চয় বেশী বলা হবে না যে মানব প্রাণ সৃষ্টির মুহূর্ত থেকে শরীর বা মনের দিক থেকে নারী দুর্বল ছিল। কিন্তু নারীকে নরের প্রয়োজন ছিল। আবার নরকেও নারীর। এই পারস্পরিক প্রয়োজন প্রাকৃতিক ভাবে বংশ প্রবাহকে রক্ষা করার খাতিরে। অর্থাৎ নর-নারীর পারস্পরিক প্রয়োজনবোধ অবশ্যই প্রাকৃতিক প্রয়োজনের নিরিখে। প্রকৃতি এই ব্যবস্থা করেছে প্রকৃতিকে নিজেকে রক্ষা করার তাগিদেই। এছাড়াও আছে নারীর প্রতি নরের আবেগ আর আকর্ষণ। নর আর নারী এই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভালবাসার বন্ধন বা হৃদয়ের টান ঠিক কবে থেকে এসেছিল তা হয়ত বলা বেশ একটু শক্তই হবে। প্রথম দিকে হয়ত যৌনাবেগটাই প্রবল ছিল। আর এই তাড়নাতে নর নারীকে সর্বদা সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করত। হয়ত নারীকে সে কেবল তার সম্ভোগের বস্তু বলে ধরে নিত আর নিজের সম্পত্তির মত তাকে আগলে রাখার চেষ্টা করত। এই সুরক্ষার প্রয়াস অবশ্যই নিজের স্বার্থে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। একথা অবশ্যই অস্বীকার করার উপায় নেই যে যৌনতার আবেগ হল জগতের সবচেয়ে বড় আবেগ। অন্য সমস্ত আবেগকে হার মানিয়ে দেয় এই আবেগ। এই আবেগ যখন...

চন্দন মিত্রের কবিতা

ছবি
নরকের দ্বার অথবা নাপাক তোমাকে                     জীবনের প্রতিটি পইঠায় ছায়া নিয়ে মায়া নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন নাম ও ভূমিকায় দাঁড়িয়ে রয়েছ বলে মধুময় পৃথিবীর ধূলি মধুময় আলো ও হাওয়া মধুময় চাঁদ ফুল পাখি গাছপালা মধুময় মাঠ নদীনালা মধুময় বেদ বাইবেল ত্রিপিটক গীতা মধুময় আবেস্তা কোরান মধুময় ঐশ্বরিক বাণী তবুও নিদান দিয়ে নরকের দ্বার অথবা নাপাক তোমার জীবন যাতে অনায়াসে জাহান্নম করা যায় অনায়াসে পালিত পশুর মতো মুখাপেক্ষী করা যায়  তার আয়োজনে এইসব অনশ্বর ঐশী লিপিমালা সাদরে গৃহীত হয় শতক গড়িয়ে যায় শুধু ঐশী পুরুষগণ মায়াময় স্বয়ম্ভূ নয় কেউ মানবসন্তান ভোগের জগতে তারা নেমে এসেছিল রমণীসঞ্জাত  চিনেছিল দেহতরি রঙিলা মাঝির মতো এক বা অধিক   সুরম্য হাল ধরে সোৎসাহে তরঙ্গ শিখরে উঠে বুঝেছিল  প্রকৃতির ছিলা থেকে কেমন সটান ছিটকে যায় সাধু ও শয়তান সম বেগে প্রেমের জোয়ার অভিমুখে  ডুব দিয়ে বুঝে নেয় অধিক সত্য এই...

প্রবন্ধ : রণেশ রায়

ভারতের নারী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে   সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের চর্চা ভূমিকা : মানব সমাজে সমাজতন্র প্রতিষ্ঠিত হওয়াটা একটা ঐতিহাসিক অবশ্যম্ভাবিকতা বলে  মনে করা হয়। আর সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রকৃত গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। লিঙ্গগত বৈষম্য দূর হয়। নারী স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত করার লড়াই সম্পর্কে জার্মান নারী মুক্তি আন্দোলনের নেত্রী ক্লারা জেটকিন বলেন যে  রুটি রোজগারের লড়াইয়ের সাথে নারী আন্দোলনকে যুক্ত না করতে পারলে নারীমুক্তি আন্দোলন দানা বাঁধতে পারে না। আর এ লড়াইয়ে পুরুষ নারীর প্রতিযোগী নয় সহযোদ্ধা। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে গণতন্ত্রের আদর্শ নিয়ে আলোচনা নিয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ এসে পরে সেটা হলো সমাজতন্ত্র কিভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে কারন সমাজতন্ত্ৰ তো  সর্বহারার একনায়কত্বের কথা বলে যেখানে মানুষের অধিকার সংকুচিত হয়। সেখানে মেয়েদের গণতন্ত্র কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে? ব্যাপারটাকে স্ববিরোধী বলে প্রচার করে পশ্চিমী ঢঙের গণতন্ত্রের কারবারিরা। তারা শ্রেণী নিরপেক্ষে সব মানুষের জন্য এক অদ্...