মুখ - কিছু সাবলিল কথা
বয়সের পাতা ঝরে পড়তে আমরা বড় হই।
তবুও শেখা হয় না বয়সের মানে।
সে চুপি চুপি এক নারী; হাতে তার চিরকালিনের খুন্তি নাড়া কড়া।
মা না। সে এক বন্ধুত্বের খাতির বা নিছক কামশুন্য ভালোবাসা।
কোনো পড়াশুনার ডিগ্রি নেই, সামান্য চাষার মেয়ে, চাহনিতে সরলতা। তবুও কি দারুন সফল জীবন পাঠক।
আমাকে জীবনের গুরুত্ব চোখের সামনে সরল ভাবে ভাসিয়ে দিল; যেন আকাশের মেঘ সরে চকচকে রোদ।
তার নাম রাণী। শান্ত সরবরে যার ছবি অনেকটা কোলাহল হাস।
আমার সমস্ত আত্মা চিহ্নিত চোখের উজ্জ্বল আলোতে ভাষতে থাকে।
তার বরাবরের ইতিহাস সামান্য তবুও
আমার কাছে অসামান্য লেদের ঝালাইকাঠি।
বারবার মচকানো মেরুদন্ড জোড়া লাগিয়ে সোজা দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
আর প্রতিবার বিফলতায় আমি কেঁদেছি।
বয়সের ঝরাপাতা লাগতে বড্ড বেশি ভাবনা পায়।
রাণীর শরীর চেয়েছি; মন না।।
এখন বুঝছি শরীরটা সাময়িক।
খেলনা ঘরের মতো টুকরো হতে সামান্য সময়।
তার চিন্তাধারা গতিপথে আমার কি হয়েছে আজ বেশ স্পষ্ট।
পরতে পরতে ভেঙেছে ঠুনকো চাটুকারিতা।
তবুও সে অন্য। অনেক রাণীরা থাকে যারা চিরকাল অন্যের ভালো করে।
নিঃশব্দ। নিঃশর্ত।।
------------------------