google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re তবে হাসুন...!! বিশ্বজিৎ কর - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

তবে হাসুন...!! বিশ্বজিৎ কর

 

তবে হাসুন...! 

বিশ্বজিৎ কর। 

****************
 
বিশৃঙ্খল এই বাতাবরণে আমরা হাসতেই ভুলে যাচ্ছি। জোর করে মাঝে মাঝে দু'একটা শুষ্ক হাসি! সংগৃহীত কয়েকটি ঘটনায় সেই হাসির সন্ধানের প্রয়াস...... 
 
 (১) "লা মিজারেবল" উপন্যাসের লেখক ভিক্টর হুগো এবং ঐ বিখ্যাত উপন্যাসের প্রকাশকের মধ্যে অদ্ভুত ধরনের এক চিঠির বিনিময় ঘটেছিল। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর একটা কাগজে ভিক্টর হুগো একটা জিজ্ঞাসার চিহ্ন (?) এঁকে খামে ভরে প্রকাশকের কাছে পাঠিয়ে দেন, সাঙ্কেতিক সেই চিঠির জবাবও খুব তাড়াতাড়ি চলে এল! প্রকাশক ভদ্রলোকও তেমনই এক কাগজে শুধুমাত্র একটা বিস্ময়ের চিহ্ন (!) এঁকে পাঠিয়ে দিলেন। আসলে হুগো জানতে চেয়েছিলেন যে বইটি কেমন চলছে এবং পাঠকবর্গ কি বলছেন! প্রকাশকের জবাব ছিল বই বিক্রি বিস্ময়কর এবং পাঠককুল বিস্ময়ে অভিভূত! 
 
 (২) বিখ্যাত মার্কিন লেখক হেমিংওয়ে তাঁর রুশ লেখক বন্ধু নবোকভকে একদিন বললেন -"ভাগ্যিস কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিল, তাই তুমি এই দেশে আশ্রয় পেলে!"  নবোকভের চটজলদি জবাব-"কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার না করলে দুনিয়াটা আর একটু শান্তিতে থাকতে পারত!" 
 
(৩) নাৎসি মহানায়ক হিটলার একবার জারমানির এক পাগলা গারদ পরিদর্শনে গিয়েছেন, সেখানে প্রতি রোগীকে আগেই শিখিয়ে রাখা হয়েছিল যে হিটলার প্রবেশ করা মাত্রই সবাই একসাথে হাত তুলে "হেল হিটলার" বলে অভিবাদন জানাবে। যথারীতি হিটলার এলেন, সবাই হাত তুলে চেঁচিয়ে শেখানো কথা বলে উঠল। দেখা গেল একজন নির্বিকার ছিল! হিটলার রেগে গিয়ে এর কারণ জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক জবাব এল -- "স্যার, আমি তো পাগল নই! আমি এই হাসপাতালের ওয়ার্ডেন!"
 
**************




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন