Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি
  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

নিবন্ধ ।। Self Medication ।। গৌতম সমাজদার


Self Medication 

গৌতম সমাজদার 



যখন একজন মানুষ তার অসুস্থতা, মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাবার জন্য ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ কিনে তা ব্যবহার করে, তাকে self medication বলে। নিজের থেকে মানসিক বা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কষ্ট থেকে রেহাই পাবার জন্য কোন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ নিজের ওপর প্রয়োগ করে তা অনেক সময়ই বিপদ ডেকে আনতে পারে অথবা সেই ওষুধের ওপর নির্ভরতা দিন দিন বাড়বে।মাথা ব্যথা, গা-হাত-পা ব্যথা হলেই ওষুধের কাউন্টার থেকে কিনে খায় যা তার সামান্য রোগকেও বাড়িয়ে তুলতে পারে।আবার এটাও হয় কারো বা নিজের পুরোনো prescription দিয়ে ওষুধ কিনে খায়। তাতে কিন্তু কষ্ট বেড়েও যেতে পারে। পুরোনো ওষুধ খেয়ে ফেললে যা নির্দিষ্ট সময় পরে শরীরে কাজ করে না তাতে কষ্ট তো কমেই না, ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে। তাই expired ওষুধ কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয়। এটা হয় মূলতঃ সময়ের জন্য গুণগত মান কম থাকে বলে। এটা খাওয়া বিপদজনক এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ না খেলেও এর বিপরীত ফল হতে পারে। তাই ডাক্তার দেখিয়ে prescription অনুযায়ী ও expire date দেখে তবে গ্রহণ করা উচিত।শরীরে ক্ষতিকর জীবাণু প্রবেশ করলে মূলতঃ ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে শরীর অসুস্থ হয়। Antibiotic তার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের সুস্থতা প্রদান করে। ডাক্তার দেখিয়ে তার নির্দেশমত ওষুধ শরীরে প্রয়োগ করা উচিত। কিন্তু এটার যদি অপব্যবহার হয়, নিজের খুশিমত তাহলে শরীরে resistance তৈরী হয়। ফলে ভবিষ্যতে এই Antibiotic প্রয়োগ করলেও কোন ফল পাওয়া যাবে না। তখন আরো উচ্চমাত্রার antibiotic প্রয়োগ করার দরকার হবে। নিয়ম ও নির্দেশ মেনে ওষুধ গ্রহণ না করলে শক্তিশালী antibioticও কাজে আসবে না। ভুল ব্যবহারে কাজ কম হবে এবং শারীরিক জটিলতা বেড়ে যাবে।Self medication এ ভুল মাত্রায় ওষুধ গৃহীত হয়। কম মাত্রায় খেলে উন্নতি হবে না এবং সঠিক ফলাফল দেবে না। আবার বেশি মাত্রায় নিলে তা বিপদজনক হতে পারে এমনকি মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। কাউন্টার থেকে নিজের খুশিমত ওষুধ কিনে খেলে তা নেশা হয়েও দাঁড়াতে পারে অর্থাৎ ওষুধে addiction হয়ে যাবে। নিজের থেকে ওষুধ কিনে খেলে তা রোগীর শরীর নাও নিতে পারে। যেটা ডাক্তারবাবু বুঝবেন তাই করতে হবে। আবার অ্যালার্জিও হতে পারে। সেই অ্যালার্জি থেকে মৃত্যুর ঘটনাও বিরল নয়। নিজের ছোটখাট কিছু হলেই দোকানে গিয়ে ওষুধ কিনে প্রয়োগ করা ঠিক নয়। কারণ রোগটাই সঠিক নির্ণয় হল না। হয়ত কোন ওষুধ না খেয়েই সামান্য বিশ্রাম বা বেশি জল খেলেই কমে যেত। ওষুধ প্রয়োগে বিপদ বেড়ে যেতে পারে। তাই ডাক্তার দেখিয়ে তার নির্দেশমত চলাই উচিত। ডাক্তারের নির্দেশ ছাড়া ওষুধ কিনলে ভুল ওষুধ হতে পারে, ভুল মাত্রা হতে পারে। তাতে বিপদ বাড়তে পারে।Self medication এর জন্য দায়ী কিছু মিডিয়াও। সেখানে অবিরাম  প্রচারের ফলে বিশেষতঃ মহিলাদের, তারা ফর্সা হবার জন্য, মুখের বিভিন্ন দাগ বা ফুসকুড়ি কমানোর জন্য প্রচারের ওষুধ প্রয়োগে চামড়ার ক্ষতি হয় এবং এর থেকে হতাশা গ্রাস করতে পারে। প্রথম দিকে সেই ওষুধ হয়ত কিছুটা কাজে আসায় আনন্দ হয় কিন্তু পরে তা চরম বিপদ বয়ে আনে। তাই ডাক্তারের নির্দেশমতো, মাত্রা মতো ব্যবহার করা উচিত।অনেকেই মানসিক অবসাদ, অস্থিরতা, উদ্বিগ্নতা কাটানোর জন্য মদ্যপান করেন। যেটা ভুলে থাকার চেষ্টা, আসলে এটা self medication. প্রাথমিকভাবে মদ খেলে হয়ত সেই সমস্যাগুলো সাময়িকভাবে ভুলে থাকা যায় কিন্তু অচিরেই বোঝা যায় মদের পরিমাণ বাড়ালেও সমস্যা রয়েই যাচ্ছে। সাথে দিন দিন আসক্তি বাড়ে এবং নির্ভরতা তৈরী হয়। মারিজুয়ানা অনেকেই ব্যবহার করেন নিজের stress, anxiety থেকে রেহাই পেতে। কিন্তু ভাল তো হবেই না, উল্টে এই মারাত্মক নেশার খপ্পরে শরীর ও জীবনের ক্ষতি হয় এবং সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।অনেকেই self medication করার পর বুঝতে পারেন নিজের ক্ষতি হয়ে গেছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান। তখন যারা সচেতন মানুষ, তাদের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং সাহায্যের হাত বাড়ানো। তাদের positive ভাবনা দিয়ে জীবন সুখী ও সুস্থ করে তোলার দায়িত্ব নেওয়া। এছাড়াও self medication এর বিরুদ্ধে জনমত  গড়ে তুলতে হবে। মিডিয়ায় বিভিন্ন ক্ষতিকর বিজ্ঞাপন বন্ধে সভা, সমিতির আয়োজন করা। তবে সমাজ এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

------------------------------
Goutam Samajder, 22/86 Raja Manindra Road , kol 37

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত