Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবি
  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

অণুগল্প।। স্বপ্নের রঙ ।। সুচন্দ্রা বসু

স্বপ্নের রঙ

সুচন্দ্রা বসু 



দেবুদা এসেই বলল শোন ডাক্তার, নববর্ষে কি করছো।
কি আর করব বল? 
ডাক্তারিটা পারি, তাই করছি। 

দেবুদা বলল বাঙালির বর্তমান ক্যান্সার আক্রান্ত। তুমি এর চিকিৎসা  জান? 
হঠাৎ তুমি এমন কথা বলছো কেন ? 
 না বলে আর কি করি বল ? 
 আচ্ছা, তুই ভেবে দেখ, বাঙালির নিজস্ব বলতে এখন আর আদৌ কিছু আছে? 

কেন বাংলার আচার আচরণ ও সংস্কৃতি তো আছেই। 

সে ছিল একসময়।আজ সে'সব হারিয়ে গেছে। আজ যেটা বাঙালির আছে সেটা অ-সদাচরণ অপ-সংস্কৃতি।   

 পঞ্জিকা মতে  বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ।

না এখন আর বারোমাসে তের পার্থবণ নয়। চোদ্দপার্বণ।

বাঙালি অন্যের সংস্কৃতি গ্রহণ করতে ওস্তাদ এখন।
দেখ না কোনকালে বাঙালি এমন ঘটা করে  গণেশ পুজো করত?  কিম্বা খ্রীস্টমাস ডে বা নিউইয়ার পালন করত? আমাদের ছিল সবেধন  নববর্ষ, পৌষসংক্রান্তিতে পিঠে-পুলি-পায়েস খাওয়া। 
সেসব কোথায় হারিয়ে গেল। আছে শুধুমাত্র দূর্গাপূজা কালীপূজা লক্ষ্মীপূজা। 

তা যা বলেছিস

ভেবে দেখ,শিক্ষিত বাঙালিরা নিজের মাতৃভাষায় কথা বলতে লজ্জা পায়।ক'জনে আর বলে । তারা আধুনিক হতে গিয়ে ইংরেজি ভাষার সমাদর করে। বাংলা মাধ্যম স্কুলে না পাঠিয়ে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে নিজেদের সন্তানদের পাঠায়। 

শুনে দেবুদা আফসোস করে বলল, জানি রে বাঙালির বাঁচার আশা নেই।

এইতো সেদিন  আমার চেম্বারে  আঠারো বছরের একজন তরুণী এসেছিল। তাকে আমি পরীক্ষা করতে করতে,কৌতূহলবশত জিজ্ঞেস করলাম 'বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও ?'
মেয়েটি আমাকে আশ্চর্য করে বললো, "মানুষ হয়ে  বাঁচতে চাই"। আমি তার মুখের দিকে থমকে 
তাকালাম।সচরাচর কেউ তো এমন কথা বলে না। বুঝতে পারলাম মেয়েটির স্বপ্নে  রঙ ধরেছে।


বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে সে। বাবা মায়ের ইচ্ছে ছিল ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার করে গড়ে তুলবে তাকে।বাবা মায়ের ইচ্ছায় মেয়েটির কোন সায় ছিল না। ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার তো অনেকেই হয়। কিন্তু মানুষের মতো মানুষ ক'জন হয় এই সমাজে। মেয়েটি মানুষের মতো মানুষ হতে চেয়েছিল ।কিন্তু তার বাবা মা সে ইচ্ছের কোন মূল্য দেয়নি।আসলে  বুঝতে চায়নি মেয়েটির ইচ্ছের গভীরতা।


শুনে দেবুদা বলল সত্যি এটা বাঙালি-জীবনের বড় ট্রাজিডি। বাঙালিরা সন্তানের ভিতর দিয়ে তাদের নিজেদের ইচ্ছে পূরণ করতে চায়।কিন্তু সন্তানদের ইচ্ছে পূরণে কোন সহযোগিতা করে না।
অথচ দেখ পাশ্চাত্যদেশের লোকেরা তাদের সন্তানদের ইচ্ছেমতো মানুষ হতে দেয়। তারা তাদের সন্তানদের ভিতর দিয়ে নিজেদের ইচ্ছে পূরণ করতে চায় না। বাঙালিদের মতো তারা তাদের সন্তানদের কিছু বানাতে চায় না। ইচ্ছেমতো মানুষ হতে দেয়।
শুনে ডাক্তার বলল বাঙালির এই রোগটা হৃদয়বিদারক, ক্যান্সার আক্রান্ত। 

================
সুচন্দ্রা বসু 






 

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত