নিরঞ্জন মণ্ডল
জমাট সাধের রঙ মাখিয়ে স্বপ্নে ভেজা মিঠি
ঠিক করেছি লিখব আজই জন্মদিনের চিঠি
আকাশ পাহাড় মেঘ সাগরের কাছে,
ছড়িয়ে দেব হাওয়ায়,বনের গাছে।
আকাশ মামা তোমার কাছে এটাই প্রথম চিঠি
লিখতে যেন হয়না আবার এরই পিঠোপিঠি!
জন্মদিনে তোমার আসা চাই,
সঙ্গে এনো তারার মালাটাই।
আঁধার যখন দু'চোখ থেকে পিছলে যাবে সরে
সেই সময়েই নীল জামা গায়,চাঁদের মুকুট পরে
গলায় নিয়ে রোদ-ঝলমল গান ;
রাখছি পেতে জানলা জোড়া কান।
পাহাড় কাকু তোমার কাছেও প্রথম চিঠি এটা,
আমায় তুমি ভালোবাস ভালই বুঝি সেটা।
জন্মদিনে ঠিক সময়েই এসো,
ঝর্ণা-ডোরা সবুজ জামায় হেসো।
সঙ্গে এনো রঙিন নুড়ি পাথর কুচির হার
বরফ জলের নদীর ছবি ঢেউ ভাঙা দুই ধার।
গাইবে সেদিন রাখতে আমার মান
ঝড় তুফানেও দাঁড়িয়ে থাকার গান।
অনেক চিঠি লিখছি তো রোজ মেঘদাদা তোর কাছে
কিন্তু এটার একটু হলেও বাড়তি যে দাম আছে।
জন্মদিনে আসবে আমার বাড়ি
নইলে দেব চিরকালের আড়ি।
বিজলি-ধোয়া ওড়না এনো,জল-টলটল বাঁশি
পশলা খানেক হিরের কুচি,বাজ-গুড়গুড় হাসি।
গলায় এনো হাওয়ায় ভাসার গান,
বিল ভাসানোর টাটকাঅভিমান।
সাগর দাদু লিখছি তোমায় অনেক দিনের পর
প্রথম লিখি যখন ছিল ঝিনুক ভরা চর।
ঢেউয়ের মতোই ভুলো তোমার মন
রেখো দোহাই আমার নিমন্ত্রণ।
সঙ্গে এনো মুক্তো-ঝিনুক,শঙ্খ-ফেনার মালা
উদাস নীলে দিক হারানো ধূপছায়া রোদ-বালা।
সব ভোলানোর জলদ-গভীর গান
ভোজের আগে শুনিয়ে রেখো মান।
জন্মদিনে তারাও এসো পড়লে যারা বাদ
সবার সাথেই দিনটা কাটুক অনেক দিনের সাধ।
পত্র লেখা সাঙ্গ করি আজ,
সামনে জমে আছে অনেক কাজ।
ভুল বুঝো না রাগ কোরো না দুষ্টু ঝড়ের মতো
সবাইকে না লিখতে পারার কষ্ট আমার কত
বুঝতে যদি পার সবাই তবে
জন্মদিনে দেখা হবেই হবে।
===============
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন