পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২৪ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৩তম সংখ্যা ।। চৈত্র ১৪৩০ মার্চ ২০২৪

ছবি
সূচিপত্র  প্রবন্ধ-নিবন্ধ নারী স্বাধীনতা এবং সনাতন মানসিকতা ।। নূপুর দাস পি. কে. রোজি : এক দলিত অভিনেত্রীর আত্মকথা ।। নন্দন জানা স্তন-কর রুখতে "নাঙেলি"র আত্মত্যাগ ।। শাশ্বতী চ্যা টার্জী প্রথম পেশাদার বাঙালি নারী চিত্রগ্রাহক অন্নপূর্ণা দত্ত ।। সৌভিক দে   নারীর দ্রোহ ও প্রতিবাদ : 'নিষিদ্ধ লোবান' উপন্যাসের আলোকে ।। মোরশেদুল আলম রীনা সাহার কবিতা : মাথার ঘামের ইকোসিস্টেম ।। উদয় সাহা কর্মরতা মা -- একজন যোদ্ধা ।। তৃষা সানা নারী দিবস পালন ও যৌক্তিকতা ।। রাণা চ্যাটার্জী আধেক ধরা ।। শংকর ব্রহ্ম   জ্যোতিপ্রকাশের উৎসাহে রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি ।। অনুপম বিশ্বাস সরস্বতী পুজো ।। অঙ্কিতা পাল মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব সংখ্যা ২০২৩ ইবুক আকারে ডাউনলোড করে পড়তে চাইলে এই ছবিতে ক্লিক করুন। গল্প    কলার টিউন ।। নীলাঞ্জনা ঘোষ   টিয়া মাসি ।। সুবিনয় হালদার     অনুপমা ।। শ্রীমন্ত মণ্ডল নীলিমার আত্মজাগরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত   বিনিতার চোখে নারী দিবস লেখা ।। অমিত কুন্ডু   যমুনা বাড়ি ফেরেনি... ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিষাদদূরীকরণ ।। লিপিকর   অদ্বিতীয়া শ্রেয়া ।। মিঠুন মুখার্জী    কবিতা-ছড়া 

নারী স্বাধীনতা এবং সনাতন মানসিকতা ।। নূপুর দাস

ছবি
  নারী স্বাধীনতা এবং সনাতন মানসিকতা নূপুর দাস   নারী স্বাধীনতা আসলে কী? এই প্রশ্নটি যদি জনসম্মুখে করা হয়, তাহলে বিজ্ঞ জনদের ধাক্কায় দাঁড়িয়ে থাকা দায় হবে। নারী অধিকার নিয়ে, নারী স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলার লোকের অভাব হয় না। তাহলে অভাবটা কিসের? অভাব হচ্ছে উপলব্ধিতে। নারী স্বাধীনতা যে কী, তা উপলব্ধি করার মানুষের বড় অভাব। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছি, বর্তমান সমাজে দুই ধরনের জনগোষ্ঠী খুব তৎপর। এক ধরনের জনগোষ্ঠী উগ্রতার দোহাই দিয়ে নারী স্বাধীনতাকে কৌশলে ধ্বংস করার চেষ্টায় মত্ত। আরেক ধরনের জনগোষ্ঠী নারী স্বাধীনতার আড়ালে উগ্রতাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যস্ত। নারী স্বাধীনতা মানে উগ্রতা নয়। তাই নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হোন, উগ্রতায় নয়।                  আমি বুঝি নারী স্বাধীনতা অর্থ হলো, নারীর নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং নিজের সুস্থ চিন্তার সঠিক বাস্তবায়ন করতে পারা। বিষয়ের জটিলে না গিয়ে নারীবাদ নিয়ে একটা কথা না বললেই নয়। নারীবাদের সৃষ্টি নারীকে পুরুষের মর্যাদায় তুলে আনার জন্য বা নারী পুরুষের সমান অধিকারের দাবিতে এবং নারীর প্রতি শারীরিক ও মানসিক অপরাধ কমানোর লক্ষ্যে। কিন্তু ন

প্রথম পেশাদার বাঙালি নারী চিত্রগ্রাহক অন্নপূর্ণা দত্ত ।। সৌভিক দে

ছবি
এক অন্য অন্নপূর্ণার গল্প সৌভিক দে উনিশ শতকের শুরুর দশকগুলিতে ফটোগ্রাফিকে পেশা হিসাবে অনেকেরই নেওয়ার স্পর্ধা ছিল না। রক্ষণশীল সমাজে নারীরা জল মেপে চলতে একপ্রকার প্রায় বাধ্যই হতেন। ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন (আইএলও) অনুসারে, এই মুহূর্তে ভারতে লিঙ্গ বেতনের ব্যবধান ২৭ শতাংশ। ২০২৩ সালের চিত্রটা যদি এমন হয়, তাহলে তখন ভারতীয় মহিলাদের জন্য কর্মসংস্থানের কার্যকারিতা কেমন হতে পারে, তা কিন্তু সহজেই অনুমেয়। এরপরও সেই সময় কিছু মহিলা তাঁদের কাজের মাধ্যমে পুরুষতন্ত্রকে ভেঙে ফেলার স্পর্ধা দেখিয়েছিলেন। তাঁদের ইতিহাস লেখা অন্য শৈলীতে। তেমনই একজন ব্যতিক্রমী নারী অন্নপূর্ণা দত্ত। তখন পুরুষদের মধ্যেই স্টুডিয়ো ফটোগ্রাফি সীমাবদ্ধ। অমন সামাজিক অবস্থার সমান্তরালেই কিন্তু অন্নপূর্ণা দত্তের ফটোগ্রাফি। প্রাণীবিজ্ঞানী ফটোগ্রাফার জন জর্জের কন্যা ব্রিটিশ উদ্ভিদবিজ্ঞানী আনা অ্যাটকিনসের ক্যামেরা হাতে দক্ষতার কথা অনেকেরই জানা। বেশ কিছু ব্রিটিশ মহিলা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বহু মুহূর্তই ছবি তুলে রেকর্ড করে রাখতেন। সে-সব তাঁদের জীবন ও ইতিহাসের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। অলিভ এডিস হলেন প্রথম মহিলা, যাঁকে ১৯১৯ সালের

পি. কে. রোজি : এক দলিত অভিনেত্রীর আত্মকথা ।। নন্দন জানা

ছবি
  পি. কে. রোজি : এক দলিত অভিনেত্রীর আত্মকথা নন্দন জানা মেয়েটির জন্ম হয়েছিল অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতবর্ষের ত্রিবান্দ্রম শহরে (অধুনা কেরল রাজ্যের তিরুবন্তপুরম শহর)| জন্মসূত্রে তিনি ছিলেন পুলায়া সম্প্রদায়ের মানুষ, যে সম্প্রদায় তৎকালীন সমাজপতিদের নিকট দলিত সম্প্রদায় রূপেই সুপরিচিত ছিল| তাঁর বাবামা ছিলেন কর্মসূত্রে সামান্য পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত শ্রমিকমাত্র| কিন্তু শৈশবেই পিতার অকালমৃত্যুর পরে তিনি নিজেও অর্থোপার্জনের জন্য বাগানের ঘাস কেটে জীবিকা নির্বাহ করতেন| কারণ তাঁদের পারিবারিক অবস্থা একদমই ভালো ছিল না| কিন্তু শৈশবকাল থেকেই অভিনয়ের প্রতি তাঁর ছিল এক অদ্ভুত রকমের টান| সর্বপ্রথম তাঁর মধ্যে অভিনয়স্বত্তাকে লক্ষ্য করেছিলেন স্বয়ং তাঁর পিতৃব্য|তিনি ধ্রুপদী নৃত্যনাট্যে পারদর্শী ছিলেন| তামিলভাষী লোকনৃত্যনাট্য কাক্কিরাসি (Kakkirasi)-তেও তিনি পারদর্শীতা অর্জন করেছিলেন|স্থানীয় নাট্যমঞ্চেও তিনি একজন বলিষ্ঠতম নাট্যাভিনেত্রী রূপে দর্শকমহলে বেশ ভালোরকমের প্রভাব বিস্তার করে ফেলেছিলেন| সেই সময় থেকেই তিনি অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন| কিন্তু ভদ্রঘরের মেয়েদের জন্য তখনও অভিনয়জীবন চিরনিষিদ্ধ| এমতাবস্থায় তিনি খ্রীস্টধর্

স্তন-কর রুখতে "নাঙেলি"র আত্মত্যাগ ।। শাশ্বতী চ্যাটার্জী

ছবি
চিরস্মরণীয়া এক নারীর মহান আত্মত্যাগ শাশ্বতী চ্যাটার্জী    'মূলাক্করম'। অব্রাহ্মণ নারীদের স্তন-কর। এই অমানবিক স্তন-কর রুখতে "নাঙেলি" নামক নারীর অবদানের কথা।     ২১৫ বছর আগে বর্তমান ভারতের কেরালা রাজ্যের রাজা ছিলেন ত্রিভাঙ্কুর । তার আমলে পুরুষরা গোঁফ রাখতে চাইলেও কর দিতে হত আর নারীদের দিতে হত স্তনের জন্য কর । স্থানীয় ভাষায় যাকে বলা হত 'মূলাক্করম' ।                       এই বিষয়ে তৎকালীন আইনটি এরকম ছিল, ব্রাহ্মণ ব্যতীত হিন্দু ধর্মের অন্য কোন নারী তার স্তন আবৃত রাখতে পারবে না । নারীদের স্তন রাখতে হবে অনাবৃত, উন্মুক্ত । আবৃত করতে হলে বা স্তন ঢেকে রাখতে চাইলে দিতে হবে স্তন শুল্ক । আবার এই শুল্কের পরিমাণ নির্ভর করবে স্তনের আকারের উপর । যার স্তন যত বড় তার শুল্ক তত বেশী । এই স্তন শুল্কের মোটা অংশ চলে যেত পদ্মনাভ মন্দিরে । গ্রিনেস বুকের তথ্য অনুযায়ী, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী মন্দির ।                         সেই সময়ে ৩৫ বছর বয়সী কৃষ্ণ বর্ণের অতীব সুন্দরী একজন নারীকে প্রায়ই কাজের জন্য বাইরে যেতে হত । তবে তিনি সবসময় তার স্তন ঢেকে রাখতেন । হঠাৎ একদিন তিনি শুল্ক সংগ্রাহকের

প্রবন্ধ ।। আধেক ধরা ।। শংকর ব্রহ্ম

ছবি
আধেক ধরা শংকর ব্রহ্ম                                            ঘরে -বাইরে সব জায়গায় একা-হাতেই নারী সুষ্ঠুভাবে সামলাতে পারে কারও সাহায্য ছাড়াই। আধুনিক সমাজে নারী আজ আর পিছিয়ে নেই।                কথায় আছে, 'যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে'। শিক্ষা, কর্তৃত্বে ,গুণে, মানে সব ক্ষেত্রেই পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলেছে তারা। নারীরা আজ প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারাও কোনও অংশে কম নয়। তাই সর্বযুগে সর্বকালে মানুষের মনে নারীশক্তি মর্যাদা পেয়েছে।                             ইতিমধ্যে নারীরা নিজেদের কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ করে দিয়েছে যে তারা সব ক্ষেত্রেই সমানভাবে পারদর্শী । তাই এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ও আজ নারীশক্তির জয়জয়কার । প্রকৃত অর্থে এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষদের সাথে সাথে তারাও সমান অধিকার ও সম্মানের দাবিদার।  অবমাননা ও অত্যাচারে অভ্যস্ত নারী প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হলেও, একথা অনস্বীকার্য যে নারী শক্তি ছাড়া পৃথিবীতে উন্নতি সম্ভব হত না, ভবিষ্যতেও হবে না।  আদিকাল থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত লক্ষ্য করলে দেখা যায় নারীরা ইতিহাস থেকে শুরু করে সকল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে