রশ্মিতা দাস
চাতক আঁখি খোঁজে শুধুই
নূতন সূর্যোদয়,
মুক্ত রবির লালে স্নাত
নদীর মোহনায়।
দিগন্তকে ফেলে পশ্চাতে
মুঠোয় পুরে শ্বাস
জাগবে কবে ধরার বুকে
সুস্হ সতেজ বাতাস?
ব্যস্ত শহরে চেনা আলাপনে
কালো ঢেকে হাসে সাদা,
লাল ঝরা জিভ নগ্নতা চেপে
শিশ্নে জাগায় ক্ষুধা।
গলির আনাচে কানাচেই সাড়া
প্রকৃতির চেনা ডাকে,
পুরুষের লাজে উড়ছে লাগাম
আব্রু নারীর নাকে।
কৃতি নারী আজ গিয়েছে আকাশে
বিজয় কেতন হাতে,
তবু আলগোছে অন্তর্বাসে
আলগা হলেই ফিতে...
সবকিছু ঢেকে ছাপিয়ে,জাগবে
স্ফূর্তির উল্লাস,
মনের ফ্রেমেতে সে ছবি বাঁধিয়ে
চূর হুইস্কির গ্লাস।
লাজ-সম্মান-গুণের কদর
পুরুষের অভিধানে,
রচে যুগে যুগে একপেশে চোখে
জীবন পথের মানে।
নর'র জন্য রাজপথ,আর
বাঁধানো নালায় নারী,
মুক্তচিন্তা আর মানবতা
শুধু মাংসের সারি।
কত ঘরে তাই কোঁকায় কলম,
কাঁদে তুলির টান
কত কৃতিত্ব ছুঁড়ে প্রতিষ্ঠা
ওড়নায় খোঁজে মান।
অর্ধ পৃথিবী মাথা কুটে খোঁজে
মুঠোতে একটু বাতাস,
বদ্ধ মনের অন্ধ চেতনে
একটুকু নিঃশ্বাস।
হাজারো হৃদয়ে মণ মণ জমা
কান্না নীরবে ডাকে,
নূতন প্রাতের শ্বেতশুভ্র
নির্মল পায়রাকে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন