google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re শান্তা কর রায়ের কাব্য - "শূন্য যার বিকল্প" ।। সমালোচক -বিভূতিভূষণ দত্ত - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

শনিবার, ১৬ জুন, ২০১৮

শান্তা কর রায়ের কাব্য - "শূন্য যার বিকল্প" ।। সমালোচক -বিভূতিভূষণ দত্ত

 

 

কাব্য - "শূন্য যার বিকল্প"
কবি- শান্তা কর রায়
প্রকাশক- সুপ্রকাশনী 
মুল্য- ২০০ টাকা

 

 

 


ইন্দ্রজালের সম্মোহনে বোধের তীক্ষ্ণতা ও চিত্রকল্পের কাব্য


বিভূতিভূষণ দত্ত



শান্তা কর রায় সেই গোত্রের কবি উচ্চ কবি প্রতিভা নিয়ে যাঁরা জন্মগ্রহণ
করেছেন । আধুনিক বাংলা কবিতার জগতে এক অগ্রগণ্য কবি ব্যক্তিত্ব । বহুমুখী
প্রতিভার অধিকারী কবির কবিতাই শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি । যথার্থই কবিতার সংগে
সহবাস -
,"ওর হাতেই শেষ
নিঃসীম রাত শলাকায় জ্বলে
পৃথিবীর কেউ নয় ভেবে
খুলে দাও দড়ি - - - -
আর একদিন ফেরার ইচ্ছাহীন
চটির তলা ক্ষয়ে বাড়ি ফেরার পরও
আটকানো যায়নি অমঙ্গল । "
দুর্দমনীয় সৃষ্টি ক্ষুধার মিশেলে কবি আত্মপ্রকাশের অনতিকালের মধ্যেই
ঈর্ষণীয় পাঠক পেয়েছেন । ইন্দ্রজালের সম্মোহনে বোধের তীক্ষ্ণতা ও
চিত্রকল্প গ্রন্থটির শ্রেষ্ঠ সম্পদ ।
আত্মক্ষয়, উন্মাদ, কুড়ি বছর আগে,ডোবানো সময়,তোমাকে ছুঁয়ে কংকাল, ফেরিঘাট,
রাত তিনটের কবিতা সহ ১৯২ পৃষ্ঠার বইটির মুদ্রণ এবং প্রচ্ছদ অসাধারণ ।
আপনার পুস্তক আরো দীর্ঘ আলোচনার অপেক্ষা রাখে। পাঠককে অনুরোধ পড়ুন ভালো
লাগবে নিশ্চিত ।
" মেয়েটার চোখে জল" কবিতাটি সম্পূর্ণ এখানে তুলে দিলাম -
"চুপ,এখন ওরা ঘুমাচ্ছে,প্রটেকশন ছিল তবু দাঁত বের করা লোক,বরাবর ঘৃণা আর
খড়েরআগুন ভেবেছে ঈশানী ।
হত্যা করার জন্য যারা এসেছিল 'ড্যাশ' মারতে মারতে কেরোসিন ঢালে,প্রতি
মিনিটের সামরিক খরচ বাঁচিয়ে দিলো ।
মুখ চেপে ধরার অপেক্ষা, খুলতে চায় ঈশানী নিজেকে ছুড়ে দেয় দেয়ালের
দিকে,হরিণের চাহনি ওর,কারা বলেছিল!

এবার ওর বিয়ে নিয়েই মাথা ব্যথা বাড়ছে, যেভাবেই হোক দোষী করতে হবে,
তারপিন ঢেলে চকচকানো তবু চামড়াতো।
তেল ফুরিয়ে ফিতে পুড়তে শুরু করেছে, শরীরেরগাঁট পর্যন্ত ভর করছে আলোচক
মন সরাসরি বিদ্রোহের অপেক্ষায় আছে ।
ব্যবহার কৌশল আত্মস্থ করে যারা ওকে নেড়েছে, ডানাভাঙা শব্দে হিংস্র আঘাত
ছুঁয়ে সুবিধাবাদী মধ্যমানুষ ওরা হাসছে ।

গাঁড়পেঁয়াজি করে যারা আনন্দে শুয়েছিল উপভোগ করার পর ছুড়ে ফেলে দিলো
ওদের কোনদিন মা বোন থাকেনা চুলকায়
আর সাড়া দিয়ে যায় নরম মাটির মোমে
সাট্টা চলে,যে ওর টাকায় চাকরি বাগায়
আজ ওরজন্য ঈশানীর ঘাড়গোঁজা হাল ।
শোষিতদের পদ্ধতি অনুমোদন করে কাঁদে আর নিজেকে দোষারোপ করে অন্যের গল্পের
প্লট হয়ে ছাদ দেয়,যেন ন্যাকার চাল। "


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন