Featured Post
কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা
গোপনে আত্মহত্যা করি
চলো এখন আমরা সবাই গোপনে আত্মহত্যা করি ।সম্পর্কগুলো একসময় ভালবাসার মোড়কে পাশ ফিরে শোবার কথা ভেবেছিল,ভেবেছিল মানুষকে পশু বানানো বাঁ হাতের খেল,আমন্ত্রণ নিমন্ত্রণ সবই বাসনালিপ্ত. ..ট্রাডিশনালিটির রি মেকিং. ..ফলত: পাতার পোশাকে
আর আধখাওয়া আপেলে একটু স্বস্তির শ্বাস. ..
ফেলবার জায়গা খুঁজছিল ।
আর এদিকে সোনার কাঠি ছুঁইয়ে রূপোর কাঠি ছুঁইয়ে অধুনান্তিকতায় আপডেট চলছিল ,জোরকদমে তবু শেষ রক্ষা হলো না ।
রূপকথার গল্প গুলো চিচিং ফাঁক ...
মস্ত বড়ো ভুল হয়ে গেছে এখন আর উ পায়ে নেই ।
আবরণ অথবা আভরণ কোনো কিছুতেই তাদের বশ করানো যাবে না ....
ভাত ছড়ালে কাক হাজির এসব বস্তাপচা বাক্যে ভবি ভুলবার ন য়,স্থলপথে জলপথে সর্বত্র সাজানো ঝুমঝুমি, সোনালি ত্রিভুজ. ..
সার্কিট চেঞ্জ করতে বেশি সময়ে লাগে না
তবু পাঁচমুড়া ডোকরা বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির ঘোড়া
ফ্ল্যাটবাড়ির খোপে খোপে কী বিচিত্র আয়নায় ফুটে উঠছে, ডিনার টেবিলে বিসমিল্লাহর পাগলা সানাই ।
অপেক্ষা শেষ হয়ে গেছে বলে যারা গৃহত্যাগ
করেছিল একদিন হেলেঞ্চা আর কচুরিপানার সঙ্গে
তারাও ফিরছে আজ দলে দলে ...
চলো এই সেই প্রকৃষ্ট সময় গোপনে আত্মহত্যা করি. .
..
রতিসুখসারে
সবকিছু মূল্যহীন করে এমন এক নতুন জিনিস উপহার দিতে হবে যাতে প্রেমিকার দুচোখ জলে ভরে যায় ,অবশ্যই তা আনন্দাশ্রু অনুমোদনের অপেক্ষা রাখে না।যে সাদা পায়রা সে চিঠি পৌঁছে দেবে ,সে কি জানে প্রেম কাকে বলে ?দিনে দিনে তিল তিল করে জমানো যে মুক্তো কার সামনে উন্মুক্ত হবে তাতো জানার কথা না,ইচ্ছামৃত্যুকে বরণ করাও যা ভালবাসাও ঠিক তাই ।
যে জীবনে রাজভোগ খেল না,সে কি করে বুঝবে
মিষ্টি কতটা ,পূর্ণিমা হবার কামনা বাসনা চাঁদের চিরকালীন অমাবস্যা থেকেই তা বোঝা যায়
বোঝা এক জিনিস আর ভাবা আরেক জিনিস. ..
কিন্তু হয়ে গেলে জ্ঞানী ও নিমেষে মূর্খ হয়ে যায়
পৃথিবীর এই বিপুল আয়োজন সংবিধান
বহির্ভূত বড়ো বিচিত্র এই ভালবাসা, সৃষ্টির কলাকৈবল্য মুখে বললে তার গভীরতা কমে যায়
প্রেমিক প্রেমিকা তাই উভয়েই খুনী যেদিন স্পর্শ করে দেহ, সেদিন ধড়ে আর শরীর থাকে না ,হাতে হাত নেই ...আঙুলে আঙুল নেই, আলিঙ্গনে নেই সে গন্ধরাজ
যাকে তার তিল তিল করে লালন পালন করেছিল সহস্র বছর কত বিনিদ্র রজনী. ..একটি ঢেকিশাল
তুলসীমঞ্চের পাশে,সরস্বতী পুজোর অঞ্জলি সবই ছিল রতিসুখসারে রহস্যেরঙিন. ...
…
আমাদের কবিজন্ম
হঠাৎ এলো মেলো ...
অন্তশব্দবন্ধ এসে ঢেকে দিলো স্বপ্নের বারান্দা, আর কিছু দিনের মধ্যেই কবিজন্ম শেষ হবে সবার ই. হ য় ,পড়ে থাকে খাতায় কলমে মোবাইলে ল্যাপটপে ,কিছু নির্মাণ কৌশল কবিতার মতো কিছু খসড়া, তবু চিঠি আসবে ।
আসবে তোমার আকর্ষণ, অশরীরি ঈশ্বর
একসাথে শূন্যতা বেদনা
তবু লেটার বক্সে পড়ে থাকবে কিছু ফুল কিছু ভুল
কিছু শুভেচ্ছা ভালবাসা, প্রীতি অন্তহীন ....
আসলেই কবিজন্ম শেষ হয়েও হয়না।
বন্ধুর কুশল বিনিময়, তাড়াতাড়ি পাঠাও দুটি কবিতা
অপেক্ষায় আছি, ম্যাটার রেডি
দেরী কোরো না যেন...
অস্তিনাস্তির আশ্চর্য মিলন ,তলহীন অভিসার. ..
এদিকে থমথমে নিস্তব্ধ মেঘ অগোচরে. ...নতুনের ত্রিভুম বিস্তার শেষ হয়েও হ ইলো না শেষ
আমাদের কবিজন্ম ঢাকা পড়ে রয় উপমায় প্রকৃত সংকেতে ...বকুলের ডালে থরেথরে. ..হতবাক আগুনের কাছে. ..
তারপর. ..
তারপর অনেক রাস্তা ঘুরে একদিন গোধূলিবেলায় বিপ্লব এসে গেছে, কাঁধে ঝোলা নেই চেনা যায় না
মুখে দাড়ি নেই, নেই পায়ে অজন্তার হাওয়াই ,বসা গাল হাই পাওয়ারের চশমা চুলে জট কিচ্ছুটি নেই
হাঁটা চলার ধরন কথা বলার অ্যাকসেন্ট, সে বলে কুশল কথা ,শুনি আর হজম করি অনন্ত বিষাদ. ..
ঘটন অঘটন জাতপাত দাঙ্গায় অদম্য মানবতা ঘুড়ি
কতিপয় আকাশে ওড়ে ওড়েনা ,হতবাক হয়ে আগুনের কাছে যায় ,স্পর্শ করে স্বাধীনতা দিবসের গান গায়,ধ্বনি থেকে প্রতিধ্বনিত হ য় গগনবিদারী প্রেম,তারপর অনেক রাস্তা ঘুরে একদিন শেষতম ট্রেন ধরে বিপ্লব এসে দাঁড়ায়, আমি তাকে বলি সময় আছে তো দুটো ডাল ভাত খেয়ে যেও
সে বলে কুশলকথা সমাজের খবর নেয়
এখন আর হাওয়াই চটি নেই
গালে তিন মাসের না কামানো দাড়ি নেই
মলিন ঝোলায় কোনো ইস্তেহার নেই
মিথ্যে কেন দোষ ধরি ছাপোষা বিপ্লবীর
বিপ্লব আসবে কোনও না কোনও দিন আসবেই
এই বিশ্বাসে বুক বাঁধি
সেদিন ঠিক দীর্ঘজীবি হবে বজ্রমুষ্টিতে ভর করে ....
বুঝতে দিও না
কাউকে কিচ্ছুটি বুঝতে দিও না
যা ছিল বিস্ময় আনন্দের রেশ
চোখের দৃষ্টি প্রত্যেকের আলাদা আলাদা
কিংবা ঘৃণা অপমান ক্ষত অশ্রুহীন আরোপিত
প্রতিশ্রুতি ঝলমলে আলোর দোকান
সব কিছু একদিন ঝরাপাতা কুয়াশা সফর
ধুলোয় ধূসর নীল গোধূলি
এভাবেই একদিন নতুন দিনের গভীরে
জন্ম নেবে রাত সতত জিজ্ঞাসার
প্রাচীন অভিজ্ঞতায় নির্মাণ বিনির্মাণে শব্দহীন জলপথে প্রায় যুদ্ধ লাগে লাগে
আচম্বিতে ভূখন্ড অদৃশ্য হয় প্রবল হাওয়ায় বিষ
বেঁচে থাকা অস্থির বিকল্প যেন আগ্নেয় ব্রুহাহা...
মুখে তে কুলুপ এঁটে মুশকিল আসান যদি পারো
তবে কিছু করো,জীবনের কিছু ফুল আর ভুল নিয়ে
আকাশে ওড়াও,সাবধানে পা টিপে টিপে
ঘূণাক্ষরেও কেউ যেন কিচ্ছুটি টের না পায় ......
শোষিত ও শাসক
মহৎ বেদনার কাছে কিছু খড়কুটো রেখে যায় পাখি
গতি ময়তায় ঠোঁটের কোণে তুলে দেওয়া মাত্র
কিছু খাবার ও পানীয়
পালকের গন্ধ নেয় শাবক
টাঙ্গি ও ভল্ল নিয়ে তখন ওদিকে সামান্য সরে
দাঁড়িয়েছে শিকারী,পাইন গাছের ফাঁকে তাক করে
জানলা দিয়ে তাকে দেখছে মানমতী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচি কাঁচাদের দল
দূরের নীল আকাশ পুটুস ঝোপ জঙ্গলের শাল মহুয়া তখন চোখ টিপে হাসছে. ..
লোকে বলে যুগে যুগে এই সব হয়
বর্ণভেদে দেওয়াল ও দালান
ময়রা ও মহাজন,শোষিত ও শাসক ....... তবুও মানুষ কিছু চিহ্ন রেখে যায় পথে আলপথে হাজার হাজার বছরের পর প্রতিশোধ নেবে বলে ...
তুমি এখনো দাঁড়িয়ে আছো পাঁচমাথার মোড়ে
বাজিয়ে চলেছো পুরনো হারকিউলিক্সের ক্রিং ক্রিং ক্রিং. ..সে যে এখানে এখন থাকে না ...
মেঘের আড়াল থেকে লক্ষ্য রাখছে কেউ
দিন নেই রাত নেই অসার গোধূলি নেই
সে যে এখন বাড়িতে থাকে না
জানলার পর্দা সরিয়ে কেউ জলে ভাঙা য় কেউ
অফিস আদালতে এত সিসিটিভির দৌরাত্ম্য
পথে ঘাটে অলিতে গলিতে, ভাল্লাগেনা
একটু যে নিজের মতো হাঁটবে নিজের পছন্দ মতো
কিছু করবে ,পিছু ফিরতেই কেউ উঁচিয়ে আছে ভল্ল
যাকে প্রাণের কথা বলা যায়
বিশ্বাস করতে পারা যায়
সে ই যখন তীর ধনুক তোলে , একটু শ্বাস ফেলবার জো নেই এত খুন খারাপি এত হিংসা ক্রোধ
এতোই মজ্জায় মজ্জায় পশুত্ব, জলে কুমীর ডাঙা য়
বাঘ ,হায়নার হিসহিস, সারাক্ষণ লক্ষ্য রাখছে কেন কি পোশাকে চুলে খোপা না বয়কাট ...ভাল্লাগেনা. ..
মন বিষিয়ে যায়, আর একবার মন বিষিয়ে গেলে
কোনো কিছুতেই....
অথচ তুমি কি এখনো দাঁড়িয়ে আছো পাঁচমাথার মোড়ে, সেরকম ই বাজিয়ে চলেছো ক্রিং ক্রিং ক্রিং... দিন নেই রাত নেই শীত গ্রীষ্ম নেই...
তবে থাক, এটুকুই তার জন্য সারা জীবনের আনন্দ হয়ে থাক.......
দূরের নীল আকাশ পুটুস ঝোপ জঙ্গলের শাল মহুয়া তখন চোখ টিপে হাসছে. ..
লোকে বলে যুগে যুগে এই সব হয়
বর্ণভেদে দেওয়াল ও দালান
ময়রা ও মহাজন,শোষিত ও শাসক ....... তবুও মানুষ কিছু চিহ্ন রেখে যায় পথে আলপথে হাজার হাজার বছরের পর প্রতিশোধ নেবে বলে ...
মেঘের আড়াল থেকে
তুমি এখনো দাঁড়িয়ে আছো পাঁচমাথার মোড়ে
বাজিয়ে চলেছো পুরনো হারকিউলিক্সের ক্রিং ক্রিং ক্রিং. ..সে যে এখানে এখন থাকে না ...
মেঘের আড়াল থেকে লক্ষ্য রাখছে কেউ
দিন নেই রাত নেই অসার গোধূলি নেই
সে যে এখন বাড়িতে থাকে না
জানলার পর্দা সরিয়ে কেউ জলে ভাঙা য় কেউ
অফিস আদালতে এত সিসিটিভির দৌরাত্ম্য
পথে ঘাটে অলিতে গলিতে, ভাল্লাগেনা
একটু যে নিজের মতো হাঁটবে নিজের পছন্দ মতো
কিছু করবে ,পিছু ফিরতেই কেউ উঁচিয়ে আছে ভল্ল
যাকে প্রাণের কথা বলা যায়
বিশ্বাস করতে পারা যায়
সে ই যখন তীর ধনুক তোলে , একটু শ্বাস ফেলবার জো নেই এত খুন খারাপি এত হিংসা ক্রোধ
এতোই মজ্জায় মজ্জায় পশুত্ব, জলে কুমীর ডাঙা য়
বাঘ ,হায়নার হিসহিস, সারাক্ষণ লক্ষ্য রাখছে কেন কি পোশাকে চুলে খোপা না বয়কাট ...ভাল্লাগেনা. ..
মন বিষিয়ে যায়, আর একবার মন বিষিয়ে গেলে
কোনো কিছুতেই....
অথচ তুমি কি এখনো দাঁড়িয়ে আছো পাঁচমাথার মোড়ে, সেরকম ই বাজিয়ে চলেছো ক্রিং ক্রিং ক্রিং... দিন নেই রাত নেই শীত গ্রীষ্ম নেই...
তবে থাক, এটুকুই তার জন্য সারা জীবনের আনন্দ হয়ে থাক.......
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন