Featured Post
কবিতাগুচ্ছ ।। পশুপাখির জাতীয় সঙ্গীত ।। বিচিত্র কুমার
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
পশুপাখির জাতীয় সঙ্গীত
বিচিত্র কুমার
(০১)
শশুপাখির জাতীয় সঙ্গীত
শশুপাখির দেশের রাজা, গায় যে গান খুব,
বসন্ত এলে ফুলে ফুলে, মিষ্টি গন্ধে ডুব।
চড়ুই-টিয়ে, দোয়েল-কাক, করে দারুণ মেলা,
একসাথে সব গাইবে গান, লেজ নাচিয়ে খেলা।
গান শুরু হতেই বাজল বাঁশি, কাঁপল গাছের পাতা,
গগনে ভাসল মেঘের দল, নাচে তারা খুশিতে মাতা।
মোরগ বলে, "কুকডু কু!", গাইবে সুরের ধ্বনি,
শশুপাখির মিলন মঞ্চে বাজুক খুশির রণি।
রাতের বেলা চাঁদের আলোয়, গানের আসর বসে,
পেঁচা বলে, "হুঁ-হুঁ-হুঁ", সবাই হাসে শেষে।
এমন সুরের দেশটা যেন, জাগায় হৃদয় তান,
শশুপাখির জাতীয় সঙ্গীত, শুনে হাসে প্রান।
(০২)
হাতির জাতীয় সঙ্গীত
বন বাদাড়ের রাজা আমরা, মহা শক্তিশালী,
জঙ্গলের এই মহাসভায় করি চলাফেরায় নাচ-গান কালী।
মাটিতে যেন ময়ূর নাচে, পা ফেলে তার তালে,
আমাদের সুরে মাতল দুনিয়া, আনন্দেতে মেলে।
গাছের মাথায় দাঁড়িয়ে দেখি সূর্য ওঠে ধীরে,
জলাশয়ের কাদায় খেলি সুরের মাধুরীতে।
আমাদের ঢোল গর্জে ওঠে, পা ফেলে মাটিতে তুমুল ঝাঁকুনি,
একসাথে সুর মেলাতে বাজুক শিঙা, আর বাজুক ঢাকধ্বনি।
দল বেঁধে যখন নদীর তীরে করি গোসল স্নান,
ছড়িয়ে পড়ে জলকণা সব, দেখি রামধনুর টান।
আকাশ ভরা মেঘের গর্জন, বাজায় বৃষ্টি বাঁশি,
বন ছায়ায় আমরা গাই গান, মেতে উঠি হাশির হাসি।
জঙ্গলের পথে সুর মিলিয়ে, চলে আমাদের হাট,
পায়ের তালে দুলছে বন, কাঁপছে মাটির পাট।
বাঘও তখন ভয়ে থাকে, জানে রাজার আসা,
হাতির দাপট সব জায়গায়, গর্ব যেন ভাষা।
শিংগার তালে বাজাও গান, ঢোলের সাথে মিলাও,
হাতির তালে গাইবে সবাই, পায়ে পায়ে দোলাও।
আকাশ-বাতাস সব পেয়ে যায় আমাদের সেই সুর,
হাতির গানে আনন্দ ছড়িয়ে মিটে সব গরুর।
তাই আমাদের এই জাতীয় সঙ্গীত, শক্তির কথা বলে,
বনের রাজা হাতি যে সব, মাথা উঁচু চলে!
গান গেয়ে আমরা রাখি মনে, একতা আর সাহস,
হাতির দলে গাওয়ার মন্ত্রে, মিলে জীবন ভালবাস।
(০৩)
ঘোড়ার জাতীয় সঙ্গীত
ঘোড়ার দল সব সাজলো থরথরে,
ঘোড়ামহলে আজ মাতামাতি রে!
যত সব খুরের ঝংকার তালে তালে
বেজে উঠলো রে মুর্দংগ ঢোলে।
ঘোড়ার রাজা দিলেন ডাক, "শুনো সবাই!
ধুর্চিত্ত ঘোড়ারা, গেয়ে ওঠো সবার ভাই।
আমরা ধুলি উড়িয়ে দৌড়ের ময়দানে
বিপ্লবী ঘোড়া দল আমরাই মানে!"
খুর ঠুকে ঠুকে বাজে তালে তালে
ঝমঝম বেজে ওঠে ঝঙ্কার গালে।
গর্ভে ঘোড়াগুলো ঘুরছে বালুকা বনে,
হাওয়ার সঙ্গে বয়ে যায় দৌড়ের এই রণে।
মাথায় তাজ, খুরে বাজে কাঁপন,
তোমার রাজ্য ছাড়িয়ে ছুটেছে কাফন।
অশ্বারোহীর গুণে কীর্তি লালন করি,
আমরা ঘোড়ার জাতি, আকাশ ছুঁই মরি!
ঝংকার উঠুক, খুর ঠুকে গান,
ঘোড়ার জাতীয় সঙ্গীত জয়ধ্বনি প্রাণ!
গর্বিত এই দল চলুক সামনে রে—
আমরা ঘোড়া, অশ্বধ্বজ বাহন যে!
তালে তালে বাজে, শিরে তাজ ভাসে,
দেখো ঘোড়ার ঐ বীর্যবান আস্তাবলে হাসে।
মাথা উঁচু করে চলুক সবারই রথ,
আমরা ঘোড়ার জাতি, সঙ্গীত আমাদের পথ!
(০৪)
বাঘের জাতীয় সঙ্গীত
বাঘ মামা গায় গান, জঙ্গলে তার রঙিন ধাম,
দাঁত-কপাটি কাঁপিয়ে সে দিলো হুঙ্কার তামাম!
গলায় তার গাম্ভীর্য, চোখে তার জ্বালা,
বললে, "আমিই রাজা, জঙ্গলের বাজা বালা!"
গান ধরে বাঘ মামা, ঢোল বাজিয়ে, ঢাক,
"আমি বাঘ, আমি বাঘ, আমি জঙ্গলের ডাক!
আমার গলায় বজ্রধ্বনি, সবাই হয়ে যায় নীর,
আমার গান শুনে পালায়, সবাই খুঁজে পথের ধীর!"
হাতি বলে, "বাঘ মামা, একটু মিষ্টি সুর দাও,
তোমার গানে কানে লাগে, মনে হয় কী কাণ্ড ঘটাও!"
বানর বলে, "রক্ষা করো, ঢেকে রাখি কানে তুলো,
এমন গান শুনলে মনে হয়, লেজটা যাবে খুলে!"
হরিণ বলে, "বাঘ মামা, তোমার সুরে নেই মধুরতা,
তুমি যদি থামো গান, আমরা বাঁচি অর্ধেকটা!"
কিন্তু বাঘ মামা গায়, ভাবে সে রাজা মহান,
তালে তালে গেয়ে যায়, সুরের পুঞ্জিত মান!
ফলে জঙ্গলে বাজে বাঘের "জাতীয় সঙ্গীত",
সবাই পালায় দৌড়ে, যেন সঙ্গীত হলো বিপর্যয়কৃত।
আর বাঘ মামা হাসে, নিজেই মজে তার তানে,
বলে, "এটাই তো সুর, জঙ্গলের রীতিমত খানে!"
(০৫)
ভালুকের জাতীয় সঙ্গীত
ভালুক মামা গায় গান, বনের মাঝে জমজমাট,
গলায় তার মধু-মাখা সুর, পেটটা নাচে মাতামাত!
পেটে তার খিদে বড়ো, তাই বলে রামধুনী,
"আমি ভালুক, আমি ভালুক, আমিই বনের রাণী!"
গান ধরে ভালুক মামা, পা মেরে তালে তালে,
"আমার হাতে লাগলে মধু, কে না আসে কাছে চলে!
সকালের মধু খাই আমি, বিকেলে খাই মাছ,
গান শুনে মজা লাগে, সবাই নাচে বাঁচে হাঁস!"
খরগোশ বলে, "ভালুক দাদা, তুমি একটু আস্তে চাও,
তোমার গানে পেটটা মোচড়ায়, নাচের তালে পা গাও!"
কচ্ছপ বলে, "আরে থামো, তোমার সুরে ধরা খাই,
তুমি তো গাও, খাও আর ঘুমাও, কি হবে আর দোহার নাই!"
হাঁদা বলে, "মামা বাঁচাও, কান আমার যায় খসে,
এমন গান শুনে মনে হয়, বনের জঙ্গলটা ভাসে!"
কিন্তু ভালুক মামা শোনে না কারো কথা,
সে গায় আর নাচে, ধরে নিজেই তালের ছন্দপথা!
ফলে জঙ্গলে বাজে ভালুকের "জাতীয় সঙ্গীত",
সবাই কানে তুলো গুঁজে, যেন হলো আজ ব্রিটিশ মিট।
আর ভালুক মামা হাসে, পেট ভরে মধুর গানে,
বলে, "এটাই তো গান, বনের রসনায় মানে!"
(০৬)
সিংহের জাতীয় সঙ্গীত
সিংহ রাজা গায় গান, গলায় তার সিংহনাদ,
দাঁড়িয়ে জঙ্গলের মাঝখানে, বাজায় ভয়াল ফাঁদ।
ধমক দিয়ে শুরু হয় তার "জাতীয় সঙ্গীত" ধারা,
"আমি সিংহ, আমি সিংহ, আমি বনের সেরা তারা!"
গান ধরে সিংহ রাজা, গর্জন তোলার ঢং,
"আমার গলা ফাটে বাজে, কে না শোনে রং?
আমার দাঁতে কাঁপে বন, গলায় আমার জোর,
আমার গান শুনলে সবাই ধরে নাচের ভোর!"
জিরাফ বলে, "রাজা, তুমি একটু নরম করো গান,
তোমার গর্জনে গাছের ডাল কাঁপে, মাটি যায় কান!"
হাতি বলে, "ওরে বাবা, দাও একটু বিশ্রাম,
তোমার গান শুনলে মনে হয়, হবে বুঝি মহাক্রাম!"
বানর বলে, "সিংহ মামা, একটু থামাও সুর,
তোমার গানে গাছের পাতা হয় বুঝি দুর্দুর!"
কিন্তু সিংহ রাজা কানে নেয় না কারো কথা,
গলা ফাটিয়ে গেয়ে যায়, ধরায় নিজেই সুরের ব্যথা!
ফলে জঙ্গলে বাজে সিংহের "জাতীয় সঙ্গীত" ঢাল,
সবাই পালায় দৌড়ে, যেন বাজছে ভয়ের ঢোল।
আর সিংহ রাজা হাসে, মুগ্ধ তার নিজের তানে,
বলে, "এটাই তো গান, বনের নিয়ম মানে!"
(০৭)
গাধার জাতীয় সঙ্গীত
গাধার জাতি গায় বাচাল গান,
চলতি পথে তার সুর জান।
সাহসী প্রাণ, বীর্য ও মান,
গাধার গৌরব অমল দ্যুতি প্রতিম।
মাঠে মেঠে, কষ্টে পরিচিত,
সুখ-দুঃখে সে সদা অভ্যস্ত।
বুদ্ধি আর শক্তি, দারুণ বিখ্যাত,
গাধার গুণ, সবার কাছে অনন্য।
সামনে বাঁধা, নাহি মানে ভয়,
চলবে সে, সবে দেবে স্নেহ।
গাধার গীতি, বয়ে যাক প্রভাত,
মঞ্চে গেয়ে ওঠে, গাধার শ্রেষ্ঠ গীত।
(০৮)
ছাগলের জাতীয় সঙ্গীত
ছাগল জাতির গর্বে, আজ আমরা গাই,
পাহাড়ি লতার নিকটে, একত্রিত হাই।
ঝাঁকড়ানো গা, ঠোঁটের হাসি,
জঙ্গল ডিঙিয়ে বেড়াই, যতই আসুক খাসি।
আমরা ভেড়া নই, ছাগল জাতি গর্বিত,
দৈনিক যতই পাহাড় চড়ে, গর্বে সিক্ত।
চাঁদের আলোয় মাটি কামড়ে খাব,
মাঠে মাঠে উল্লাসে পাখির সাথে গান গাব।
বনের কোণায়, আমাদের সিংহাসন,
মাটির চাদরে সাজানো, বীরত্বের গাথা অনুপ্রাণ।
সবুজ ঘাস আমাদের প্রিয় খাবার,
প্রেমে বেঁধে রাখে, কুটুম্ববাড়ির সাথার।
এমন সঙ্গীত গাই, আজ ছাগল জাতি,
ফুলের মধু, ধুলায় খেলায়, এই যে আমাদের কৃতি।
দেশে দেশে, পর্বতে পর্বতে আমাদের গান,
ছাগল জাতির সঙ্গীত, সুপ্ত অঙ্গীকারের প্রতিশ্রুতি জান।
(০৯)
ভেড়ার জাতীয় সঙ্গীত
"পশ্চিম বাতাসে, গরিষ্ঠ মাঠে,
ভেড়াদের গর্জন বাজে হৃদয়পটে।
মুলা ঘাসে মিষ্টি সুগন্ধে,
তাদের স্বপ্নে সুর ওঠে মন্দে।
মেঘলা আকাশের নীচে সোনালী দিন,
ভেড়ার দলে একসাথে জেগে রিন।
দূরবীন অঙ্গনে, তারা জীবন সাজায়,
প্রেমের চাদরে মন দোলে সারা ভায়।
ধুলোমাটির ঢিবিতে, পদধ্বনি শান্তি,
তাদের হারানো ছন্দে ভরে ওঠে বাণী।
স্বপ্নের মাটিতে, প্রত্যাশার গীত,
ভেড়াদের সুরে মাতায় শান্তির প্রীত।"
(১০)
গরুর জাতীয় সঙ্গীত
```
গরু জাতির সঙ্গীত,
পশুর গর্ব, গরবিত।
আমরা ধানের ক্ষেতের বন্ধু,
অবদান দিয়ে চলি সারা দিন।
চারণ মাঠে গাই আমরা গান,
পুষ্টির পথ, কাজের অগণিত ধান।
মাঠের বন্ধু, খামারের সঙ্গী,
গরু জাতির জয়ধ্বনি চিরকাল সত্যি।
(১১)
কুকুরের জাতীয় সঙ্গীত
ভাউ ভাউ ভাউরে ভাই,
আমরা কুকুর গাই গান তাই।
সকাল বিকেল বেলা আসে,
মিষ্টি রোদে ঘুমে ভাসে।
ভাউ ভাউ ভাউরে ভাই,
ভাত আর মাংস করব চাই।
গরমে শীতল ছায়ায় ব'সে,
সুখের গান গাই মন ভরে।
ভাউ ভাউ ভাউরে ভাই,
রাত হলে পাহারা দিই চাই।
চাঁদের আলোয় ছুটে চলি,
পা দুখানি আলতো তুলি।
ভাউ ভাউ ভাউরে ভাই,
কুকুর রাজার দল দাঁড়াই।
হাম্বা, মেমা, মিয়াও সবাই,
সবার গানই তবুও চাই!
(১২)
বিড়ালের জাতীয় সঙ্গীত
ম্যাঁও ম্যাঁও করে সুরে,
বসে আছি গাছের তলে।
দুধের স্বপ্ন মনে ভাসে,
মাছের গন্ধ পেলে চলে।
দৌড়ে যাই, লাফিয়ে যাই,
ছাদের ওপর, দেয়ালের গায়।
গোঁফের মোচে শান দেই,
গোল্লায় পেলে আমি খুশি হই!
রাতে যখন চাঁদ ওঠে,
আমরা গাই তালে তালে,
ম্যাঁও ম্যাঁও, সবাই বলে,
"বিড়ালের দল, ওহ্ কী দলে!"
---
(১৩)
দোয়েল পাখির জাতীয় সঙ্গীত
শিশির ভেজা ঘাসের 'পরে,
সূর্য ওঠে আলো 'ভরে,
আমাদের গান আনন্দের ধারা,
দোয়েল পাখির ডাকে মন 'মহরা।
আমাদের ডাকে দিন শুরু হয়,
বাতাসে খুশির সুর 'ভাসে রয়,
আকাশে উড়ে নীল পাখির ঝাঁক,
সুখের জোয়ারে ভাসে সব 'বাঁক।
সবুজ শাখায় মেঘের খেলা,
আমাদের গানে ঝরে 'ঝরলা,
পৃথিবী জুড়ে সুরের বারতা,
দোয়েলদের দেশে শান্তি 'পাতা।
এই আমাদের সুর, আমাদের গান,
প্রকৃতির প্রেমে জীবন 'মহান।
---
(১৪)
হুতুম পেঁচার জাতীয় সঙ্গীত
হুতুম পেঁচা, বনে রাজার তাজ,
রাতের ঘুমে বাজায় সুরের সাজ।
"হু-হু, হু-হু" ডাক তার ঝড়,
রাতের আকাশে সে নাচে বড়।
নিশীথে জাগে তারি পালিত দল,
গাছের ডালে গায় তাদের সুরের জল।
নিমেষে পাল্টায় রাতের গান,
হুতুম পেঁচার সুরে জাগে প্রাণ।
বাঁশির সুরে মুগ্ধ সব পাখি,
হুতুমের গানে নেচে ওঠে রাত্রি।
চাঁদের আলোয় গাছের ছায়া দোলে,
হুতুমের সুরে বনে প্রাণ জ্বলে।
(১৫)
শঙ্খচিলের জাতীয় সঙ্গীত
শঙ্খচিলের ডানায় বাঁধা
মুক্তি সুরের ভাষা,
আকাশজুড়ে গানে মেশে
স্বাধীনতার আশা।
নীলিমার ঐ পটে আঁকা
মেঘের ছবি আজ,
সবুজ মাঠের আঁচলে ভরা
রোদ ঝলমল সাজ।
দূরের ডাকে সাড়া দিয়ে
চলে যায় বহুদূরে,
কিন্তু চিলের সুরে আছে
স্বাধীনতার নুরে।
পাখায় পাখায় গাঁথা যেন
জাতির আশা-ভাল,
মাটির টানে, আকাশে চলে
শঙ্খচিলের পাল।
হৃদয়ে যার স্বদেশ আঁকা
ভয় তার কোথায়?
সেই সুরে সুর মিলিয়ে
আমরা গাই জয়!
এ গান হোক চিরজাগরুক
স্বাধীনতার গান,
শঙ্খচিলের ডানায় ভেসে
জাগুক নুতন প্রাণ।
```
(১৬)
কাকের জাতীয় সঙ্গীত
নিশির আকাশ, কাকের গান,
মনের তলাতে ঝংকৃত সুরের টান।
কালো পাখি, কোকিলের মতো হাসে,
ঝলমলে রাতে মনের আলো জাগে।
মরশুম রাতে, মিষ্টি ডাকে,
বসন্তের সুরে, মন তৃপ্ত করে।
ফাঁকা মাঠে, মাটির গন্ধে,
কাকের গান বাজে, মিষ্টি সুরে বন্দে।
তারা গান গায়, একলা রাত,
যেন কালের সুর, মেলে প্রীতির সাথ।
নিশির কাক, গানের সাথী,
মনের শান্তি এনে, অমল সাথী।
(১৭)
ময়না পাখির জাতীয় সঙ্গীত
নিশীথের রাতের তলে,
জাগরণীর মন রসে,
গানের বাণী যেন ভাসে,
ময়নার সুরে মিষ্টি সুখে।
প্রেমের রঙে বাঁধা স্বপ্ন,
হাওয়ায় ভাসে সুরে মধুর,
ময়না, তুমি ভয়ডরহীন,
শিল্পের চিরন্তন গুরু।
উজ্জ্বল নক্ষত্রের আলোয়,
বাঁধা মোর মধুর গান,
ময়নার পাখির সঙ্গীত,
চিরকাল থাকবে প্রাণে, মান।
(১৮)
টিয়া পাখির জাতীয় সঙ্গীত
টিয়া পাখি উড়ে আকাশে,
পাখির সুরে হাসে গাছে।
জীবনের মেলার রঙিন দিন,
গানের রেশে ঘোরে হৃদয় সিন।
সবুজ পাতা, রোদ ঝলক,
তাদের গান ভরে মনে ডাক।
মিষ্টি সুরে ভরা দিন,
মিলিয়ে যায় জঙ্গলের রিন।
বনমোরগ, বনে মেলা,
টিয়ার গান, আনন্দের বেলা।
প্রকৃতির গান, মধুর রৌদ্র,
টিয়ার জীবন, হাসির পদ্য।
পাখির ডাকে সুর উঠবে,
মধুর গানে মন ভরবে।
টিয়া পাখির সুরের সঙ্গ,
অন্তরে বাজবে আনন্দ রঙ্গ।
======================
নামঃ বিচিত্র কুমার
গ্রামঃ খিহালী পশ্চিম পাড়া
পোস্টঃ আলতাফনগর
থানাঃ দুপচাঁচিয়া
জেলাঃ বগুড়া
দেশঃ বাংলাদেশ
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন