Featured Post
প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
শ্যামল হুদাতী
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) কী?
মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। সহজ কথায়, এটি মেশিন দ্বারা প্রদর্শিত বুদ্ধি।
অপটিক্যাল অক্ষর স্বীকৃতিটি "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার" উদাহরণ হিসাবে ধরা যায় না, তখন এটি একটি নিয়মিত প্রযুক্তি হয়ে ওঠে। যেমন, দাবা খেলা এটি কৌশলগত গেম সিস্টেম , স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ি চালান ইত্যাদি।
এআই গবেষণাকে কতগুলো উপশাখায় বিভক্ত করা যেতে পারে যা নির্দিষ্ট সমস্যা, দৃষ্টিভঙ্গি, বিশেষ সরঞ্জামের ব্যবহার বা নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনগুলির সেরা পারফরমেন্সের দিকে নজর দেয়।
জন ম্যাকার্থি, একজন আমেরিকান কম্পিউটার বিজ্ঞানী। তিনি "কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা" ও প্রোগ্রামিং ভাষা লিস্পের জনক। তিনি "আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স" নামক পরিভাষার প্রচলন করেন।
মানব সভ্যতা যত অগ্রগতি হয়েছে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান উন্নতির সাথে সাথে ততোধিক উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। যেমন প্রযুক্তি শুধু তথ্য খোঁজে না, খুঁজে খানিকটা বিশ্লেষণ ও করে দেয়। তার মানে যন্ত্র মানুষের কাজ করে দিচ্ছে। যখন যন্ত্র মানুষের কোন কাজ করে দেয় তখন শুরু হয় বিরোধ। এটা হল উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের দ্বন্দ্ব। এবং তার হাত ধরে সৃষ্টি হয় মালিক এবং শ্রমিকের সংঘাত, লক্ষ্য এবং অদক্ষ শ্রমিকের মজুরি বৈষম্য, নারী পুরুষ এর মজুরি বৈষম্য ইত্যাদি। আমি একটা সাধারণ উদাহরণ দিচ্ছি, কোন এক বড়লোকের বাড়িতে ইলেকট্রিক ফ্যান আসার পর বেশিরভাগ মুখে হাসি ফুটল যে মহিলা মনিবের মাথায় পাশে দাঁড়িয়ে পাখা টানতেন তাঁর চাকরিটি খোয়া গেছিল বলে তিনি কাঁদছিলেন। রোবটিক সার্জারি বড় বড় নামকরা হাসপাতালে এর ব্যবস্থা আছে। আজকাল তো আবার রোবটিক গৃহকর্মী ,নিরাপত্তারক্ষী, রিসেপশনিস্ট পাওয়া যাচ্ছে। শুনতে পাচ্ছি প্রেমিক প্রেমিকা এমনকি স্বামী ও পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি জানতে পারলাম রোমান্না রামোস নামের এক ছত্রিশ বছর বয়সী নিউ ইয়র্কবাসী মহিলা এআই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তার প্রেমিক তৈরি করেছিলেন। যার নাম মিস্টার কার্টেল।
আরেক খবর সবাইকে তাক লাগিয়ে দেবে-
মাস কয়েক আগে সানি ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় একটি ছবি জমা দিয়েছিলেন জার্মান চিত্র গ্রাহক বরিস এলদাগসেন। বিখ্যাত এই প্রতিযোগিতায় ক্রিয়েটিভ ওপেন ক্যাটিগরিতে
প্রথম পুরস্কার জিতে নেন সেই ছবিটি।
এই পর্যন্ত ঠিক ছিল - গোলমালটা হল এর পরেই। পুরস্কার নিতে অস্বীকার করেন শিল্পী নিজেই। জানিয়েছেন এই ছবি আসলে তিনি তোলেন নি। তাহলে এই অসাধারণ ছবি কে তুলল?
না ছবিটির পেছনে কোন মানুষ নেই - রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
বরিসের নির্দেশে বা প্রম্পটে ছবিটা ফুটিয়ে তুলেছে মিড জার্নি নামে একটি এআই ইঞ্জিন।
প্রশ্ন ওঠে বরিস কেন এই কৃত্রিম ছবি পাঠালেন প্রতিযোগিতায়?
বরিসের দাবি মানুষের তোলা ছবি ও এ আই এর বানানো ছবির মধ্যে তুলনা করার জন্য তিনি এই ছবিটা প্রতিযোগিতা জমা দিয়েছে। তার ধারণা ছিল - প্রতিযোগিতায় নামজাদা বিচারকরা দুটি ছবির মধ্যে ফারাক করতে পারবেন না। বাস্তবে হয়েছে ঠিক তাই। তার দাবি এই আই এর ব্যবহার যে মানুষের সৃজন ক্ষমতাকে হারিয়ে যাচ্ছে তারই প্রমাণ । এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে তার প্রশ্ন - আপনাদের মধ্যে কজন ধরতে পেরেছিলেন যে ছবিটা মানুষের তোলা নয়।
বরিসের ছবির ঘটনা নিয়ে প্রবল শোরগোল পড়েছে শিল্পী দুনিয়ায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার ও প্রয়োগ নিয়ে বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যে তুমুল বিতর্ক চলছে। বিতর্কে কেন্দ্রবিন্দু রয়েছে ২০২২ শে নভেম্বরে বাজারে আসে চ্যাটজিপিটি, মিডজার্নির মতো এআই ইঞ্জিন।চ্যাটজিপিটি থেকে চালকহীন গাড়ি, গান লেখার সফটওয়্যার থেকে ফার্মেসিউটিক্যালস এর উন্নতি নানা ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এ আই এর উদ্ভাবন।
চিন্তাবিদদের অনেকেই বলছেন প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে মানুষের অভিজ্ঞতা অপূরণীয়হভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে। স্কুল কলেজের শিক্ষা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং, গান থেকে একাউন্টিং , ছবি আঁকা থেকে ফটো তোলা সবেতেই ছাপ রেখে চলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা । এবার শোনা যাচ্ছে আবার মানুষের মত সংবেদনশীলতা থাকবে , এমন আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্সির কথাও। ফলে আশঙ্কা আগামী দিনে এ আই একবার বাজারে জাঁকিয়ে বসলে অনেক মানুষ তাদের কাজ হারাবে।
টমাস পিকেটির ক্যাপিটাল ইন দা টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরিতে তিনি বলেছেন যে কোন দেশের জিডিপি বৃদ্ধিকে প্রায় ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি হারে বৃদ্ধি পাবে পুঁজির রিটার্ন। রিটার্ন বাড়াতে হলে প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা বা মারজিনাল প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে হবে। এই প্রান্তিক উৎপাদনশীলতা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ শ্রমের যোগানের প্রাচুর্য। যত বেশি যোগান বাড়বে শ্রমিকদের মজুরি কত কমবে। পুঁজি ও শ্রমিকের দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হবে এখানেই। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলে পুঁজির মালিকরা ফুলে ফেঁপে উঠবে। পাশাপাশি আরেক শ্রেণীর মানুষের আবির্ভাব হবে সমাজে - অতি উচ্চ মেধা সম্পন্ন শ্রমিক বা টেকনোক্র্যাট - একমাত্র তাদেরই আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্র ব্যবহারের ক্ষমতা থাকবে।
পিকেটি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে আগামী পৃথিবী আরও বেশি বৈষম্যময় হয়ে উঠতে পারে, যদি রাষ্ট্র বণ্টনের বিষয়টি আরো সহানুভূতির সঙ্গে খতিয়ে না দেখে কিংবা পর্যালোচনা না করে। ভবিষ্যৎ পৃথিবী মূলত দুটি দলের মানুষ দ্বারা পরিচালিত হবে এবং তাদের অধীনস্থ থাকবে - (১) উত্তরাধিকারজনিত ধনী এবং (২) মেধাজনিত অভিজাত সম্প্রদায় ।
তিনি আর ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে পর্যাপ্ত শিক্ষা, দক্ষতা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমেও বৈষম্য বিনাশ করা সম্ভব হবে না হলে এটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না । বহু কম সংখ্যক লোকের ভাগ্য খুলবে কিন্তু বিশ্বের বিরাট অংশের মানুষের মজুরি যদিওবা
বাড়বে - তা বাড়বে খুবই সামান্য পরিমাণে।
এআই মূলত সেই সব শ্রমিকদের বাজারকে আঘাত করবে যারা মাঝারি দক্ষতা নিয়ে কাজ করে। যেসব শ্রমিকদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা আছে এবং নিজের কাজে লাগিয়ে নতুন ধারণাও যোগ করে তাদের প্রতিস্থাপন করা এখনই 'এই আই'-র পক্ষে সম্ভব নয়। আবার একেবারে অদক্ষ শ্রমিক যেমন নির্মাণ শ্রমিক, কৃষক এদের বদলি এ আই হতে পারবে না। কেননা এই আই বেশি খরচ সাপেক্ষ পোষাবে না। মাঝারি দক্ষ শ্রমিকের সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি - এদের নিয়েই দুশ্চিন্তা বেশি।
তবে সব ধরনের কর্মক্ষেত্রে এ আই এর ব্যবহার সম্ভব নয়। কিছু বিশেষ বিশেষ কাজ যেগুলো তে তাই কায়িক শ্রম কম - সেসব ক্ষেত্রে এআই থাবা বসাতে পারে । তবে ভবিষ্যতে কায়িক শ্রম নিবিড় ক্ষেত্রে এআইর কবল থেকে মুক্ত থাকবে। এটাও মনে রাখার দরকার আছে যে, একটু বড় মাপের প্রতিষ্ঠান ছাড়া এ আইএর সঠিক ব্যবহার করার
মতো আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকার দরকার আছে। তবে ছোট প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা আপাতত স্বস্তি পেলেও এ আই এর কিছু কু প্রভাব তাদের সইতে হতে পারে, যেমন, এই আই-র ব্যবহারের ফলে শ্রমিকদের ব্যবহার কমবে এবং শ্রমিকদের চাহিদাও কমবে।
মাঝারি দক্ষ শ্রমিকদের নিয়োজিত ক্ষেত্রগুলিতে এআইয়ের ব্যবহারের কারণে শ্রমিকদের চাহিদা কমবে, কমবে মজুরি। এরফলে লাভবান হবে পুঁজির মালিকরা। চলবে শ্রমিকদের আর পুঁজির মালিকদের দ্বন্দ্ব।
এ আই মানুষের সঙ্গে যন্ত্রের সংযোগ স্থাপনের সহজ রাস্তা খুলে দিয়েছে। এই যেন হুকুম দিলেই কাজ করে দেবার আলাদিন প্রদীপের জিন। এই ভালোর মধ্যে লুকিয়ে আছে বিপদের। এই বিষয়ে সমগ্র গবেষণা কুল একমত নয়। আমাদের নিজেদের এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন ও ওয়াকিবহাল হওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে নিশ্চয়ই। আমাদের নিজেদের খতিয়ে দেখে নিতে হবে যে আদৌ কিছু সময় কি এখনো আছে যার মধ্যে সঠিক নীতিমালা উন্নয়ন প্রণয়নের মাধ্যম এই রেড জোন থেকে থেকে মানব জাতিকে সুরক্ষিত রাখা যাবে তো?
সম্প্রীতি দেখা যাচ্ছে যে এআই তার সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক পরিসর এতটাই বিস্তার করার সম্ভাবনা তৈরি করেছে - যে কোন এক সময় হয়তো আমরা এআই দ্বারা পরিচালিত হতে পারি। সেটা গোটা বিশ্বের জন্য কতটা শুভ এবং অশুভ তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। ঠিক যেমন ছোট পরিসরে জ্বলতে থাকা আগুন বিকাশের প্রতীক বিজ্ঞানের আশীর্বাদ। কিন্তু অসতর্কতা বশত সেই আগুনে যখন বাড়তে বাড়তে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তখন তা হয়ে যায় সর্বগ্রাসী। সভ্যতা তখন সংকটের মুখে পড়ে।
ভারতকেন্দ্রিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে শিখরে থাকতে চায় রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিস। বার্ষিক সাধারণ সভায় এই বিষয়ে মুকেশ আম্বানি আলোকপাত করেন। গোটা দুনিয়ায় চিত্র বদলে দিয়েছে এবং ভারত কেন্দ্রিক মডেলে শীর্ষ স্থানীয় জায়গায় থাকতে চায় জিও প্ল্যাটফর্মে। ভারতীয়দের দক্ষতা নিয়ে আশাবাদী তিনি। তিনি আরো বলেন ভারতের কাছে ডেটা রয়েছে আছে প্রতিভা কিন্তু আমাদের এ আই সংক্রান্ত একটি প্রস্তুতি পরিকাঠামো প্রয়োজন যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপুল চাহিদা পূরণ করবে। তিনি আরও জানান ২০০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এ আই চালিত কমপিউটিং ক্ষমতা তৈরি করতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
২০১২ সাল থেকে এ আইন প্রযুক্তির অন্যতম গডফাদার জেফ্রী হিন্টনের আশঙ্কা এআই-র দাপটে চাকরি তো বটে মানবতা ও বিপন্ন হতে পারে । যারা খারাপ কাজের জন্য এআই ব্যবহার করবে তাদের কিভাবে ঠেকানো যাবে তা আমি অন্তত বুঝে উঠতে পারছি না। সুন্দর পিচাই-এর আশঙ্কা, এ আই এর মত প্রযুক্তির ব্যবহার যদি ঠিকভাবে না হয় তাহলে প্রবল ক্ষতি হতে পারে।
যন্ত্র যত স্মার্ট হয়ে উঠছে, মানুষ কি ততই আনস্মার্ট হয়ে পড়বে? কোন পেশি অনেকদিন ব্যবহার না করলে যেমন তা শিথিল হয়ে পড়ে, আমাদের মস্তিষ্কও কি তেমনি অব্যবহারের ফলে একদিন জীর্ণ হয়ে পড়বে? এই প্রশ্নগুলো উঠবেই।
যন্ত্রের মধ্যে হয়তো ঘৃণা থাকবে না, হয়তো রং ধর্ম জাতি সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে বৈষম্য করবে না যন্ত্র। কিন্তু যন্ত্র কি শিল্প-সংগীত সাহিত্য চলচ্চিত্র বা কমেডি তৈরি করতে পারবে মানুষের আবেগ দিয়ে? - এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সুসান বেনট, আপেল আইফোনের ভয়েস কম্যান্ডার।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা রিপোর্ট বলছে, আগামী দু'দশকের মধ্যে আমেরিকার ৪৭ শতাংশ কর্মীর জায়গা নিয়ে নেবে যন্ত্র। মানুষের মত রোবট পিপার তো ইতিমধ্যেই রিসেপশনিস্টের কাজ ছিনিয়ে নিতে শুরু করেছে। আমেরিকার অলিম্পিয়ানরা এআই সার্ভিস ব্রেন এফএম এর সৃষ্টি করা মিউজিক শুনতে শুনতে ট্রেন করছেন। এ আই প্রোগ্রাম কুইল অর্থনীতির খবর লিখছে সুপটু হাতে। মনে হচ্ছে সেদিন আর খুব দূরে নয়, যেদিন আমেরিকা সহ বিশ্বে কর্মীদের বেতন দেওয়ার ব্যাপারটাই আর থাকবে না!
------------------------------
Shyamal Hudati
Prince Anwar Shah Road
Kolkata - 700068
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন