Featured Post
সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা : জয়শ্রী ব্যানার্জি
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
বহুরুপী অর্থাৎ বহুরূপ যার। । ঈশ্বর তো সর্বশ্রেষ্ঠ বহুরূপী । তাঁকে আমরা সাধনার মাধ্যমে শক্তির আধার হিসাবে বহুরূপে পাই ।আবার মানুষের কত রূপ! ভালোমানুষের মুখোশের আড়ালে এক জঘণ্য চরিত্র । কিংবা কারো বাহ্যিক সৌন্দর্য এর আড়ালে কুৎসিত মন ।
সমাজের বিভিন্ন দিকে বিভিন্ন বিষয়ে আমরা তাদের গিরগিটি রূপে দেখা পাই । সময় ঠিক বুঝিয়ে দেয় তাদের বহুরূপতা । তারা বহুরূপী ।
তবে এখানে সমাজের এক শ্রেণির অবহেলিত ও প্রান্তিক শিল্পীদের ও একইসঙ্গে একটি সুপ্রাচীন শিল্পের পতনোন্মুখ অবস্থা এবং তাকে রক্ষার প্রয়োজনীয়তার সম্পর্কে কিছু কথা আলোচনা করবো।
আমরা যারা জেলার মানুষ গ্রামে মফস্বলে বড়ো হয়েছি তারা অবশ্যই বহুরূপী শব্দ বা এই কালচারের দের সাথে পরিচিত আছি । বৃহস্পতি বার বাদ দিয়ে ( গ্রামের গৃহস্থ বাড়িতে সাধারনত বৃহস্পতি অর্থাৎ লক্ষ্মী বারে লক্ষ্মী পুজো হওয়াতে তারা ঐ দিন টাকা পয়সা দিতে চায়তো না ) গ্রামে নিয়মিত বহুরূপী আসতো নানা সং এ নানা ঢং এ। ছোটবেলায় বহুরপী দের দেখে ভয় পায় নি এমন মানুষ কম আছেন ।কখোনো দেব দেবী সেজে কখনও বুড়ো মানুষ কি বুড়িমা র ছদ্মবেশে কখনও বাঘ সিংহ ভালুক সেজে কখনও বা রাক্ষস রাক্ষসী ভূত পেত্নী হয়ে !
বহুরূপী চলছে আগে আগে পিছনে হৈ হৈ করতে করতে উঠতি ছেলে দের দল । তাকে মাঝে মাঝে এটা ওটা কটাক্ষ মশকরা । সে একবার পিছন ফিরে ওদের দিকে তেড়ে আসছে আর হুড়মুড়িয়ে পালাতে গিয়ে এর ওর ঘাড়ে পড়ছে ছেলেদের দল । কোন বাচ্ছা দুষ্টু খুব ,কে পড়তে বসে না ,খায়না তাদের মা কি বাবা কি কাকা ডেকে আনতো বাচ্ছার কাছে ব্যাস অমনি বহুরূপী দেখে সেই মুহূর্তে জগতের সব থেকে লক্ষ্মী শান্ত ছেলেটি কি মেয়েটি ! দেব দেবীর রূপ ধরে সেজে এলে বহু বয়স্ক মানুষ তাদের প্রণাম করতেন ।টাকা পয়সা কাপড় কি আনাজপাতি,চাল যে যেমন পারতো দিত । এমনি করেই বছরের পর বছর চলেছে তাদের পেশা বা শিল্প !
বর্ধমান , বীরভূম বাঁকুড়ার অনেক জায়গাতেই এই বহুরূপী দের আখড়া। ঢুঁ মারলে দেখা যায় খড়ের চালের গায়ে লাগা লাল মাটির ঘর কারো এক টুকরো দাওয়া । চলছে বহুরূপী দের ঘরকন্না । এরা নিজেদের লোক শিল্পী বলেন । বাস্তবিক এটা লোক শিল্পের ই অংশ । এই শিল্প কার্যের মধ্যে ফুটিয়ে তোলেন তাঁরা শিল্প নৈপুণ্য। এখানে তাঁদের এক শিল্পী মনের পরিচয় পাওয়া যায় ।
সরকারি সার্টিফিকেট অনুযায়ী এরা এস টি ক্যাটাগরির। নিজেদের এরা বেদ বা ব্যাধ জাতি বলে মনে করেন । বিভিন্ন জায়গায় এঁদের বিভিন্ন পদবী যেমন বিষ্ণুপুর গেলে পাখমারা অর্থাৎ পাখি মারতো যারা মানে ব্যাধ জাতি আবার বিষ্ণুপুর আখড়াতে রায় আবার মুর্শিদাবাদে রাই বীরভূমের শীতল গ্রামে বাজিকর আবার ওই জেলার বিষয়পুর, নাওতারা তে চৌধুরী।
রোজগার তেমন হয় না ।যা হয় কিছু সংসার এর জন্য রেখে কিছু পেশাগত দরকারে সাজের ড্রেস মেকাপের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে হয় । তবে বেশির ভাগ জন নিজেরাই নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিস বানিয়ে নেন নানা রকম ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে ।সেগুলো সুন্দর ও মানানসই হয় বেশ ।
বহুরূপী সেজে গ্রামে, গঞ্জে, মন্দির চত্বরে বা শহরের কোথাও আনাচে কানাচে ঘোরার সাথে সাথে
কখনও কোনো শোভা যাত্রা তে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে অংশ নিয়ে , ঘোড়া নাচের সাথে চটুল ছন্দে নিজেদের তৈরি মাদকতায় ভরা উপভোগ্য দেশজ বাজনা বাজিয়ে ,কখোনো বা মধু সংগ্রহ করে কখনও বা বসুয়া গরু কি ষাঁড় ( যে গরু কি ষাঁড় এর পিঠ বা কুঁজে অতিরিক্ত ঝুলন্ত অংশ থাকে এবং কোথাও লোক বিশ্বাস অনুযায়ী শিবের বাহন মানা হয়) দেখিয়ে রোজগার করে । বীরভূমের শীতল গ্রামে গেলে দেখা যায় এমন । আবার কেউ কেউ টুকটাক চাষ আবাদের কাজেও যুক্ত থাকেন ।
তাদের মধ্যে নিরক্ষরতার সংখ্যা ও আছে বেশ ! তবে তাঁরা এখন বুঝেছেন শিক্ষার সাথে একটা সম্মান এর ব্যাপার আছে ।তাই এই সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকেই এখন স্কুল কলেজ মুখী হচ্ছেন।
বর্তমান আর্থ সামাজিক ব্যবস্থায় এই শিল্প এক সংকট ময় পরিস্থিতি তে দাঁড়িয়ে প্রায় বিলুপ্তর পথে । এই সম্প্রদায় তাই খুব উদ্বেগে ও হতাশ হয়ে এই শিল্পকার্য ত্যাগ করছেন ছেন।
এদের কথা সামনে এনে বা এদের জন্য কাজ করে এই শিল্প বাঁচাতে সাহায্য করতে পারেন কোনো সংস্কৃতিমনা, ঐতিহ্য সচেতন মানব বা শিল্প দরদী মানুষ কি শিল্পী সম্প্রদায় বা সমাজ ।নাহলে এই গৌরব ময় শিল্প অচিরেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং শুধুই গল্পকথায় থেকে যাবে ।
এমনই এক সংস্কৃতিমনা ঐতিহ্য সচেতন ভারত বর্ষের ভিতরে ভারতের আনাচে কানাচে অমৃত কুম্ভের সন্ধানে থাকা হৃদয়বান এক মানুষ পরিচালক রাজাদিত্য ব্যানার্জি এদের কথা তুলে ধরেছেন পোস্টারভারত ও ফিনল্যান্ডের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত তার ছবি 'বহুরূপী ' Daying art of the Bahurupis of Bengal ছবিতে ।
তিনি দেখিয়েছেন বাংলার ঐতিহ্য এই 'বহুরূপী শিল্প', নিছক শিল্পের গণ্ডিতেই তার যাতায়াত সীমিত নয়। সমাজ, ধর্ম, আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও ভাষাগত প্রকাশের নানাবিধ ক্ষেত্রগত দিকের সঙ্গে সেটির সংযোজন। বহুরূপীর ইতিহাস কেবল একটি শিল্পের কথা নয়, ওই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের জীবনের ওঠা-পড়ার গল্প, কীভাবে জীবনসংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই শিল্পীরা তাঁদের প্যাশন অবলম্বন করে বেঁচে আছেন,এখন ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এই শিল্প এবং তার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের জীবন ।
ছবিতে তা তুলে ধরার সত্য ঘটনা পাওয়া যায় তাঁর ছবিতে ।
একইসঙ্গে এই ইতিহাস এক বিশেষ ধরনের পারফরম্যান্সের, যা আত্মস্থ করে বাংলার নিজস্ব ঐতিহ্যকে আজও প্রাণপণে টিকিয়ে রেখেছেন কিছু মানুষ। সে সব ই তিনি বিচক্ষণতার সাথে তুলে ধরেছেন । বীরভূমের ভূমি পুত্র ও মামার বাড়িও সেই জেলাতে হওয়ায় তিনি এই বিষয় গুলি সম্পর্কে আরও জ্ঞাত।
এই ধরনের কাজ করতে গেলে পরিশ্রম ও হয় খুব কারণ তথ্যচিত্র নির্মাণ করতে গেলে সত্যতা তুলে ধরতে হয় সততার সাথে । অনেক গবেষণা করতে হয় ।
বলা বাহুল্য, বহুরূপী শিল্পের উদ্ভবের ইতিহাসের পাশাপাশি বর্তমান সময়ে এইসব শিল্পীদের পারফরমান্সের একটি গবেষণাধর্মী ও উপভোগ্য পরিবেশন পাওয়া যায় এই চলচ্চিত্রে ।
রাজাদিত্য বাবুর ছবিতে বহুরুপীদের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে জানার চেষ্টা করা হয়েছে এই শিল্প নিয়ে তাঁদের মতামত কি ? সারা বছর কেমন কাজ চলে,বিশেষত করোনাকালীন লকডাউনের পরিস্থিতিতে তাঁদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম কেমন ছিল, বহুরূপী দের সাজ, পারফরমান্স এবং জীবনযাপনের নানা দিক, এবং সার্বিক ভাবে, বহুরূপী শিল্পের দুরবস্থাকে এই ছবিতে সামনে আনা হয়েছে যা দর্শক মনকে ভাবতে বাধ্য করবে যে বাংলার লোক ইতিহাসের পাতায় এই শিল্পের অবস্থান কতখানি তাৎপর্যপূর্ণ এবং সেটা অনুভব করলে এখনকার সময় এই শিল্পের খারাপ অবস্থা দেখে কষ্ট লাগে !
বহুরূপী নিয়ে বিখ্যাত পরিচালকও সত্যজিৎ রায়ের কাপুরুষ মহাপুরুষ ছবিতে সামাজিক ভন্ডামি কি প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের সুবর্ণরেখা
ছবিতে দেশভাগ উদ্বাস্তু সমস্যা দেখানোর মাঝে বহুরুপী এলেও তাদের জীবনী সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে অর্থাৎ পুরোপুরি তাদের কেই নিয়েই যে কাহিনী দেখি তা স্বনাম খ্যাত আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক রাজাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় এর এই বহুরূপী ছবিতেই ।
তাই সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা windows production এর বহুরূপী দেখে যেসব টলিউড তারকারা কি পরিচালক বলছেন বহুরূপী নিয়ে এমন ছবি আগে কেউ বানান নি বা সাহস দেখান নি হয় ওনারা হয় ভুলে গেছেন বা দ্যাখেন নি অথবা জেনেও ইচ্ছাকৃত ভাবে স্বীকার করছেন না বা কেউ কেউ তৈল মর্দনের কাজ করছেন কোথাও কারো কাছে অত্যন্ত সচেতন ভাবে যা আগাগোড়া চলে ইন্ডাস্ট্রি তে ।
এখনও তথ্যচিত্র আর কমার্শিয়াল ছবির মধ্যে ফারাক করা হয় । বরাবর ই কমার্শিয়াল ছবি নিয়ে মাতামাতি বেশি করা হয় । সেই সব নিয়ে প্রচার বেশি হয় । হল রাখা হয় তাদের জন্যই বেশি ! আর তথ্যচিত্র বানাতে যে যথেষ্ঠ পরিশ্রম করতে হয় গবেষণা করতে হয় কারণ সত্যি টা তুলে ধরতে হয় , কাহিনী বানিয়ে রাখা হয়না সেখানে সেই জিনিস গুলো অনেকের দৃষ্টি গোচর হয় না ।
তথ্য চিত্র গুলো কে কমার্শিয়াল ছবির তুলনায় অবহেলা পেতে হয় এটা ধ্রুব সত্য । লোকে টিকিট কেটে বানানো কাহিনী দেখতে যেতে পারে কিন্তু সত্যি দেখতে আগ্রহ প্রকাশ তুলনায় কম । মানুষ বরাবর সস্তা জিনিসের ভিড়ে সামিল হতে খুব পছন্দ করে ।
এই সমাজে মূল্যবান জিনিসের মূল্য বুঝতে গেলে নিজেকেও সেই বিচক্ষণ হতে হয় যা অধিকাংশের মধ্যেই নেই ।
অনেক সময় ফুল লেন্থের এই তথ্যচিত্র গুলো কে কোনো জায়গায় দেখাতে হলে সেখানকার চাহিদা মতো ফিল্ম শর্ট করতে হয়। তথ্য চিত্র গুলো কে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তারপর নোংরা রাজনীতির ব্যাপারও থাকে অনেক সময় ,এই সব কিছু নিয়েই তথ্য চিত্র বানানোর পরিশ্রম অনেক ।
তাই বহুরূপী নিয়ে সিনেমা হয়েছে আগেই সেটা সাহসের সাথেই বানিয়ে দেখিয়েছেন পরিচালক রাজাদিত্য ব্যানার্জি । তাই যাঁরা এই বিপন্ন শিল্প নিয়ে সত্যি ভাবিত বা কিছু করতে চান তাঁরা ছবিটি দেখুন অনেক কিছুই উত্তর পাওয়া যাবে । ভাবতে শেখাবে কিছু করার উদ্যোগ শেখাবে।
পরিশেষে বহুরূপী নিয়ে একটি মজার ঘটনা স্মৃতি তে আজও আসে সে কথা বলে শেষ করবো ।
আমি যখন ক্লাশ ফোরে পড়ি একবার বাবা আর দুই কাজিন দিদি দের সাথে তারকেশ্বর গেছিলাম শিবের মন্দিরে । নতুন জায়গা তে এসে ভালই লাগছিল আমার । পুজো দেওয়া হবে ।মন্দির চত্বরে ঘোরার সময় হঠাৎ দেখি এক জায়গায় একটা দোকানের সামনে শিব ঠাকুর বিড়ি তে সুখ টান দিচ্ছেন ।
আমি চমকে গেছি ভীষণ ।বাবা তারকনাথ কেই ভাবছি ।কেউ দেখছি পাত্তা দিচ্ছে না ব্যাপার টা এমন কি আমার বাবাও না ! সবাই ক্যাজুয়াল। আর আমি এদিকে ভাবছি উনি বোধহয় শুধু আমাকেই দেখা দিচ্ছেন আর কেউ দেখতে পাচ্ছিনা তাই সবাই ক্যাজুয়াল । ভয় ভয় করছিল খুব । ওই বালিকা মনে স্বয়ং শিব কেই ভাবছি । হঠাৎ আমায় কেনো দেখা দিচ্ছেন কি চান? এই সব ভাবছি !
পরে বুঝি উনি বহুরূপী । শিব সেজেছেন । ঘটনা টি মনে পড়লে এখন হাসি পায় কিন্তু সেই সময় ভয়ে ঘামছি জীবন্ত ঠাকুর সামনে দেখে ।
এই রকমই ছিল তাঁদের শিল্প কলা। একই অঙ্গে নানান রূপ, এই ছিল বহুরূপীদের মূল উপজীব্য। নিত্যনতুন পোশাক আর রং মেখে দর্শকদের নজর কাড়তেন। তাঁদের অভিনয়ের মঞ্চ বলতে মূলত গ্রামের মেঠো পথ অথবা গৃহস্থের বাড়ি গুলি ছিল। শহুরে রাস্তায় কিংবা গ্রাম মফস্বলের কোনো মেলায় চোখে পড়ত বহুরূপী দের কয়েক বছর আগেও!বাংলার এই প্রাচীন লোকশিল্পের কত দিনের প্রাচীন তা আজ হয়তো হিসেব করে বলা সত্যিই কঠিন হবে ! আজকাল আর চেনা ছবির বহুরূপী দের চলতি পথে দেখা মেলে না ।
আমরা সবাই এখন কেমন যান্ত্রিক হয়ে অস্তিত্বের জীবন সংগ্রামে। নিজেদের কোনো ইচ্ছে, শখ এই শব্দগুলো রোজনামচা জীবন থেকে প্রায় হারাতে বসেছে। একদা ভীষণ জনপ্রিয় এই লোকশিল্প এখন পশ্চিমবঙ্গের গ্রামাঞ্চল থেকে ক্রমশ লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। কয়েক প্রজন্ম ধরে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা বহুরূপী শিল্পীরা কোনোমতে জীবনধারণ করেছেন। বর্তমানে বিনোদন সংক্রান্ত অনেক বদল আসায় মানুষের রুচিও পাল্টে গেছে তাই বহুরূপী সম্প্রদায়ের তরুণ প্রজন্মের শিল্পীরা এই পেশা ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন।, আধুনিকতার আর ব্যস্ততার ইঁদুর দৌড়ে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছেন বাংলার এই বহুরূপীরা।
আমাদের কি সত্যি কোনো দায় নেই সমাজের প্রতি ? কিছু করণীয় নেই ? শুধুই কি পলিটিক্যাল পার্টির হাতে দেশ আর রাজ্য কে ছেড়ে দিয়ে দায় মুক্ত হয়ে নিশ্চিন্তে বসে থাকবো ঘরের আরামে ?
নিজেদের দেশের কি রাজ্যের কি অঞ্চলের কোনো সংস্কৃতি ঐতিহ্য বাঁচানোর জন্য একটু সচেষ্ট হতে পারি না কি ?
(কিছু কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে গুগলের সাহায্য নিতে হয়েছে )
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
জনপ্রিয় লেখা
প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা
লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত। সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম। মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন। সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন্ন সাহিত্য
মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি
লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল
সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', '
কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার
বসন্তের কোকিল তুমি বিচিত্র কুমার (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে। (০২) এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ। তারপর প্রতিটি শীতের ভোরে অনেক রোদের পরশ মেখে ছুঁয়ে যেতে আমার বুকের বাঁ পাস শিশির রেখা, তখন প্রতিটি ভোর হয়ে যেত ভীষণ রকম মিষ্টি আর ছিলো শুধু বসন্তের ঘ্রাণ মাখা। প্রতিটি সকালে একঝাঁক মায়াবী পাখি অনুভবের
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সূচিপত্র কবিতা ।। তৈরি হয় এক নতুন বিপ্লবের পটভূমি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা || প্রতিবাদ || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। সেই মেয়েটি রাত জাগে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। শপথ ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। কোরাস রাত ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই ।। দীনেশ সরকার অণুগল্প ।। ব্যাকবোন ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক কবিতা ।। আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা ।। জয়শ্রী সরকার কবিতা ।। জীবন এখন ।। লাবণী পাল কবিতা ।। তিলোত্তমার বিচার চাই! ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা ।। যুদ্ধ , প্রতিনিয়ত ।। সুমিত মোদক মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রতিবেদন ।। বিচার পাক অভয়া ।। জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় অভয়ার যে চিঠিটা আজো পাওয়া যায়নি ।। আশীষকুমার চক্রবর্তী কবিতা ।। জগন্মাতা নাকি তিনি ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায় কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল ক
প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪
সূচিপত্র গল্প ।। উৎশব উৎসব ।। বন্দনা সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। বাংলায় প্রথম আত্মজীবনী লেখিকা রাসসুন্দরী দেবী ।। সবিতা রায় বিশ্বাস মগরাহাট (দক্ষিণ ২৪ পরগনা) এলাকার স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি (পর্ব-৬)।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। একটি মৃত্যু, অজস্র প্রতিবাদ ।। নাসির ওয়াদেন কবিতা ।। অন্ধকার জগৎ ।। সুপ্রভাত মেট্যা গুচ্ছকবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতাগুচ্ছ ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় খোলা কবিতা ।। মানস মণ্ডল নিবন্ধ ।। সম্পর্ক ।। সংঘমিত্র ব্যানার্জি উপন্যাসিকা ।। উদয় ।। তপন তরফদার সিনেমা রিভিউ ।। ছবি : বহুরূপী, পরিচালক : রাজাদিত্য ব্যানার্জি ।। আলোচনা: জয়শ্রী ব্যানার্জি গল্প ।। গল্পটা মিথ্যে নয় ।। বিকাশকলি পোল্যে অণুগল্প ।। স্পিড ব্রেকার ।। দেবাংশু সরকার কবিতা ।। একটা পুরোনো অঙ্ক ।। রঘুনাথ চট্টোপাধ্যায় কবিতা ।। গোপন সম্মোহন ।। বিশ্ব প্রসাদ ঘোষ কবিতা ।। আগুনের পাখী হব ।। কাকলী দেব দুটি কবিতা ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। বেঁচে থাকে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। হে অনিন্দ্য, রক্তাক্ত মাকড়সার সর্বাঙ্গ ঋষি দৃশ্য খাও
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত
উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু
"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান
"নবপ্রভাত" সাহিত্যপত্রের ৩০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আমরা নির্বাচিত কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও পত্রিকা সম্পাদককে স্মারক সম্মাননা জানাতে চাই। শ্রদ্ধেয় কবি-সাহিত্যিক-নাট্যকারদের (এমনকি প্রকাশকদের) প্রতি আবেদন, আপনাদের প্রকাশিত গ্রন্থ আমাদের পাঠান। সঙ্গে দিন লেখক পরিচিতি। একক গ্রন্থ, যৌথ গ্রন্থ, সম্পাদিত সংকলন সবই পাঠাতে পারেন। বইয়ের সঙ্গে দিন লেখকের/সম্পাদকের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি। ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত গ্রন্থ পাঠানো যাবে। মাননীয় সম্পাদকগণ তাঁদের প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠান। সঙ্গে জানান পত্রিকার লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস। ২০২৩-২০২৪-এর মধ্যে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা পাঠানো যাবে। শুধুমাত্র প্রাপ্ত গ্রন্থগুলির মধ্য থেকে আমরা কয়েকজন কবি / ছড়াকার / কথাকার / প্রাবন্ধিক/ নাট্যকার এবং সম্পাদককে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ধন্য হব কলকাতার কোনো একটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে (অক্টোবর/নভেম্বর ২০২৪)। আমন্ত্রণ পাবেন সকলেই। প্রাপ্ত সমস্ত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকার পরিচিতি এবং বাছাই কিছু গ্রন্থ ও পত্রিকার আলোচনা ছাপা হবে নবপ্রভাতের স্মারক সংখ্যায়। আপনাদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। ঠিকানাঃ নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদকঃ নব
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক
মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার সফ্ট কপি ডাউনলোড করতে ছবিতে ক্লিক করুন। ====০০০==== মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যাটি অনলাইনে অর্ডার করে বাড়িতে বসে পেতে পারেন অর্ডার করার লিঙ্ক: https://notionpress.com/read/nabapravat-utsab-2023 NABAPRAVAT30 কোডটি ব্যবহার করলে কম দামে পাবেন। (প্রয়োজনে যোগাযোগঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ নিরাশাহরণ নস্কর। সম্পাদক, নবপ্রভাত।)
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী
কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় পার্থ সারথি চক্রবর্তী কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই। খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই হবে বলে মনে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন