Featured Post
দ্বিভাষিক কবিতা বিষয়ক কিছু কথা ।। রণেশ রায়
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
দ্বিভাষিক কবিতা বিষয়ক কিছু কথা
রণেশ রায়
আমার ভাবনার ছন্দ লয়ে
দুই বন্ধু অকৃত্রিম বন্ধনে
ডানা মেলে ওড়ে আকাশে,
আমার কবিতা সে যে,
অবিরাম চলা তার পথিক সে-----
পথে পথে বাতি জ্বালে
সে ভেসে চলে উজানে,
ফুলের পাপড়ি ডানা মেলে
রামধনু রঙে রঞ্জিত সে,
জন কোলাহলে গানে গানে
দুটি ডানায় কবিতা আমার
নেচে চলে সমুদ্রের ঢেউ এ ঢেউ এ।
দ্বিভাষিক কবিতা যেন একটি পাখির দুটি ডানা। একটি ইংরেজি একটি বাংলা। ডানা মেলে ওড়ে আকাশে। গেয়ে চলে সুর ছন্দ লয়ে।
একই ভাবনায় সমৃদ্ধ কবিতাকে দুটি ভাষায় পরিবেশন করা হলে তাকে আমরা দ্বিভাষিক কবিতা বলে উল্লেখ করছি। এর ওপর আলোচনা সম্পর্কে আমার পড়াশুনা করা নেই । জানি না বিষয়টা নিয়ে আগে কোথাও কোন আলোচনা হয়েছে কি না। বিষয়টা নিয়ে আমি যেভাবে ভেবেছি তাই লিখছি। আমার এই প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে বিস্তারিত আলোচনার দরজা যেন খুলে যাক। বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক উঠুক আমি চাই কারণ সাহিত্যের বৃহত্তর স্বার্থে সেটা জরুরি। এই প্রসঙ্গে অনুবাদ কবিতা আর দ্বিভাষিক কবিতার মধ্যে আমি পার্থক্যটা যেভাবে ভেবেছি সেটা তুলে ধরছি। সাহিত্যের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে দ্বিভাষিক কবিতার গুরুত্বটা বোঝার চেষ্টা করব। অনুবাদ কবিতা সৃষ্টি হয় সাধারণত একটা ভাষায় লেখা বিষয়কে অন্য ভাষায় তুলে ধরার মধ্যে দিয়ে যেখানে অনুবাদকের স্বাধীনতা কিছুটা সীমাবদ্ধ থাকে অনুবাদকের সংযত আচরণের মধ্যে কারণ অনুবাদককে খেয়াল রাখতে হয় যাতে মূল লেখকের ভাবনায় মৌলিক পরিবর্তন না আসে। অবশ্য এটা মানতেই হয় যে অনুবাদ কবিতায় অনুবাদকের অজান্তে হলেও তাঁর ভাবনার প্রভাব তাঁর অনুবাদ কাজে পড়ে। এখানেই অনুবাদ সাহিত্য তথা অনুবাদ গল্প কবিতা উপন্যাস এক স্বতন্ত্র মাত্রা পায়। নেহাত তাকে অনুবাদ বলে অগ্রাহ্য করার সুযোগ থাকে না। তবুও অনুবাদক দাবি করেন না যে কবিতার ভাবনাটি তাঁর নিজস্ব বা অনুবাদিত কবিতাটি তাঁর মৌলিক কোন লেখা। আন্তর্জাতিক স্তরে সাহিত্যের আন্তর্জাতিকরনে অনুবাদ সাহিত্যের ভূমিকা অনন্য সন্দেহ নেই। সেই ভূমিকার অনেকটাই পালন করে দ্বিভাষিক কবিতাও । উপরন্তু দ্বিভাষিক কবিতা একই লেখকের দুটো ভাষায় একই বিষয়ের ওপর লেখা বলে সেটাতে লেখকের সাবলীলতা স্বাধীনভাবে উপস্থাপনার সুযোগ অনেক বেশি। তিনি লেখা দুটিরই মৌলিক লেখক বলে স্বীকৃতি পান।অনেক বেশি স্বতন্ত্রতায় তা পরিবেশিত হতে পারে।একজন ইংরেজি জানা ফরাসি লেখককে যেমন ইংরেজিতে একই কবিতা লিখতে দেখা যায় তেমনি ফরাসি জানা ইংরেজ কবিকে নিজের ইংরেজি ভাষা ছাড়া ফরাসি ভাষায় একই বিষয় নিয়ে লিখতে দেখা যায়। উর্দু জানা এমন অনেক বাঙ্গালী কবি আছেন যারা একই বাংলায় লেখা কবিতা উর্দুতে লেখেন। মধুসূদন দত্তকে দেখা যায় একই ভাব নিয়ে লেখা কবিতা বাংলা আর ইংরেজিতে লিখতে। দ্বিভাষিক কবিতায় একই বিষয় নিয়ে দু'টি ভাষায় লেখা কবিতায় শব্দ চয়ন ও উপমা ব্যবহারে কবি অনেক বেশী স্বাধীনতা ভোগ করেন ।
সাধারণত কোন সাহিত্যিক প্রধানত তাঁর মাতৃভাষায় সাহিত্য চর্চা করেন। গল্পকার বা প্রবন্ধকার মাতৃভাষায় গল্প প্রবন্ধ লেখেন। কবি মাতৃভাষায় কবিতা লেখেন। কবি মাতৃভাষাতেই নিজের কল্পকথাকে কথামালায় সাজিয়ে নান্দনিক করে তুলতে পারেন, তাঁর লেখা রণনিত হতে পারে ঝঙ্কৃত হতে পারে মাতৃ ভাষাতেই। তবে মাতৃভাষায় তিনি নিজের লেখায় নিজেকে অন্য ভাষাভাষী মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারেন না। সেটার জন্য দরকার হয় কোন লেখার ভিন্ন ভাষায় ভাষান্তর তথা অনুবাদ করে দেওয়ার। সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য কেউ করে দেন। সেক্ষেত্রে অনুবাদকের ভাবনা যুক্ত হয়ে যায় মূল লেখকের ভাবনার সঙ্গে। ফলে মূল লেখক যেভাবে বলতে চান সেভাবে লেখাটি প্রতিভাত না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই অবস্থায় লেখক একাধিক ভাষা জানলে নিজে একই ভাবনা একই বিষয়বস্তু নিয়ে একাধিক ভাষায় গল্প কবিতা বা প্রবন্ধ লিখতে পারেন, দুটো ভাষায় একই ভাবনা লেখকের মনোমত সেজে উঠতে পারে। আমরা যারা দুটো ভাষা জানি যেমন ইংরেজি আর বাংলা তারা একই বিষয় দুটো ভাষায় লিখতে পারি যাকে আমরা দ্বিভাষিক লেখা বলতে পারি। উল্লেখযোগ্য যে কোন অনুবাদকের অনুবাদ করা কবিতা বা গল্প কখনও তার নিজস্ব লেখা বলে গণ্য হয় না. কিন্তু দুটি ভাষায় একই ভাবনায় দুটো লেখাই তাঁর দু'টো নিজস্ব লেখা বলে গণ্য হয় ।
ভারতের মত একটা বহুভাষিক দেশে বিষয়টা বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ। শুধু বিদেশবাসি নয় একই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের মধ্যে যোগসূত্র গড়ে তুলতে এই দ্বিভাষিক সাহিত্যচর্চা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে আজও ভারতে ইংরেজিকেই অনেক রাজ্যে দ্বিতীয় ভাষা বলে মনে করে। এমন কি ইংরেজিকে প্রথম ভাষা হিসেবে গ্রহণ করার বিকল্প রাখা হয় যার প্রতি মানুষের একটা আনুগত্য আছে। অনেক সময় দেখা যায় বিদেশী কোন ভাষা দীর্ঘদিন চর্চার ফলে কোন একটা গোষ্ঠীর কাছে সেটা মাতৃ ভাষার মত হয়ে যায় তা আর বিদেশী ভাষা থাকে না। আমাদের দেশে শিক্ষিত সমাজে ইংরেজিকে প্রথম ভাষা হিসেবে গণ্য করার একটা প্রবণতা আছে। এই অবস্থায় দ্বিভাষিক সাহিত্য চর্চার একটা আলাদা তাৎপর্য থাকে। সেটা আলোচনা করে নেওয়া যেতে পারে সাহিত্য চর্চার বিষয়টা সামনে রেখে।
প্রথমেই বলে রাখি এই বিরাট ভারতের একটা প্রদেশের কোন এক ভাষাভাষীর বেশীর ভাগ মানুষ অন্য প্রদেশের সাহিত্য ও সাহিত্যিকদের চেনেই না, নামও শোনেনি। এমনকি একটা ভাষায় সাহিত্য চর্চা করা সাহিত্যিক অন্য ভাষায় সাহিত্য চর্চা করা মানুষকে চেনেন না। তাই ভারতের মত দেশে সাহিত্য চর্চা সমগ্র দেশের পরিপ্রেক্ষিতে খণ্ডিত সাহিত্য চর্চা হিসেবে থেকে যায়। তা দেশীয় চরিত্র পায় না সংকীর্ণ প্রাদেশিকতার সংকীর্ণ গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকে। এখনও ভারতে বাস্তবত একক কোন ভাষা দেশীয় ভাষা বলে বিবেচিত হয় নি যদিও হিন্দিকে রাষ্ট্র ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।প্রতিটি প্রদেশে প্রাদেশিক ভাষা চর্চার সঙ্গে ইংরেজি ভাষা চর্চা প্রাধান্য পায়। তাই দ্বিভাষিক কবিতার ক্ষেত্রে প্রাদেশিক ভাষার সঙ্গে ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য চর্চাই প্রধান। আমার দ্বিভাষিক কবিতা চর্চায় সেটাই প্রাধান্য পেয়েছে। আজকেও দেখা যায় আন্তর্জাতিক স্তরে তো বটেই ভারতের মত দেশে দেশের মধ্যেও সাহিত্যিক থেকে যান একান্ত নির্জনে তার ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। অঞ্চলের বাইরে তাকে পরিচিত হতে গেলে তার সাহিত্যের অনুবাদ দরকার যা নিয়ে তিনি বিশ্ব সাহিত্যের প্রাঙ্গণে উপস্থিত হতে পারেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন গীতাঞ্জলির মাধ্যমে নোবেলের দরবারে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে তিনি নিজের কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। ঠিক অনুবাদ না বলে দ্বিভাষিক কবি হিসেবে অবতীর্ণ হন বলে মনে করা যেতে পারে। বিশ্ব সাহিত্যের ক্ষেত্রে নামকরা বিশ্ব সাহিত্যিকদের গল্প উপন্যাস কবিতা ভিন্ন ভাষায় উপস্থাপিত হয় যা সাহিত্যিককে বিশ্বের দরবারে হাজির হতে সাহায্য করে। আঞ্চলিক সাহিত্য আন্তর্জাতিক চরিত্র পায় যা সাহিত্যের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে সাহায্য করে, সাহিত্যের আন্তর্জাতিকরন ঘটে। আমার অনুবাদ কবিতা নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে এর ওপর সক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি। আজ দ্বিভাষিক কবিতাগুলো এই বইএর মাধ্যমে তুলে ধরা প্রসঙ্গে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিষয়টা আলোচিত হচ্ছে।
আমার সাহিত্য চর্চায় স্বরচিত কবিতা ছড়ার সঙ্গে বেশ কিছু অনুবাদ কবিতা আর দ্বিভাষিক কবিতা গুরুত্বপূর্ণ স্থান পেয়েছে। অন্তত আমার পরিশ্রমের অনেকটাই এদের ঘিরে।এর গুণগত মান বিচার করবেন পাঠকবৃন্দ। সমস্যা হল অনেকে একটাকে অন্যটার অনুবাদ বলে ভাবেন। দ্বিভাষিক কবিতার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আমার কাছে তা নয়। আমার যদি কোন ভাবনা মনে আসে তখন ইংরেজিতে লেখার ইচ্ছে হলে ইংরেজিতে লিখি। কিন্তু ভাবনাটা আমার সঙ্গে এমন মেলবন্ধনে আবদ্ধ যে অন্য কোন সময়ে মনে ভাবনাটার আবার উদ্রেক হওয়ায় স্বপ্রণোদিত হলে সাবলীলভাবে ইংরেজীটা সামনে না রেখেই তা বাংলায় লিখি।এ ব্যাপারে নিজেকে অন্যের ভাবনায় তার লেখাকে ধরে রেখে সংযত হওয়ার তাগিদ বোধ করি না। শব্দ চয়নে উপমা ব্যবহারে অনেক বেশি স্বাধীনতা পাই। আবার একই ভাবে বাংলায় লেখা কবিতাকে ইংরেজি কথামালা সুর ছন্দে সাজাবার চেষ্টা করি।
উল্লেখযোগ্য যে আমার এই দ্বিভাষিক কবিতা লেখার ব্যাপারে যে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ যুগিয়েছে সে হল বন্ধুবর লেখক মুকুল ভট্টাচার্য।সত্যি কথা বলতে কি ইংরেজিতে আমার শব্দ ভান্ডারের দৈন্যতার জন্য প্রথমে আমি একটা আধটা লিখে আর লিখতে ভরসা পাচ্ছিলাম না। মুকুল আমাকে বলে তোমার ইংরেজি লেখায় একটা সাবলীলতা আছে একটা স্বতস্ফূর্ততা দেখা যায় যা তোমাকে ইংরেজিতে কবিতা লিখতে সাহায্য করে।কাজেই তুমি চালিয়ে যাও। আমার পড়াশুনার জীবনে আরেকটা প্রতিবন্ধকতা ছিল অভিধান দেখে শব্দ বাছাইয়ে অনীহা।আমি মুকুলের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে অভিধানের সাহায্যে শব্দ বাছাইয়ে মন দিই। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে গুগল এ ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করে। এই প্রসঙ্গে আমি আমেরিকাবাসী বান্ধবী জয়ন্তী আর বন্ধু অভিজিতের নাম করতে গর্ব বোধ করছি। জয়ন্তী একজন বাঁচিক শিল্পী। অভিজিৎ ভালো আবৃত্তি করে। আমার খেয়াল বশত বন্ধুবর সব্যসাচী দেবের লেখা বিখ্যাত বাংলা কবিতা 'কৃষ্ণা'র ইংরেজিতে অনুবাদ করা কবিতাটা জয়ন্তী আবৃত্তি করে যা আমার কানে অনুরণিত হয় কবিতাটির ছন্দ আর ধ্বনিতে । আমার আত্মবিশ্বাস বাড়ে। ভাবতে থাকি আমি পারি। কয়েকটা বাংলা কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ করার পর দ্বিভাষিক কবিতা লেখায় মন দিই যার ফলশ্রুতি আজের এই বই। ইতিমধ্যে আমি শেক্সপিয়রের যুগ থেকে আজকের লেখা বিভিন্ন ইংরেজি কবিতার অনুবাদ করি। এর মধ্যে কয়েকটির ক্ষেত্রে অনুবাদ নয় কবিতার ভাবান্তর ঘটে। উল্লেখযোগ্য যে আমাদের পছন্দ না করা অনেক বিষয়ের মধ্যে ভালো কিছু দিক থাকে যা আমরা আমাদের চর্চায় অজান্তে হলেও স্বীকার করে নিই বা নিতে বাধ্য হই। যেমন আমার দ্বিভাষিক কবিতায় ইংরেজি ভাষার ভূমিকা। ব্যক্তিগত ভাবে আমি ব্যবসার জগতে কর্পোরেট স্বার্থে শিক্ষার জগতে ইংরেজিকে চাপিয়ে দেওয়ার বিরোধী। আর এর চাপে বাংলা ভাষা চর্চার অধগতিকে মেনে নিতে পারি না। আমার মনে হয় বিদেশী ভাষাকে আত্মস্থ করতে সাহিত্যে তার ভূমিকাকে তুলে ধরতে গেলেও মাতৃ ভাষার নিবিড় অনুশীলন দরকার।শেষ জীবনে মাইকেল মধুসূদনের উপলব্ধিতে সেটা ধরা পড়ে। তিনি মাতৃভাষায় সাহিত্য চর্চায় ফিরে আসেন। আন্তর্জাতিক স্তরে মাতৃ ভাষাকে প্রতিষ্ঠা দেওয়ার ব্যাপারে ইংরেজি লাতিন উর্দু ভাষার ভুমিকা অস্বীকার করা যায় না। তাছাড়া ভাষা নিজেই বিবর্তন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যায়। শিক্ষার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ভাষার বিভিন্ন দিক যেমন শব্দ ছন্দ তাল লয় মাতৃভাষার সঙ্গে মেল বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ভাষা বহুমাত্রিক হয়ে দাঁড়ায়। যেমন আজকের বাংলা ভাষায় উর্দু হিন্দি ইংরেজি ল্যাটিন শব্দের প্রচলন সমধিক। আর দ্বিভাষিক সাহিত্য চর্চা এই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ভাষা আর দেশ কালের গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না।অঞ্চলের গন্ডি ছাড়িয়ে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক সাহিত্যের আঙিনায় প্রবেশ করে যা সমাজ মুক্তির পথ খুলে দেয়।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন