google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re তিনটি কবিতা ।। নিমাই জানা - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩

তিনটি কবিতা ।। নিমাই জানা


তিনটি কবিতা ।।  নিমাই জানা

 

তৃতীয় সাপেদের শুক্রতারল্যের উপপাদ্য ও ঋণাত্মক জ্বর সমগ্ৰ



ক্যালসিয়াম কার্বাইড মৃত্যুর মতো শুক্রতারল্যের স্বর্গীয় উত্তপ্ত লৌহ কণিকার উষ্ণতম গর্ভগৃহে পা রেখে দেওয়ার পর আমরা অলৌকিক আততায়ীদের সাথে তৃতীয় সাপের অসুখগুলো ঝুলিয়ে ক্রুসেড ধর্মযাজকের নৃশংস হত্যাকারী হয়ে যাচ্ছি ,

মৃত রাতের শেষে ডুবে যাওয়া চাঁদের ধোঁয়ামাখা লম্বা প্রস্থছেদে জীবাণুর কঠিন নির্জন আড়ষ্টতার সিস্টোলিক চলন ঘুরে বেড়াচ্ছে গলার দীর্ঘ ক্যান্সার অসুখের মতো ,
ঘুমের চতুর্থ প্রকারভেদের নীলকরবির দাঁতগুলো ছিঁড়ে রক্তময় বাবার উপপাদ্যহীন মানস সরোবর আঁকছি মহাজনপদের শেষ আলো ডুবে যাওয়া রতিখন্ড মেঘের ঘণত্ব দিয়ে , কিন্নর , পিশাচ , লাভা , পুরোহিত খনিজ প্রত্ন নাবিক সকলেই স্নান ঘরে আগুনের লেলিহান ছুঁয়ে ছুঁয়ে - ৫৬° জ্বরের মেটামরফোসিস আবিষ্কার করছে গলিত জীবিত জীবাশ্ম দিয়ে
প্রেত রঙের ভেসে থাকা তৈল গ্রন্থীময় নদী , স্বর্গ থেকে ফিরে এসে বুকের খাঁজে ৬৪ রজঃস্বলা নদীর কর্কটক্রান্তীয় অলৌকিক আবহবিকার কেন্দ্রে নিম্নবর্গীয় পরিযায়ী পাখিদের চক্রাসনের ভেতর থেকে দ্বাপর যুগ বের করল , অবৈধ করোটি ছেঁড়া হাড়ে ভ্রুণের খণ্ডিত দেহের রক্ত লেগে থাকে , তখনও দশম অবতারের চতুর্থ মধ্যমাটি নির্ণয় করছিলাম ত্রিভুজের অসংখ্য বাহুর পাণ্ডুরোগের সন্ন্যাস দিয়ে , ব্রহ্ম , বুদ্ধ অবতার

রাতে কোনদিন পরকীয়া বৃষ্টি হয়নি ফাঁসির দড়ির রজঃস্বলা থেকে নিহত মানুষটিকে উদ্ধারের পর , দরজার ভেতর থেকেই মুখ বন্ধ করা কাঠের গর্তের ভিতর ঢুকে যাচ্ছে মা কমলা শাঁখা ভান্ডার , টেস্টটিউব অন্ধকারের এক শুক্রাণু বিশিষ্ট ঘাতকটি কাঁচের ধ্বংসস্তূপ থেকে সবুজ আগুনের ট্রাইগ্লিসারাইড হৃদপিণ্ড বের করছে , স্নায়ুতন্ত্রে কুঠার চালিয়ে দিচ্ছে স্ত্রীলিঙ্গেরা

 

তিন মিলিমিটার তলপেট ও শুক্রাণুবিহীন চন্দ্রবোড়ার ডিম্বানু



৬০৪ প্রোটন ছায়ার মতো রক্তাক্ত ট্যানজেন্ট লৌহ কণিকার মৃত্যু উপভোগের জন্য কার্ডিয়োগ্রাফের হায়ারোগ্লিফিক নোটপ্যাডস বন্ধ রেখেছিলাম অন্ধকারের মতো নগ্ন সমকামী সেজে

অব্যবহৃত নর্তকীর অস্থিতিস্থাপক অন্তর্বাসের মতো সংক্রমণ ব্যাধি আর নেই উল্টানো মহাকাশের তলপেটে  ,  আমি দুই হাতে আগুনের বেদানা ফল ভাঙছি রাত্রির নিষ্ফল রক্তাক্ত কান্না আর মুখের মাংসল অতিলৌকিক হ্রদের স্নান পরবর্তী উত্তেজক প্রসাধন সুগন্ধি দিয়ে , বিষাক্ত চন্দ্রকলা লুকিয়ে রাখি এক একটা নিপুন অস্ত্রধারীর কাছে
মৃত্যুকে দুফলা কাঁচের মতো আজ মাথায় রেখে একাকী ব্রহ্মপুত্র হতে সময় লেগেছিল খানিক , এ কেমন এক অদ্ভুত ছায়া ঈশ্বরের অবয়ব নিয়ে আরেকটি নিভৃত কঠিন জরায়ু ক্যানসারাস মুখের গলগল রক্ত অন্ধকারের সাথে মিশে গেল , অদৃশ্য রতি , সংকল্প সাধন , তর্পণ ও দীক্ষা
আমি কি তবে একাকী বারুদ ফলের মতো গণিত বিষয়ক রাইজোবিয়াম গুলো নিয়ে নিপুন নর্তকের উলঙ্গ শবাসনে শুয়ে আছি মৃত পুরুষের মতো !
সরাইখানার ভিনাইল প্লেটে পড়ে আছে মৃত মৃত কসাইয়ের ঠ্যাং পোয়তি মদ , পাঁপড়ের উলঙ্গ পাঁজর আর শত ছিদ্র জোনাকি রঙের অপহৃত শুক্রতারল্যের ঘুম রোগের স্নায়ু মেশানো ওষুধ
এরাতে চাঁদের কঙ্কাল একাকী কফের ওষুধ গন্ধের মতো উড়ে বেড়ায় মৃত ঔষধ দোকানের চারপাশে শরীরের তাপমাত্রা ক্রমশ ঘোলাটে হয়ে যাচ্ছে যকৃত জমা জলের মতো

যারা লিচু ফলের মতো একটি উইন্ডো স্ক্রিনের মৃত্যু ঝুলিয়ে রাখে নার্গিস ফল দোকানে তারা জানে আজকাল দূর্বা ঘাসেরা গর্ভপাতের নীল যমুনা পেরিয়ে যায় ভূগর্ভস্থ তান্ত্রিক সেজে , লাল চন্দ্রবোড়া নিষিক্ত জাইগোট , প্লাসেন্টা,  গুহাচিত্র,  নিষ্কম্প ধাতু বীজ সমগ্ৰ কালো ধুতরা বীজের গুঁড়ো  মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছে ৪ ফুট দৈর্ঘ্যের ভেক্টর দ্রাঘিমার অপ্রকৃত ভগ্নাংশ হয়ে

তিন সশস্ত্র ঘোড়া আমাদের মুখে অধাতব নৌকা চালিয়ে অসংলগ্ন বিদুর পুরে চলে যাচ্ছে ক্লোরামফেনিকল নিয়ে

তিন জনপদের সুড়ঙ্গ ও মহাজাগতিক ঘোড়সওয়ারটি


আশ্রমিক মায়াঘোর অববাহিকায় নেমে পঞ্চপান্ডবের সুহৃদ তপস্বীরা মোমের বড়ি খেত জলপ্রপাতের মুখ থেকে বেরিয়ে আসা বরফ ঠাণ্ডা ছাই  মেশানো চকচক হীরা জলের সাথে ,

লাল চেরি ব্লসম আর হে কালারের ধূসর জনপদের সুড়ঙ্গ দেখতে পাচ্ছি কিন্তু এখানে কোনদিন গণিতের রজঃস্থান দেখা যায়নি কামতাড়িত ধর্ষকদের চোখে , সমুদ্রের ভেতর নিজের মুখগুলো উল্টে ঢুকিয়ে রাখার পর কাপালিক নিজের পিত্তাশয় গুলোকে লম্বা কড়াইয়ের উপর রেখে নেড়ে নেড়ে পোস্ত বাটার সাথে স্তন জল ভেজানো কাঁকড়া বিছার তলপেট দিয়ে রান্না করছে , আমাদের মৃত আসবাব গুলো প্রতিদিন উপবাস পালন করছে শাকারম্ভী নক্ষত্রের দিকে মুখ করে

মৃত্যু প্রতিদিন পোশাক পাল্টে আসে বলে মহাজাগতিক রাতকে চারটা রজনীগন্ধার মালা পরিয়েছি গতকাল , পচা পাকস্থলীতে একটা আঙ্গুল , নক্ষত্রের দিকে পাঁচটা আঙুল আর যৌন পর্দায় বাম আঙ্গুলের ত্রিশুলের মতো তিনটি ঠোঁটকে বাঁকিয়ে নাবিক বিহীন ঝুলিয়ে রেখেছি নিঃশর্ত সন্ন্যাসের মতো , ধোঁয়া উঠলেই সব সওদাগরেরা লাল ফুল নিয়ে আত্মহত্যার কবিতা লিখে
রক্ত ছিটকে আসছে অথচ একটা ধারালো ব্লেড কসাই আর রক্তখাদকের গলার আড়াআড়ি বসে আছে, শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে  জলঙ্গী ভেজা নারীটির
গিনিপিগের মাংস কাটা দোকানের কথা বলছি এখন , আমার পূর্ব জন্মের কথা মনে হচ্ছে কাঁচে ঢুকে থাকা টেস্টটিউব বেবির প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন মস্তিষ্কের মতো , দীর্ঘ ফাঁকা মাঠ আর আমার বুকে কোনদিন অষ্টম ছিদ্র বিশিষ্ট হৃদপিণ্ড ছিল না,
অতিভুজ বিহীন নৌকারাই আত্মহত্যার পর পোশাক খুলে রেখে গেছে নাম না জানা গাছের তলায় , এ পজিটিভ রক্তের ওজন মাপছি দাঁড়িপাল্লায়

লোহিত বর্ণের ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডারের চারপাশে গর্ভাশয় মূর্তির আগুন জ্বলছে ,  তিনজন মানুষ সাদা রক্ত থেকে দুধ বের করে অসংখ্য জ্বালানি পুড়িয়ে পুড়িয়ে মৃত শাঁখের অবয়ব তৈরি করছে, মৃত মা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে হাইপোথ্যালামাস ঝাউ বাগানের দিকে অথচ আমাদের কারোরই নৈসর্গিক পা নেই , মদন মালাকার কাঁচের প্রবৃদ্ধ কোণ নির্ণয় করছেন
 
===========

নিমাই জানা
রুইনান , সবং, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭২১১৪৪

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন