পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

৭ম সংখ্যা # সূচিপত্র

ছবি
নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-ম্যাগ আশ্বিন ১৪২৫ ।। সেপ্টেম্বর ২০১৮ বিষয় ঃ "শিক্ষা ও শিক্ষক" সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা তন্ময় পাল    স্বরূপা রায়    রীনা তালুকদার    মোনালিসা পাহাড়ী    তপন মুখার্জি    সম্পা পাল্    দুলাল সুর    অমৃতা বিশ্বাস সরকার     ফিরোজ আখতার     অদিতি চৌধুরী  কোয়েলী ঘোষ    স্বাতী নাথ    সামসুন্নাহার ফারুক    আবদুস সালাম    অমিত পাল    লিপি ঘোষ হালদার    মৈনাক চক্রবর্ত্তী    বিশ্বজিত দাস    প্রণব কুমার চক্রবর্তী    কালীপদ চক্রবর্ত্তী    - অ-নিরুদ্ধ সুব্রত    রাখী সরদার    শুভাশিস দাশ    তনিমা হাজরা    সুনন্দ মন্ডল    শেফালি সর    দেব শংকর দাস    রণেশ রায়    বিজয়ন্ত সরকার। গল্প দীপক কুমার মাইতি    জয়ন্ত দত্ত    পারিজাত    রিয়া ভট্টাচার্য    তপন কুমার মাজি    সন্তু চ্যাটার্জি    সৌরভ ঘোষ ছড়া-কবিতা অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়    সোমনাথ বেনিয়া    কবি আর্যতীর্থ    তরুনার্ক লাহা    অমিত পাল  প্রবীর রায়    মৌসুমী ভৌমিক    অসীম মালিক    প্রশান্ত সেন   শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়    কৃষ্ণা দেবনাথ    চৌধুরী নাজির হোসেন    নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত 

স্বাতী নাথের নিবন্ধ

শিক্ষক দিবস ও শিক্ষক আদর্শ শিক্ষক ডঃ সরবপল্লী রাধাষ্ণণের ১৩০তম জন্মদিন উপলক্ষে সকল শিক্ষক কে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। ভারতে ৫ই সেপ্টেম্বর কে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে ১৯৬২ থেকে। সরবপল্লী রাধাকৃষ্ণণ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তাঁর গুণগ্রাহীচাত্র ও বন্ধুরা তাঁর জন্মদিন পালন করতে চাইলে তিনি বলেন "জন্মদিনের পরিবরতে৫ই সেপ্টেনবর যদিশিক্ষক দিবিস হিসাবে উদযাপিত হয় তবে আমি বিশষ রুপে অনুগ্রহ লাভ করবো"। ইউনেসকোর মতেবিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ পালন করা হয়১৯৬৩ সালের ৫ই অক্টোবর বিশ্বের ১০০ টি দেশে শিক্ষক দিবিস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। এই দিবস টি পালনে educational international (EI)ও তার সহযোগী ৪০১ টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে। শিক্ষা যদি জাতীর মেরুদন্ড হয় তবে শিক্ষক্ সে মেরুদন্ডের স্রষ্টা। পৃথিবীতে যতগুলো সম্মান জনকপেশা আছে তার মধ্যে শিক্ষকতা সর্বচ্চ সম্মানিত পেশা।আমরা জানি একজন মানুষের সফলতার পিছনে শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন আদর্শ শিক্ষক কেবল মাত্র পড়াশুনার ক্কেত্রে নয়, তিনি ছাত্র ছাত্রিকে জ

রীনা তালুকদারের নিবন্ধ

ছবি
অমেধাবী ছাত্র     -------------------- শিক্ষক এই শব্দের সাথে নানা রকম মানুষ ও পেশা জড়িত। নবপ্রভাত একটি সাহিত্য সাইট। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উপলক্ষে একটি সাহিত্য সাইট প্রিয় শিক্ষক সম্পর্কে ভাল মন্দ যেমন হোক লিখতে বলেছেন। আমরা যারা লিখিয়ে তাদের কাছে শিক্ষক সম্পর্কে লেখা চাওয়া হয়েছে। ব্যাপারটা খুব একাডেমিক মনে হলেও ব্যক্তি জীবনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। মানুষের অমঙ্গল -মঙ্গলের সব বিষয় ব্যক্তি সম্পর্কিত তো বটেই। কোনো না কোনো ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক অবশ্যই থাকে। নব প্রভাত মেইল পাঠানোর পর প্রথম ভাবলাম একটা সাহিত্য সাইট আবার সেই মাধ্যমিক স্কুলের বিশদ রচনা লেখার মত একজন আদর্শ শিক্ষকের রচনা লেখার আয়োজন করছে কি কারণে। পরে অনেক চিন্তা করলাম না বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। নব প্রভাত না বললে হয়ত এভাবে চিন্তাই মাথায় কাজ করতো না। একটা তাগিদ অনুভব করলাম লেখার। শিক্ষক শব্দের অর্থ কি। অত্যন্ত ব্যাপক সন্দেহাতীত ভাবেই। ছাত্রদের ভেতরের শক্তিকে অনুধাবন করে সেই শক্তিকে এমনভাবে বিকশিত করার চেষ্টা করেন যা তার সমস্ত জড়তাকে ভেঙ্গে স্বপ্নযাত্রার সূচনা ঘটায়। যিনি গন্তব্য নয় বরং পথে হাঁটতে শেখান। যিনি

রণেশ রায়ের নিবন্ধ

শিক্ষক দিবসে এক শিক্ষকের প্রতিবেদন আমার জীবন ও জীবিকার প্রধান উপাদান ছিল আনুষ্ঠানিক শিক্ষা যার আধার ছিল প্রধানত শহুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিছুদিন বিদ্যালয়ে, বেশিরভাগটাই মহাবিদ্যালয়ে। বলতে কুণ্ঠা নেই যে আজীবন শিক্ষা শিক্ষা করলেও প্রকৃত শিক্ষার নাগাল আমি আজও পাইনি। আজ শিক্ষা দিবস উপলক্ষে কিছু বলতে গিয়ে সবচেয়ে আগে আমাকে এই সত্যটা তুলে ধরতে হয়। নইলে সত্যের অপলাপ হয়, বাগাড়ম্বর-এর আড়ালে নিজেকে বৃথা আড়াল করার চেষ্টা হয়। একে আমি বৃথা আড়াল করার চেষ্ঠা বলছি কারণ আমার বিশ্বাস আজ সকলেই এটা বোঝেন। কাজেই আড়াল করার চেষ্টা মানে নিজেকে ফাঁকি দেওয়া। আমার এই উপলব্ধির প্রেক্ষাপটে আমি দু একটা কথা বলব। আমাদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষার আধাঁর হলো বিদ্যালয় বা মহাবিদ্যালয়ের মত অনুষ্ঠানগুলো যেখানে একটা আনুগত্যবোধকে কেন্দ্র করে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগ থাকে। পরীক্ষায় নম্বর পেয়ে ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই বলা চলে এটাকে। মানুষ তৈরির সঙ্গে এই শিক্ষার সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায় না। এরই মধ্যে যতটুকু শেখা হয়। এর খুব সামান্য প্রত্যক্ষ শিক্ষা, বেশিরভাগটাই অপ্রত্যক্ষ। অভিজ্ঞতা ও শ্রমের ভূমিক

বিজয়ন্ত সরকারের ভাবনা

ছবি
// ক্রোমোজোম 'Y' / ডিজিটাল জীবনে ক্রমশঃ কমে আসছে বন্ধুত্বের আত্মিক প্রশমন । যৌবনের ট্র্যাক-সিডিউলের সিস্টেমিকস্-এর চাপে চওড়া বিশ্বস্ততায় রোজ জমছে ধূসর যন্ত্রনা । রাস্তার মোড়ে দাঁড়ানো অল্পবয়সীদের হাতেও নজরে আসে বিশ্বায়নের নেশাগ্রস্থতার চ্যাপটার । এরকম একটা সময়ে বিজন, সন্দীপ আর দীপু'র বন্ধুত্বটা একদম আলাদা ছাপ রাখে । বিজন জুওলজিতে এম. এস. সি., সন্দীপ কম্পিউটার সায়েন্সে এম. এস. সি.; দু'জনেই টিউশন পড়িয়ে হাতখরচা চালায় আর চাকরির জন্য পড়াশোনা করছে । দীপু গ্র্যাজুয়েশনের পর প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতায় নিযুক্ত হয়েছে এক বছর হল । বয়সে ফারাক থাকলেও তিনজনের মানসিক যোগ অনন্য । মাঝে মাঝে বিজনের বাড়ির ছাদের ঘরে তিনজনের আড্ডায় হয় দেখা । সে আড্ডায় কখনও নিকোটিন পোড়েনি, ককটেল্ হয়নি উদ্বায়ী তরলে । তবে নেশা একটা আছে, সেটা হল কিছু ভাল কাজের ইচ্ছে । বিজনের ভাললাগার বিষয় নাটক, সন্দীপ বিপ্লবীদের জীবনী নিয়ে নানারকম গবেষণা করে আর সেসব নিয়ে পুরোদস্তুর আলোচনাও হয় তিন বন্ধুতে এবং দীপু চেষ্টা করছে একটা দল গঠন করে দুঃস্থ বাচ্চাদের সাহায্য করার জন্য । আজ ৫ই সেপ্টেম্বর । বিজন

মোনালিসা পাহাড়ীর নিবন্ধ

ফিরে দেখা শিক্ষা ও শিক্ষক বিষয়ে কিছু বলতে গেলে প্রথমেই বলা উচিত যে শিক্ষা কী? শিক্ষা হল মানুষের আচরনগত পরিবর্তন এবং সমাজের উপযোগী আচরণ আয়ত্তকরণের পক্রিয়া।দিন যত এগিয়েছে শিক্ষা দানের পদ্ধতিতে কৌশলে বিপুল পরিবর্তন এসেছে।শিখন শিক্ষন প্রনালীর এই পরিবর্তনের জন‍্যেই যুগ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের আচার আচরণ কার্যকলাপের পরিবর্তন চোখে পড়ছে। আজ থেকে বিশ পঁচিশ বছর আগে শিক্ষা ব‍্যবস্থা ছিল শিক্ষক কেন্দ্রীক। শিক্ষক মুখ‍্য শিক্ষার্থী গৌন।শিক্ষক শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্ক ছিল শ্রদ্ধা ভক্তি ও ভয়ের।শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভালোবাসতেন, কিন্তু তা নিরবে।শিক্ষার্থীদের ভুল ত্রুটিতে শিক্ষক শাসন করতে পারতেন।অভিভাবকরা ও বিশ্বাস করতেন যে ছাট না পেলে পাঠ হবেনা। বর্তমানে এই মানসিকতার সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে।এখন শিখন শিক্ষন প্রনালী হচ্ছে শিক্ষার্থী কেন্দ্রীক। আনন্দ পাঠের মাধ্যমে শিক্ষা দান।আগেকার শিক্ষকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন কিংবা প্রয়োজন সাপেক্ষে মারধর করা এসব এখন আইনত দণ্ডনীয়। তাই অনেক ক্ষেত্রেই বতর্মান শিক্ষক শিক্ষিকারা অসহায় বোধ করেন শিশুদের হাজার দুষ্টুমি বা অন‍্যায়ের প্রতিবাদে সামান্য মৌ

তন্ময় পালের মুক্তভাবনা

ছবি
শিক্ষা সর্বত্র "শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড" এই কথাটা তাৎপর্যবাহী। শিক্ষাই একমাত্র পারে অজ্ঞনতার অন্ধকার দূর করতে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সবাইকে এক সুতোয় বাঁধতে। তবে আমার মতে শিক্ষক বলে আলাদা কেউ হয় না, আমরা প্রত্যেকেই এই প্রকৃতির ছাত্র/ছাত্রী আর এই প্রকৃতির প্রত্যেক উপাদান আমাদের শিক্ষক। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষক তার আপন কর্মের মধ্য দিয়ে শিক্ষার আলো বিকিরণ করে চলেছে সবার জন্য, আমাদের শুধু উৎসুক মনে সেগুলো গ্রহণ করতে হবে, নিজেকে এই অবিরাম শিক্ষাধারার থেকে আড়াল করলে জীবন বৃথা। যে তোমার কাছে ভালো তার কাছেও যেমন শেখার আছে তেমনি যে তোমার কাছে খারাপ তার থেকেও তোমার শেখার আছে ; তবে এখানে তুমিই সিদ্ধান্ত নেবে তুমি কি শিখবে ভালো না মন্দ? সবার কাছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়ে ওঠেননা, তখনি দরকার হয় একজন পথ-প্রদর্শকের যে তোমাকে সঠিক পথ দেখাবে। তবে আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পুথিঁগত শিক্ষা আর পরীক্ষার নম্বরকে শিক্ষার মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়। সেখানে চরিত্র গঠনের জন্য কোনো শিক্ষা দেওয়া হয়না। তাই বর্তমান শিক্ষাপ্রাঙ্গণে পুথিঁগত শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতার শিক্ষা, আধ্যাত্মিকত

কালীপদ চক্রবর্ত্তীর স্মৃতিকথা

ছবি
*পথ প্রদর্শক* আমার জীবনে মা-বাবার পরেই যার স্থান তিনি হলেন আমার গৃহ-শিক্ষক, স্বর্গীয় অজয় মুখার্জি। থাকতেন ত্রিবেণী-র কোনচাটি গ্রামে ফুটবল মাঠের পাশে। আমি তখন ক্লাস এইট থেকে নাইন-এ উঠেছি। কলকাতা রেলওয়ে কোয়ার্টার-এ থাকি, যেহেতু বাবা রেলওয়েতে চাকরী করতেন। একদিন হঠাৎ আমার বাবা অফিস থেকে ফিরে বললেন – এবার তো তুই ক্লাস নাইন-এ উঠেছিস, তাই পড়ার চাপও থাকবে । আমিতো আর তোকে অফিসের কাজের চাপে কিছুই দেখিয়ে দিতে পারিনা। তাই একজন গৃহ-শিক্ষকের ব্যবস্থা করেছি। ছেলেটি খুবই ভাল শুনেছি। পড়াশোনায় ও খুব ভাল । মা জিজ্ঞাসা করলেন – কোথায় পেলে তাকে? বাবা বললেন – আমার অফিসের সহকর্মী রঞ্জিত ব্যানার্জী-র বাড়ির পাশেই থাকে, ত্রিবেনী-তে। বাবা সে সময় পূর্ব-রেলওয়ের উচ্চপদে চাকরী করতেন এবং রঞ্জিত ব্যানার্জী বাবার অধীনে কাজ করতেন। খুবই শিক্ষিত মানুষ। পরে বাবা যখন মা-এ বলছিলেন তখন জানতে পেরেছিলাম যে শ্রীযুক্ত অজয় মুখার্জি ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেটস কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরী করেন এবং সকালে হোমিওপ্যাথিক কলেজে ভর্তি হয়েছেন কিন্তু কলকাতায় কোনও থাকার জায়গা নেই বলে রঞ্জিত কাকু বাবাকে জানিয়ে

-অ-নিরুদ্ধ সুব্রত-র নিবন্ধ

শিক্ষা ও সমকাল: একটি ভগ্নাংশ ----------------------------------------------- সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী স্বতঃস্ফূর্ত উষ্মায় বলে ফেলেছিলেন, শিক্ষাদপ্তর একটা ঘুঘুর বাসা। শুনলে প্রাথমিকভাবে অবাক হতেই হয়। বিশেষত একটা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান যখন এমন প্রতিক্রিয়া দেন,তখন ভাবনা থেকে যায়। বছর দশ আগে কলকাতার ডিরোজিও ভবনে একজন শিক্ষকের একটা অফিসিয়াল সমস্যা নিয়ে নির্দেশ মতো তদবির করতে যাই। প্রথমত ঐ ভবনে দৈনন্দিন অফিসের কাজ যে খানিকটা বেলার দিকে শুরু হয়, তা উপস্থিত কর্মীদের শারীরিক ভাষা বুঝিয়ে দেয়। বেশ কিছু কর্মী অনুপস্থিত থাকাও যেন প্রচলিত রীতি বলে মনে হলো। এক টেবিল থেকে তাড়া খেয়ে অন্য টেবিলে ছুটে ,এবং শেষ পর্যন্ত সঠিক টেবিল খুঁজে পেয়ে যখন সমস্যা সম্পর্কে ভদ্রলোককে জানানো হলো ,তিনি রীতিমতো ধমক দিলেন। তার বক্তব্য, ডি. আই অফিস সমস্যাটা মেটাবে। কাজটা নাকি সেই অফিসের। উত্তরে ভদ্রলোককে জানানো হলো, ডি .আই অফিসে যাওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে কাজ মেটেনি। সঙ্গে সঙ্গে ঐ ভদ্রলোক বললেন, 'আরে সেখানে টাকা পয়সা ফেলুন ,তবে তো হবে!' অত এব বিফল হয়ে ভগ্ন মনে সেদিন ফিরতে হয়েছিল।

প্রণব কুমার চক্রবর্তীর স্মৃতিকথা

শিক্ষক বিভুতি স্যারের বিভূতি সালটা ১৯৬৪ ৷ অমার বাবা তখন কর্মসুত্রে নৈহাটিতে পুলিশের সার্কেল ইন্সপেক্টার ৷ অামরা তখন নৈহাটিতই কাঁঠালপাড়ায় সি অাই অফিসের কোয়াটারে থাকি ৷ এবং বর্তমান উত্তর চব্বিশ পরগনার ভাটপাড়া হাই ইস্কুলে পড়ি ৷ ক্লাস নাইনে ৷ ওই ইস্কুলে একইক্লাসে পড়ার সুবাদে অামার সাথে প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরশ বসুর ছোট ছেলে নবকুমরের সাথে বন্ধুত্বটা দারুন ভাবে জমে ওঠে ৷ ওরা থাকতো নৈহাটি সিনেমা হলের পিছনটাতে - জর্জেস রোডে ৷ বিভুতি বাবু অমাদের ইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ৷ কাঁঠালপাড়াতেই থাকতেন ৷ ইস্কুলে অামাদের অঙ্ক করাতেন ৷ সরল সাদাসিধে মানুধ ৷ সারাক্ষন খদ্দরের পাঞ্জাবি , হাঁটু পর্যন্ত তোলা খদ্দরের ধুতি অার বগলে একটা দাদু মার্কা ছাতা নিয়ে - কি শীত , কি গ্রীষ্ম কি বর্ধা সব সময়েই চলা ফেরা করতেন ৷ ওনাকে দেখলেই অামাদের চোখের সামনে ফুটে উঠতো - মনোজ কুমার মিত্রের লেখা সেই মানুষ গড়ার একমাত্র কারিগরের একটা চলমান জীবন্ত ছবি ! ভদ্রলোকের চেহাড়ার মধ্যে ছিলো যেমন একটা অাকর্ষন এবং শ্রদ্ধার-ভক্তির ব্যাপার , তেমনি ছিলো একটা সমীহ ও ভীতির ব্যাপার ৷ কোনদিন স্যারের মুখে শুনিনি - কারোও নিন্দ

রাখী সরদারের স্মৃতি কথা

স্মৃতিকথা ছুঁয়ে স্মৃতির শালুকভাসা জলে পানকৌড়ির মতো নিঃশব্দ ডুব মেরে কিছু স্মৃতি রাঙানো সোনালী মাছ তুলে এনেছি।অনেক দিন ধরেই আপন বোধের কন্দরে একান্ত ভাবে যা লুকিয়ে ছিল। হঠাৎ শিক্ষক দিবসের মতো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দিনে আমার সেই প্রিয় শিক্ষিকার কথে মনে পড়ে গেল।যাঁর কথা আমি কোনদিন ভুলতে পারবোনা।মাঝেমধ্যেই তাঁর ভাবনা চিন্তা আমার হৃদয়ে যে চারিয়ে যায় আমি টের পাই। ঠাকুর পুকুর সংলগ্ন আমতলার একটি বালিকা বিদ্যালয়ে পড়তাম। নিয়ম শৃঙ্খলার জ্বলন্ত প্রতিমা ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মাননীয়া বাণী বসু। বেহালা থেকে আসতেন ।আমি আশ্চর্য হয়ে দেখতাম এক অতি আধুনিকা নারী নবীন চিন্তাকে অদ্ভুত ভাবে জড়িয়ে রেখেছে প্রবীণতাকে ছুঁয়ে। বাস থেকে নেমে হাল্কা মাথায় ঘোমটা দিয়ে স্কুলে আসতেন।একদিন জানতে চেয়েছিলাম যে কেন তিনি মাথায় ঘোমটা দিয়ে আসেন।বলেছিলেন ওই স্থান টি তাঁর শ্বশুর বাড়ির এলাকা ঠিকই তবে সেটা বড় কথা নয় সমাজে নারীকে স্বাধীনতা দেওয়া প্রয়োজন,তবে একজন মহিলাকেও দেখতে হবে তিনি কতটা সুন্দর ভাবে তাঁর অর্জিত স্বাধীনতা কে ব্যবহার করছেন।ঘোমটা দেওয়া মানেই কিন্তু পুরুষ সমাজের কাছে পদানত হ‌ওয়া নয়

সামসুন্নাহার ফারুকের নিবন্ধ

ছবি
*প্রিয় শিক্ষক* *---------------------------* *প্রিয় শিক্ষক সম্বন্ধে লেখা আসলে বেশ কঠিন ব্যাপার* *অন্ততঃ আমার কাছে। শিক্ষক তো শিক্ষকই। জন্ম থেকে শুরু করে মানুষের জীবনে অনেকগুলো অধ্যায় পার করতে হয়। প্রতি পর্যায়েই সে কারো না কারো কাছে শেখে-----সে ব্যক্তিই হোক আর প্রকৃতিই হোক। যিনি শেখান বা শিখতে সাহায্য করেন তিনিই তো শিক্ষক। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য সে একাডেমিকই হোক আর ননএকাডেমিকই হোক।* *মূলতঃ শিক্ষকের কাজটা হলো* *ছাত্রদের সুপ্ত প্রতিভাগুলোকে জাগিয়ে তোলা, বুদ্ধিবৃত্তিকে বিকশিত করা এবং ভিতরের সম্ভাবনাকে* *সঠিক পথে এগিয়ে দিতে সাহায্য করা।* *এই শিক্ষক বলতে আমি কিন্তু শুধু এ্যকাডেমিক লাইনের শিক্ষকতাকেই বলছি না আরও হাজারো রকমের বিষয় আছে সেগুলোর কথাও বলছি। ব্রডার টার্মসে বলতে গেলে আঁকিয়ে, পটুয়া, সঙগীত, নৃত্যকলা খেলাধূলা সব বিষয়ের কথাই বলছি। সবখানেই একজন শিক্ষক গাইড করেন -----ছাত্র কতটুকু নিতে পারে আর টিচার কতটা দক্ষভাবে তাকে সাহায্য করতে পারেন তা নির্ভর করে সে মানুষগুলোর উপরেও।* *জীবনের প্রতিটি ধাপেই শিক্ষকের কাছে আমরা শিখছি। ছোটবেলা থেকে যে শিক্ষা শুরু হয়

মৈনাক চক্রবর্ত্তীর মুক্তকথা

ছবি
শিক্ষক দিবস শিক্ষকদের হয়তো আলাদা করে কোনো দিবস হয় না। শিক্ষক, শিক্ষার আধার যিনি তিনি শিক্ষক অর্থাৎ তিনি এমন এক ব্যক্তি যার নিকট সমস্ত শিক্ষা কেন্দ্রীভূত আছে। সেই শিক্ষা কেবল পুঁথিগত শিক্ষা নয় সমাজ-সম্পর্ক-নৈতিকতা এই শিক্ষার অন্তর্গত, আর সেই শিক্ষা প্রসারের কেন্দ্র থাকেন শিক্ষক ও শিক্ষিকা। ছাত্র এবং ছাত্রী শুধু ছাত্র-ছাত্রী নয় সমস্ত মানুষ যারা শিক্ষার গন্ডি থেকে পিছিয়ে তারা শিক্ষার আলো পায়। প্রতিদিনই আমাদের মস্তিষ্কের অন্তঃস্থলে হচ্ছে শিক্ষা, আর সেই শিক্ষা রোপন করছেন শিক্ষক, তাই প্রতিটি দিনের শুরুতেই প্রতিটি শিক্ষক হয়ে ওঠেন শিক্ষা রোপনের যন্ত্র, আর সেই কারণেই প্রতিটি দিনের সূচনা হওয়া উচিত শিক্ষক দিবসে। শিক্ষক কথাটির আরো অনেক মানে আছে। শিক্ষা পাওয়া য়ার থেকে তিনি শিক্ষক তবে শিক্ষক কি কেবল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থাকেন? তা নয়। আমরা অনেকেই "বিদ্যে বোঝাই বাবু মশাই" এর কথা জানি কিন্তু সেই বাবুমশাই জীবনের শিক্ষা পেয়েছিলেন শিক্ষার আলো থেকে অনেক দূরে থাকা এক মাঝির থেকে। তাই এই দিনটি আজ সেই মাঝিটিও। সেই সব মানুষদের যারা আমাদের শিখতে শিখিয়েছেন, যে আমাদে

শুভাশিস দাশের মুক্তভাবনা

ছবি
দেশের জন্যও চাই আদর্শ শিক্ষক ------------------------------------------------ আর একটা শিক্ষক দিবস l সর্বপল্লী ড:রাধা কৃষণ এর জন্মদিনটিকে আমাদের দেশ শিক্ষক দিবস রূপে পালন করে আসছে l প্রতি বছর ৫সেপ্টেম্বর আসে ঘটা করে পালন হয় এই দিনটি l কোথাও সেমিনার আবার কোথাও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান l শিক্ষক কথাটির মধ্যেই যে তাঁর মর্মার্থ লুকিয়ে এটা আমরা কত জন উপলব্ধি করি ? শিষ্টাচার ,ক্ষমাশীল এবং কর্তব্যপরায়ণতা নিয়ে এই শিক্ষক l আমরা সে সব ভুলেই যেতে বসেছি l আজ চারিদিকে যে মারণ খেলা শুরু হয়েছে তা কিসের অশনি সংকেত ? স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কী দেখছি আমরা ? শিক্ষক -এই নামের মহিমা অনেক l শিক্ষকরা সেই মহান কারিগর যাঁদের হাতে তৈরি হয় দেশের কর্ণধার সমাজের কর্ণধার আমরা প্রকৃত অর্থেই ভুলে যাই সে সব যুক্তি ! প্রতিটি ক্ষেত্র পরিচালিত শিক্ষক দ্বারা l আর এই শিক্ষক তাঁর নিজ গুনে গড়ে তোলেন ছাত্র কে I কী শিক্ষা ,কী রাজনীতি সর্ব ক্ষেত্রেই শিক্ষককে হতে হবে মরমী তবেই সমাজটা সুশিক্ষিত হবে l আছে তেমন শিক্ষক যে নেই তা বলবনা ,যাঁর সংখ্যা সমাজে অত্যন্ত নগণ্য l শিক্ষক দিবসে একটি কথা না বললে বোধহয় অসম্পূর্

বিশ্বজিত দাসের নিবন্ধ

।। শিক্ষক দিবস ।। আজ শিক্ষক দিবস । না কেন ,কি জন্য পালন করা হয় সেসব কথা নয় নাই বললাম আজ । একটু অন্য দিকে চলুন ঘুরে আসি । অনেকেই বলবেন যে আমার স্কুলের বা কলেজের বা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আমাকে অামাদের অনেক কিছুই শিখিয়েছেন । বা পাড়ার সেই দাদা বা দিদির কাছে টিউশনি পড়তাম তারা অনেককিছু শিখিয়েছেন । কেউ আবার বলবেন ,না ,আসল শিক্ষা তো আমরা বাবা মার কাছ থেকে শিখেছি , আবার অনেকে বলে আমার সবচেয়ে বড় শিক্ষক হল 'সময়',কাউর কাছে সেটা আবার অভিজ্ঞতা বা সমস্যা গুলো । তবে এখনকার ছেলেমেয়েদের কে বললে ওরা অনায়াসেই বলে দেয় আমার সাধের মোবাইল টি ,Google ,Youtube , Quora , Facebook , Screenshots & Ex Boy friend or girlfriend । এবার একটু ভিতরে যাওয়া যাক , কেস টা আসলে কি ! সত্যি কে শেখাচ্ছে এতত কিছু ! আসলে আমরা নিজেরাই শিখছি । ভালো করে ভাবুন আপনারা হয়ত ২ ই ভাই বোন , মা একটা কথা শিখিয়ে দিল ,একজন বলল আরেকজন মানে আপনি ভাবলেন ,দুর এরকম করা ঠিক হবে না ,নিজের বুদ্ধি খাটালেন ,হয়ত আবার পরে ভাবলেন মার কথা টা শুনলেই হয়ত ভালো হত । হয়েছে কখনো ? এবার একটা লাইন পড়ুন , কার লেখা ,এটা আব্দুল কালাম

অদিতি চৌধুরীর নিবন্ধ

শিক্ষক দিবস এখন প্রায় সব সম্পর্ক উদযাপন এর জন্য একটা নির্দিষ্ট দিন রয়েছে। কোন নির্দিষ্ট দিন পালন এর অর্থ এই নয় যে বছরের বাকি দিন গুলোতে সে সম্পর্কের কোনো গুরুত্ব থাকেনা। সেই দিনগুলিতে সেই সম্পর্কটির গুরুত্ব বিশেষভাবে স্মরণ করে উদযাপিত করা হয়। যেমন বছরের বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন দেব দেবীর পুজো আমরা করে থাকি তার মানে এই নয় যে বছরের বাকি দিনগুলোতে উত্তর দেব দেবীদের আমরা স্মরণ করি না বা পুজো করি না। পুজোর পিছনে যেমন কোন পৌরাণিক গল্প থাকে তেমনি কোন দিবস পালনের ক্ষেত্রে ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থাকে। আমাদের ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ এর জন্মদিন কেই আমরা শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করে থাকি। শিক্ষকরা সমাজের কান্ডারী। শিক্ষক শুধু ছাত্র ছাত্রী গড়েন না। সর্বোপরি সমাজ গড়ে তোলেন। শিক্ষা ব্যবস্থা কি সচল রাখার হাতিয়ার মূলত এদের হাতেই রয়েছে। তাই শিক্ষকদের গুরুত্ব বিশেষভাবে স্মরণ করার জন্য বছরের একটা দিন বরাদ্দ করা উচিত বলেই আমার মনে হয়। আমাদের প্রত্যেকটি মানুষই যে চারিত্রিকগুনাবলী অর্জন করেছেন বা যেটুকু সাফল্য লাভ করেছেন তার জন্য শিক্ষকদের গুরুত্ব অপরি

লিপি ঘোষ হালদারের নিবন্ধ

ছবি
।। শিক্ষা একালে ।। পিতামাতাসম আপনজন, পরম গুরু শিক্ষক;মানুষ গড়ার কারিগর এই সমাজের রক্ষক ।জ্ঞানচক্ষুর উম্মেষ হতে মানবমনের বিকাশ ,তারই দানে,তারই জ্ঞানে শুভ চেতনার প্রকাশ।পিতামাতা, নিকটজন আমাদের অভিভাবক জন্মলগ্ন হতে--শিক্ষিত জ্ঞানী,নিরক্ষর বা অজ্ঞানী- তবুও রক্ষক তথা শিক্ষকই তো বটে।শিক্ষাগুরুকে সম্মান দিয়ে তারাই তো করেন দায়িত্ব অর্পণ ,সুশিক্ষার পথে তাদের সন্তানের যাতে হয় ভবিষ্যত গঠন ।সন্তানসম স্নেহদানে ধন্য সকল ছাত্রী ও ছাত্র ,প্রকৃত শিক্ষক-যিনি ভাবেন তাদের আপন কন্যাপুত্র।শিক্ষা একালে পড়েছে ঢাকা অর্থের গর্জনে ,সামাজিক মর্যাদা এখন অর্থ উপার্জনে ।মনকে উন্নত করে প্রকৃত যে শিক্ষা ,বিনম্রচিত্তে আজ তা করে চলি ভিক্ষা ।যত দিন বাঁচা ততদিন শেখা- নয় তা পুঁথিগত ,উপার্জনে নয়, জ্ঞানার্জনে চরিত্র গঠনে শিক্ষা প্রকৃত।টাকা লক্ষ্য,টাকাই দেখায় স্বপ্ন, শিক্ষা তো উপলক্ষ!যত হোক জ্ঞানী, যতই শিক্ষিত, তবু অর্থই মোক্ষ ।সামাজিক পরিচিতি,সমাজে প্রতিষ্ঠা- আজ অর্থনির্ভর,অনৈতিক,অসৎ কাজও হয়, শিক্ষাকেই কোরে ভর।অর্থের কাছে আজ জ্ঞানের পরাজয় ,শিক্ষা মেনেছে হার- অর্থের জয় ।অর্থকে উপেক্