google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re মোনালিসা পাহাড়ীর নিবন্ধ - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মোনালিসা পাহাড়ীর নিবন্ধ

ফিরে দেখা



শিক্ষা ও শিক্ষক বিষয়ে কিছু বলতে গেলে প্রথমেই বলা উচিত যে শিক্ষা কী? শিক্ষা
হল মানুষের আচরনগত পরিবর্তন এবং সমাজের উপযোগী আচরণ আয়ত্তকরণের পক্রিয়া।দিন যত
এগিয়েছে শিক্ষা দানের পদ্ধতিতে কৌশলে বিপুল পরিবর্তন এসেছে।শিখন শিক্ষন
প্রনালীর
এই পরিবর্তনের জন‍্যেই যুগ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের আচার আচরণ
কার্যকলাপের পরিবর্তন চোখে পড়ছে।

আজ থেকে বিশ পঁচিশ বছর আগে শিক্ষা ব‍্যবস্থা ছিল শিক্ষক কেন্দ্রীক। শিক্ষক
মুখ‍্য শিক্ষার্থী গৌন।শিক্ষক শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্ক ছিল শ্রদ্ধা ভক্তি ও
ভয়ের।শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভালোবাসতেন, কিন্তু তা নিরবে।শিক্ষার্থীদের ভুল
ত্রুটিতে শিক্ষক শাসন করতে পারতেন।অভিভাবকরা ও বিশ্বাস করতেন যে ছাট না পেলে
পাঠ হবেনা।
বর্তমানে এই মানসিকতার সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে।এখন শিখন শিক্ষন প্রনালী হচ্ছে
শিক্ষার্থী কেন্দ্রীক। আনন্দ পাঠের মাধ্যমে শিক্ষা দান।আগেকার শিক্ষকদের
ভয়ভীতি প্রদর্শন কিংবা প্রয়োজন সাপেক্ষে মারধর করা এসব এখন আইনত দণ্ডনীয়। তাই
অনেক ক্ষেত্রেই বতর্মান শিক্ষক শিক্ষিকারা অসহায় বোধ করেন শিশুদের হাজার
দুষ্টুমি বা অন‍্যায়ের প্রতিবাদে সামান্য মৌখিক শাসনটুকু না করতে পারার
জন্য।অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা উদাস হয়ে বলেন পরের ছেলে পরমানন্দ,যত উচ্ছন্নে যায়
তত আনন্দ।যদিও এটা কখনোই তাঁদের মনের কথা নয়। নেহাতই অসহায় আবস্থার কল্পনা
প্রসূত ভাবনা মাত্র।
তবে বতর্মান শিক্ষা ব‍্যবস্থার বড় সুফলটি হল ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষক
শিক্ষিকাদের মধুর আত্মিক সম্পর্ক গড়ে উঠছে।তারা তাদের যে কোনো ধ‍রনের সমস্যা
শিক্ষকদের সঙ্গে শেয়ার করছে।শিক্ষকরাও ছাত্রছাত্রীদের সন্তানসুলভ
দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন।
তবে দিনে দিনে এত মানুষের ভিড়ে প্রকৃত মানুষের সংখ্যা খুবই কমে আসছে।সমবেদনা
সহানুভূতিশীল মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল।এর ফলে সমাজ টা কিন্তু ধিরে ধিরে
বন্ধনহীন হয়ে যাচ্ছে।এর প্রধান প্রমাণ হচ্ছে দিনে দিনে অনাথ আশ্রম আর
বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা এত বেড়ে যাচ্ছে।এর দায় কিন্তু শিক্ষকদেরকেই নিতে হবে।কারণ
জাতির মেরুদন্ড তৈরির কাজটি তাঁরাই করে থাকেন।
শিক্ষকদের দায়িত্ব শুধু ভবিষ্যতের টাকা উৎপাদনের মেশিন তৈরী না করে মানুষের
প্রয়োজনে সমাজের প্রয়োজনে আদর্শ মানুষ তৈরী করা।
=================================

মোনালিসা পাহাড়ী
প্রযত্নে- চন্দন দাস
মনোহরপুর, গড় মনোহরপুর
দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর ,৭২১৪৫১
ফোন-9635269527

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন