স্মৃতির কোলে
মুসুর ডালে ফোড়ন দিতেই-
ঘুমন্ত স্মৃতিরা এপাশ ওপাশ করে জেগে উঠল
মায়ের ঘর্মাক্ত, উদ্বিগ্ন মুখচ্ছবি আর স্মৃতিরা।
স্মৃতি যে সতত ই সুখের হবে, এমন কিন্তু নয়।
আমি তো এক মেয়ে, সামান্য ই
বাবা মায়ের বোঝা, আর পরের ধন।
তবে, কিছুই যে টান নেই, তা বলব না।
মা আমায় খুব সাবধানে পালতেন
সামনের গেট, পেছনের দরজা তালাবন্ধ করেই
মা তাঁর কাজে বেরোতেন।
চোখ পাকিয়ে, ভুরু তুলে, রুমালে ঘাম মুছে
বারবার সাবধান করতেন, বাইরে যেন না বেরোই।
তখন মায়ের গায়ের থেকে পাউডারের, ভ্যানিটি ব্যাগের
আর দিদিমণির গন্ধ বেরোত।
একদিন মা, দাদাকে, রবি ঠাকুরের " বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর"
কবিতাটি মুখস্হ করতে বলেছিল
দাদা করেনি, আমি করেছিলাম কন্ঠস্হ
আমি তা শোনাতেই, মা ভীষণ বিরক্ত-
মা কষ্ট করে শুনে, ঘাম মুছে, ভুরু কুঁচকে বলেছিল
ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমি কি তোকে বলেছিলাম?
মা'র গা থেকে তখন ডাল- পোড়া গন্ধ বেরিয়েছিল
আর আমি? বিদ্যেধরী নদী, লোনা সাগরে পড়লে
যেমন লোনা হয়ে যায়, তেমনি!
-----------------------
নাম। দীপান্বিতা হক
ঠিকানা। পার্ক স্ট্রীট, কল 16
সহযোগিতা
কাম্য এই সংখ্যার সমস্ত লেখা একত্রিত করে একটি
সুসজ্জিত ইবুক তৈরি করা হয়েছে। আপনি যদি সংগ্রহ করতে আগ্রহী হন তাহলে ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬
নম্বরে ন্যুনতম ১০ টাকা google pay, phonepe, paytm, freecharge বা amazon pay করতে
পারেন। প্রদানের স্ক্রীনশট ওই নম্বরে whatsapp করলেই ইবুকটি পেয়ে যাবেন। সহযোগিতা
কাম্য। |
No comments:
Post a Comment