জাগো কলম, তুমি জাগো
বেঁচে থাকার লড়াই যখন তীব্র হয়ে ওঠে, চারিদিক থেকে কালসাপেরা যখন ছোঁবল মারতে উদ্যত হয় শান্তির ললিত বাণীর মত কোনো স্বপ্নময় আশ্রয় নয়, বরং চাবুক চালানো উদ্দীপক লেখনীরা উঠে আসুক লেখক, কবির কলমে; যেমনটি উঠে এসেছিল বিদ্রোহী কবির কলমে,
"আমি চিরদুর্দম, দুর্বিনীত, নৃশংস,
মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস।"
দেশকে রক্ষার জন্যে এভাবেই তো শব্দের করিগররা যুগে যুগে উদ্বুদ্ধ করেছেন আপামর জনসাধারণকে। কত মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছে দেশের কাজে নিজের জীবন তুচ্ছ করে। জন্ম হয়েছে শত শত দেশপ্রমিকের।
মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের টানাটানিতে কল্পনারা বাস্তবের মাটি ছেড়ে উধাও হয় কল্পলোকে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য মানুষ তখন অহরহ যুদ্ধ করে চলে। নিরন্নের কান্নায় ভেসে যায় ললিত বাণীসকল।
কালনাগিনীর মত শত্রুরা আজ ধেয়ে আসছে চারিদিক থেকে। একদিকে মারণ অসুখ, অন্যদিকে বহিঃশক্তির হানা দেশকে আষ্টেপৃষ্টে অক্টোপাসের মত জড়িয়ে ধরেছে। এই চরম দুঃসময়ে লেখক, কবিদের বড় দায় দেশবাসীকে দেশমন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করে মরণ পণ লড়াইয়ে আহুতি দেবার জন্য জনমনের মাটিকে কর্ষণ করার। অসির থেকেও শক্তিশালী সেই মসির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে কত কবি, লেখক কত অসাধ্য সাধন করেছেন তা তো আমরা ইতিহাসের পাতা ওল্টালেই দেখতে পাই।রজণীকান্তের "মায়ের দেওয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই " গানে এখনও আমরা মনে জোর পাই। দেশজ জিনিসের প্রতি আস্হা, দেশজ সহবরাহ বৃদ্ধি, এগুলির প্রতি প্রতিটি নাগরিক যাতে সজাগ দৃষ্টি রাখে সেজন্য কবি, লেখকরা তাঁদের লেখনী শক্তি দিয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে ঐকাজে তাদের প্ররোচিত করুক। দেশের মেধাকে দেশের কাজে লাগানোর জন্যই উৎসর্গ হোক। কবি হাল ধর, অলীক আকাশকুসুমকে ছুঁড়ে ফেলে চরম বাস্তবের সম্মুখীন হও।
আরাম, ভোগবিলাস বর্জণ করে অতি অল্পেও যে বেঁচে থাকা যায়, সে পাঠ তো আমরা প্রকৃতির কাছ থেকে কিছুটা পেলাম, তবুও তো কিছু বাকি থেকেই যায়। কবি, লেখকের লেখনী থেকে বাকি শিক্ষা আমাদের নিতে হবে। কবির ললিত বাণী পরিস্থিতির সাথে পরিবর্তিত হয়েছে যুগে যুগে। আবার আসুক প্রচন্ড পরিবর্তন; শব্দের কুঠারের প্রচণ্ড কোপে কাঁপুক জনগনের হৃদপিন্ড, তড়িৎ খেলুক তাদের স্নায়ুরজ্জুতে, তন্দ্রা ভেঙে ছুটে যাক ধনী, মধ্যবিত্ত, সর্বহারা। আজ সবার বিপদ; মহামারী, শত্রুহানা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে দেশ একেবারে নাজেহাল। চাবুকের পর চাবুক হোক লেখনীর প্রতিটা শব্দ। আরামের, ভোগবিলাসের, স্বার্থপরতার ঘরে চাবুক পড়ুক। জেগে উঠুক ভাতৃত্ববোধ, সৌহার্দ্য, আন্তরিকতা। সবাই ছুটে যাক দেশমায়ের হাতের তেরঙ্গা পতাকার তলায়।
পরমাণুদের জোটবদ্ধ করে মহাশক্তিকণায় কলম ভরাও কবি;
ঝর্ণা কলমে আছড়ে পড়ুক অদৃশ্য মহামিছিল।
কবি, সূর্যের দিকে মুখ ফেরাও, বিকিরণ কর আক্ষরিক তেজ....
চেতনার চাবুকে ক্ষত-বিক্ষত সেই কবিতার পাহাড়ে জন্ম নিক লক্ষ ওষধি,
সেরে যাক মানুষের পঞ্চরিপুর প্রবৃত্তি।
====================
ডঃ রমলা মুখার্জী
বৈঁচী, বিবেকানন্দপল্লী,
জেলা হুগলী, পিন 712134
মোঃ 7003550595
হোয়াটস এপ 9474462590
সহযোগিতা
কাম্য এই সংখ্যার সমস্ত লেখা একত্রিত করে একটি
সুসজ্জিত ইবুক তৈরি করা হয়েছে। আপনি যদি সংগ্রহ করতে আগ্রহী হন তাহলে ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬
নম্বরে ন্যুনতম ১০ টাকা google pay, phonepe, paytm, freecharge বা amazon pay করতে
পারেন। প্রদানের স্ক্রীনশট ওই নম্বরে whatsapp করলেই ইবুকটি পেয়ে যাবেন। সহযোগিতা
কাম্য। |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন