পোস্টগুলি

মে, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৩৯তম সংখ্যা : জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮ মে 2021

ছবি
Cover Pic. : Salvador Dali - Young Woman in a Landscape [1959]   সূচিপত্র  নিবন্ধ ।। নেতাজী ও রবীন্দ্রনাথ ।। তপন তরফদার কবিতা ।। শ্রী আলো ।। মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায় প্রবন্ধ ।। প্রেমের 'সাইকেল' ।। সুদীপ পাঠক প্রবন্ধ ।। সমসাময়িক কবিদের কবিতাবোধ ।। সৌমেন দেবনাথ মুক্তগদ্য ।। রবীন্দ্রনাথ ও আমি ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী গদ্য ।। কবিতার কথা ।। সুবীর ঘোষ গল্প ।। বামপন্থী ।। চন্দন মিত্র ছোটগল্প।। দু'টাকা বেশী ভাড়া ।। সংঘমিত্রা সরকার কবিরাজ অণুগল্প ।। তনুর চিঠি ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক গল্প ।। কালোচিত্র ।। সৌর শাইন ছোটগল্প ।। শেষ উপহার ।। অরূপ কুমার গোপ মন্ডল অণুগল্প ।। ক্রন্দসী ।। বিজয়া দেব কবিতা ।। ক্ষমা করুন শঙ্খ ঘোষ ।। জীবনকুমার সরকার লিমেরিকগুচ্ছ ।। কান্তিলাল দাস কবিতা।। সুকন্যা ভট্টাচার্য্য কবিতা ।। ব্রতপালন ।। ভারতী বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি কবিতা ।। আবদুস সালাম কবিতা ।। অভ্যন্তরীন প্রেম ।। জহির খান কবিতা ।। প্রতিধ্বনি ।। অরূপ পান্তি কবিতা ।। আলপিন ।। সোমনাথ বেনিয়া ভ্রমণকাহিনি ।।  আনলকপর্বে গরুমারার জঙ্গলে ।। শংকর লাল সরকার দু'টি কবিতা ।। জয়ীতা চ্যাটার্জী দুটি কবিতা ।। কনকজ

নিবন্ধ ।। নেতাজী ও রবীন্দ্রনাথ ।। তপন তরফদার

ছবি
নেতাজী ও রবীন্দ্রনাথ    তপন  তরফদার                 যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলরে আবার  কদম কদম বাড়ায়ে যা খুশি কা গীত গায়ে  যা  কোথায় যেন আত্মিক মিল খুঁজে পাই আমি এবং আমরা। ওই যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে আমাদেরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয়। রবীন্দ্রনাথের জন্ম ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ। ১৮৬১  খ্রিস্টাব্দের ৭ই মে। সুভাষ চন্দ্রের জন্মদিন তেইশে জানুয়ারি  ১৮৯৭ সালে। দুজনেই ভারতবাসীর তথা বাঙালির গৌরব। রবীন্দ্রনাথ সরাসরি রাজনীতিতে যোগদান না করলেও সর্বদা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, উচিত কথা বলতে কখনো পিছপা হননি। এমনকি মহাত্ম্যা গান্ধীকেও রেয়াত  করেননি। সুভাষ বসু দেশ মাতৃকাকে স্বাধীন করার জন্য জীবনের সমস্ত বৈভবকে হেলায় সরিয়ে রেখে জীবন উৎসর্গ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ, সুভাষের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন, সমব্যথী হয়েছেন, প্রেরণা যুগিয়েছেন এবং আনন্দিত হয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন।         ১৯২৪  সালে সুভাষচন্দ্র তাঁর কয়েক জন বন্ধুকে নিয়ে শান্তিনিকেতনে যান। রবীন্দ্রনাথের থেকে স্বদেশ সেবার আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য। রবীন্দ্রনাথ আশীর্বাদ করে বলেন গ্রামে গ্রামে সংগঠন গড়

কবিতা ।। শ্রী আলো ।। মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায়

ছবি
শ্রী আলো মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায় মন চলে যায় দূরে। স্বপ্নগুলো পাথর হয়। কত শব্দ গুছিয়ে রাখি। শব্দ না গেলেও আলো আটকাবে কে? শ্রী আলোয় কত  রং মশাল জমা হয়।  আলো নিভে গেলে বেশি বেশি অক্ষর  মেঘমালায়  ছড়িয়ে পড়ে ।  এক হাতে জিঙল বেল   অন্য হাতে  ক্ষত।  আনন্দ  ভেসে  যায় তার তান্ডবে।   সকাল  সেজে ওঠে সমাজ সেবায়। ভৈরবের সুর গুলো ছড়িয়ে পড়ছে বুকের ভিতর । তাকে আগলিয়ে রাখি প্রার্থনায়। সমস্ত বিশ্ব যেন কান পেতে থাকে। এছাড়া আমার কাছে তো কোনো অস্ত্র নেই।  ভালো থাকার  সুর  বাঁধে  পাখোয়াজ।  আমি ক্ষয়ে ক্ষয়ে শেষ অবধি  অপেক্ষায় থাকবো। একই আকাশে  তাকিয়ে থাকি ছোঁয়ার  জন্যে মেলে দিই ডানা । দেখা হয় দেবীপক্ষের  ভীমপলশ্রী । নীলকন্ঠ পাখি  নক্ষত্রের কাছে বার্তা  পাঠায়। নক্ষত্র সুস্থ রাখে ।অসহায়  মাটি বাঁধা পরে  থাকে ধ্রুবতারায়। শীতে আমি বলেছি , উত্তাপ বাড়িয়ে তোলো ,  আর আজ গরমে বলি তাপ কমাও শীতল কোরো।সুর বেজে চলুক। ভালোবাসার সুরে সুরে  সবুজ গাছের পাতা নেচে ওঠে।  পাখি গলা মেলায় ,  জোৎস্নায় ভরে যাক উঠোন।  জোয়ারে  আছড়ে পড়ুক  বেহাগ, আশাবরী, দরবারী কানারা। বাতাস পৌঁছে দিক  ভালোবাসার চুম্বন।

প্রবন্ধ ।। প্রেমের 'সাইকেল' ।। সুদীপ পাঠক

ছবি
    দু'পাশে তার চাকা ...   আর মধ্যিখানে ফাঁকা সুদীপ পাঠক   দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর ইউরোপ । চতুর্দিকে ধ্বংসের চিহ্ন ছড়ানো । অর্থনৈতিক মন্দা , বেকারত্ব , হাহাকার । এর মধ্যে চলছে জীবন সংগ্রাম । দাঁতে দাঁত চেপে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করে চলেছে মানুষ । সে এক অসম প্রতিযোগিতা । ইতালিতে এমনই একজন মানুষ সম্পূর্ণ কর্মহীন হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে । স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে ? কি করবে এখন ? এই সমস্ত অমীমাংসিত প্রশ্নের কোনো জবাব নেই । হঠাৎ মেঘ না চাইতে জল পাওয়া মতন করে জুটে যায় রোজগারের উপায় । শহরের দেওয়াল গুলিতে তাকে পোষ্টার সাঁটাতে হবে । ঘাড়ে করে মই পোষ্টারের বান্ডিল আর হাতে আঠার বালতি নিয়ে ঘুরে ঘুরে সেই কাজ করতে হবে তাকে । তবে শর্ত একটাই তার একটি নিজস্ব বাই সাইকেল থাকা আবশ্যিক । নিরুপায় হয়ে শেষ সম্বল টুকু পর্যন্ত বাজী রেখে সে সাইকেল জোগাড় করে । শুরু হয় কাজ । একদিন হঠাৎ তার চোখের সামনে একজন লোক সেই সাইকেল চুরি করে পালায় । শুরু হলো নতুন লড়াই । সাইকেল পুনরুদ্ধার তাকে করতেই হবে । সে পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় । আইনের দরজায় কড়া নাড়ে ।  এহেন জায়গা নেই যেখানে সে স

প্রবন্ধ ।। সমসাময়িক কবিদের কবিতাবোধ ।। সৌমেন দেবনাথ

ছবি
  কবিদের চিন্তার জগৎ আর সাধারণ পাঠকের বোধের গভীরতা এক নয়, সমান নয়। সে কারণেই সমকালের পাঠক সমাজ অপবাদ দেন,'আমাদের কবিতা দুর্বোধ্য'। পঠিত কবিতার সিংহ ভাগই বুঝতে পারেন না। আছে আড়ালতা, প্রচ্ছন্নতা। এই আড়ালতা বা প্রচ্ছন্নতা কবিতার শত্রু নয়, কবিতার শত্রু দুর্বোধ্যতা। কবিদের চিন্তার ক্ষুরধারতা, প্রখরতা, দৃঢ়তা বা উত্তরাধুনিক মননতা পাঠকের জন্য অদৃশ্য এক দেয়ালের সৃষ্টি করছে, নতুবা সমকাল পাঠক কেনো কবিকে প্রত্যাখ্যান করবে? বোধের সাথে বিষয় না থাকলে কিংবা বোধ যদি নৈর্ব্যক্তিক ব্যঞ্জনা না পায় কবিতা তো দুর্বোধ্য হবেই। কবির অন্তর্লোকের সৌন্দর্য এবং উপস্থাপন অভিনবত্ব প্রথমত পাঠক মনে এনে দেবে অজানা সুখানুভব আর সুখানুভবই উদ্বুদ্ধ করবে কবিতার অন্তর্লোকের আবিষ্কার। দুর্বোধ্যতা তখন জয় করা যাবে। দুর্বোধ্যতার বেড়াজালে আটকা পড়ার কারণে কিংবা গভীর ব্যঞ্জনায় সরল পাঠ না থাকার দরুন বা নিষ্ঠ পাঠকের অন্তর্লোক আলোকিত না করতে পারার কারণে কবিদের সীমার মাঝের অসীম সৃষ্টির এক তিল কণাও কুড়িয়ে নিতে পারছেন না, তাই কবিরাও ব্যর্থ, পাঠকরা তো বটেই। কবিরা কথা বলেন দূরের মানুষদের সাথে, দূরের কোন সীমাহীনতার সাথ

মুক্তগদ্য ।। রবীন্দ্রনাথ ও আমি ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

ছবি
                                         রবীন্দ্রনাথ ও আমি পার্থ সারথি চক্রবর্তী     রবীন্দ্রনাথ আমাদের মনে, মননে,রন্ধ্রে রন্ধ্রে। শৈশব থেকে শুরু করে জীবনের শেষ সময়েও আমাদের ঘিরে রেখেছে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর সৃষ্টি। তাই তো তিনি আবহমান, সদাবিচরণকারী। 'সহজ পাঠ ' নিয়ে জীবন শুরু করে 'শেষের কবিতা ' অবধি তিনিই তিনি। জুড়ে আছেন জীবনে ও যাপনে। এককথায় বলতে গেলে 'আমার পরাণ যাহা চায়, তুমি তাই '। কীটসের প্রেম, ওয়ার্ডসওয়ার্থের প্রকৃতি, কালিদাস, শেক্সপিয়রের মানবিক সম্পর্কের আখ্যান- সব পাই তাঁর লেখায়। খুব ছোটবেলায় হাতে পাওয়া 'সঞ্চয়িতা' কবে যে সবার অলক্ষ্যে পরম বন্ধু হয়ে উঠেছে, টেরও পাইনি। শৈশবে 'দামোদর শেঠ' পড়ে যখন বিয়েবাড়িতে গিয়ে  'ভেটকি ফ্রাই' খাই; তখন তাঁকে দূরে দাঁড়িয়ে মুচকি হাসতে দেখেছিলাম। আবার যখন 'বীরপুরুষ' আবৃত্তি করে মায়ের চোখ ভিজিয়ে দিয়েছি; তখন যেন তাঁকে হাততালি দিতেও দেখেছিলাম। এভাবে কৈশোর পেরিয়ে 'যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙল ঝড়ে '; সেদিন যেন হঠাৎ বড় হয়ে গেলাম। প্রেম, দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, বিশ্বপ্রেম। সব মিলিয়ে যেন এক ভেসে যাওয়ার জো

গদ্য ।। কবিতার কথা ।। সুবীর ঘোষ

ছবি
কবিতার কথা   সুবীর ঘোষ      একজন মা যেমন নিজের সন্তানকে কারো সঙ্গে তুলনা করে দেখতে চান না , তেমনি আমার কবিতার গায়ে আমি তত্ত্বায়নের লেবেল আঁটা পছন্দ করি না । ফলে কবিতার ক্রিয়াকরম রীতিপ্রণীতি ব্যাকরণ কিছুই জানা নেই আমার । জানি না কবিতার সংজ্ঞা ও ভূমিকা কুশল ও কৌশল । কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে কবিতা লিখি না , কোনো প্রাপ্তির জন্যও নয় , কোনো বার্তা দেবার জন্য তো নয়ই । কবিতায় আমি নিজের সঙ্গেই কথা বলি , এ আমার অফুরন্ত আনন্দের স্বরালাপ খেলা । কখনো চোখের আলোয় কোনো রৌদ্রপ্রতিমাকে দেখা যায় , যার সঙ্গে কথাও বলা যায় । কবিতা তখন কিছুটা দ্বিরালাপ হয়ে যায় ঠিকই তবে প্রকৃত দ্বিরালাপ তো কবির সঙ্গে পাঠকের কথা বলা ।   অনেকে অনেক কথা বলেছেন ---কবিতা হয়ে ওঠে , বেজে ওঠে । কেউ কেউ নির্মাণ – বিনির্মাণের কথাও বলেছেন । আমি মনে করি কবিতা এসে ওঠে । আমরা যেমন বেড়াতে গেলে কোনো হোটেলে গিয়ে উঠি তেমনি কবিতা অজানা কোনো স্বপ্নলোক থেকে এসে ওঠে সাদা কাগজের চৌকো ঘরটিতে । সেটিকেও সে শব্দে বর্ণে অর্থে ব্যঞ্জনায় আলোকিত করে তোলে ।   যদিও বাংলাভাষায় আদিকাব্যগু

গল্প ।। বামপন্থী ।। চন্দন মিত্র

ছবি
  তীব্র কর্তব্য সচেতন, অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেন না। আপদে বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ান। কিন্তু ওই এক দোষ, মালটা গোঁড়া বামপন্থী। মাঝেমধ্যে এমন বিলো দ্য বেল্ট হিট করেন যে, মনে হয় এক ঘুষিতে ওঁর নাকটা ফাটিয়ে দিই। কিন্তু কী করব কলিগ শুধু নয়, পাশাপাশি চেয়ারে বসি। সম্পর্কটা অম্লমধুর। সেদিন একটা নতুন আংটি পরে গেছি। দেখে বলেন কিনা — ঘোষবাবু, এই নতুন সংযোজনটা কী করোনা-প্রতিষেধক! মৈনাকবাবুর   অনুমান ক্ষমতা দেখে রাগে আমার পিত্তি জ্বলে যায় । আমি ছাড়া সহকর্মীদের সকলেই করোনা-ভ্যাকসিন   নিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভ্যাকসিন সম্পর্কিত নানা বিরূপ মন্তব্য দেখে আমি ঠিক ভরসা পাইনি।      অনেক ভাবনাচিন্তা করে জ্যোতিষার্ণব সমর শাস্ত্রীর শরণাপন্ন হলাম। তিনি আমাকে আগেও বিভিন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। কেবল আমাদের এলাকায় নয় বিভিন্ন জেলায় তাঁর চেম্বার আছে। প্রথম শ্রেণির দৈনিকে তাঁর বিজ্ঞাপন বেরোয়। আমার আগের চারটি আংটি তাঁরই দেওয়া । আমাকে দেখেই অন্তর্যামী মনের কথা বুঝে গেলেন।       — কিরে ব্যাটা ভোটের ডিউটিতে যেতে হবে বলে ভয় পেয়েছিস ! করোনার ভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে তাই তো ! আয় বোস। ডান হাতটা দে। আ

ছোটগল্প।। দু'টাকা বেশী ভাড়া ।। সংঘমিত্রা সরকার কবিরাজ

ছবি
দু'টাকা বেশী ভাড়া সংঘমিত্রা সরকার কবিরাজ    তীব্র দাউদাউ করে জ্বলছে বাসটা। দমকলের গাড়ির সাইরেনের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিল জগন্নাথ ,চেতনা তার  শেষ বিলুপ্তির পথে। বাসটা সম্পূর্ণ আগুন ধরে যাওয়ার শেষ মুহূর্তে কিছু ভালো মানুষ তাকে স্টিয়ারিং থেকে জোর করে নামিয়ে আনে। কিছুক্ষনের মধ্যেই পুলিশ ভ্যান - রাজনৈতিক  ফড়েদের ব্যস্ততা জায়গাটাকে ভাগাড়ের চেহারা দিলো যেন। তখন ও কেউ যেন বলছিলো ড্রাইভারটাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হোক এখনও চেষ্টা করলে বেঁচে যাবে। জগন্নাথ হালদার ৫'৬" রোগা অর্ধবয়স্ক পোড়ো জংধরা চেহেরা।বাড়ি - নামখানা। 37A হাওড়া স্টেশন থেকে নয়াবাদ- গড়িয়া অবধি রুটের মিনিবাসের ড্রাইভার কাম মালিক। এক বিবাহযোগ্যা মেয়ের আর এক অটিজম আক্রান্ত ছেলের বাপ। খুব ছোটবেলায় দু - মুঠো বাড়তি অন্ন আর সুখ - স্বাচ্ছন্দ্যের আশায় শহরে চলে এসেছিলো।জগন্নাথের বাপ ছিলো ভাগচাষী। আর মা ছিলো বছর পোয়াতি। দু বছর অন্তরই তার পেটে নতুন অতিথি বাসা খুঁজে নিতো। যেন মা ষষ্ঠীর কৃপালাভ করা গেরস্থ বেড়ালিনী। ছানাপোনার অভাব নেই।যদিও সবগুলো বাঁচে নি।আটখানার মধ্যে মেরেকেটে ওই তিনজন মাত্র টিকে ছিলো অথবা আছে। নাকের নীচ

অণুগল্প ।। তনুর চিঠি ।। বিশ্বনাথ প্রামাণিক

ছবি
        তনুর চিঠি          বিশ্বনাথ প্রামাণিক           আমি কর্মসূত্রে নিজের আত্মীয়-পরিজন ছেড়ে অনেক দুরেই থাকি। সঙ্গে থাকে আমার স্ত্রী ও একরত্তি মেয়েটা। যখন সময়- সুযোগ হয় বাড়িতে যাই, কখনো বা উনারা আসেন। এখন এই ভয়ংকর অবস্থায় পড়ে অনেক দিন হল, বাড়ি যেতে পারি নি বা ওনারা ও আসতে পারেন নি।          সেদিন সবে তখন সকাল হয়েছে ।  পাখির দল সব ঘুম ভেঙে উঠে চারিদিক কলকাকলিতে ভরিয়ে তুলেছে। অভ্যাস মতো আমার সাত বছরের তনুও উঠে পড়েছে আমার সঙ্গে। ও অবশ্যি রোজ সকাল সকাল ঘুম থেকেই উঠে আমার সঙ্গে প্রাতঃভ্রমনে বের হয়। এখন করোনার বাড়-বাড়ন্ত বলেই আমরা আমাদের পাঁচিল তোলা বাগান বাড়িতেই হাঁটাহাঁটি করি।  সকাল সকাল উঠার এ অভ্যাস তনু ওর দিদুনের (ঠাকুমাকে ও দিদুন বলেই ডাকে) কাছ থেকেই শিখেছে। সেদিন দেখি আমার সঙ্গে না হেঁটে এই সাত সকালেই ও আমাদের বাগানের সব চেয়ে বড় গাছটার নীচে বসে গভীর মনোযোগের সঙ্গে  কি সব লিখে চলেছে!          আমি মর্নিং ওয়াক থামিয়ে ওর পাশে গিয়ে বসি। আলতো করে মাথায় হাত রেখে বলি- এত মনোযোগ দিয়ে এই সাত সকালে আমার তনু মা কি এত লেখা-লিখিতে ব্যস্ত, দেখি তো।        ও রাগ করে  চকিতে খাত