google-site-verification=aFCzFTmuVjPqPlrdWXeJSj2r_EMig_cypLnlmiUQpw0 re কবিতা ।। রান-মেশিন ।। আনন্দ বক্সী - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

Breaking

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২

কবিতা ।। রান-মেশিন ।। আনন্দ বক্সী



রান-মেশিন

আনন্দ বক্সী 


গৃহবধূ মাতা তাঁর কোহলি সরোজ 
পিতা প্রেম রাখতেন যাঁর সব খোঁজ,
বড় দাদা-দিদি যাঁর ভাবনা-বিকাশ 
শিশুকাল থেকে পায় প্রতিভা প্রকাশ। 
যাঁর ব্যাটে মজে আজ গোটা ধরাধাম 
দিল্লিতে বাস তাঁর 'চিকু' ডাকনাম। 
মজা দেন খেলে তিনি রাত হোক দিন 
মাঠে নেমে হয়ে যান রানের মেশিন। 
এ যুগের তিনি এক সেরা ব্যাটধারী 
বিরাট কোহলি ভাই নামটা যে তাঁরই।

তিন বছরেই নেয় ব্যাট হাতে তুলে 
বাবার বোলিংয়ে সে খেলে প্রাণ খুলে।
পিতার নয়ন তাকে চিনলো খুঁটিয়ে 
প্রতিভা রয়েছে তাঁর মধ্যে লুকিয়ে।
মানুষ করতে তাঁকে মনের মতন 
সেই মতো পিতা তাঁর নিলেন যতন। 
দিল্লির অ্যাকাডেমি হলো যে ঠিকানা 
সুপ্ত প্রতিভা তাঁর মেলে দিলো ডানা।
রাজকুমারের কাছে নিলেন তালিম
বের করে আনলো সে ভিতরের ক্রিম। 
পরিপূর্ণতা পেল ক্রিকেট জীবন 
বড়ো খেলোয়াড়রূপে চিনলো ভুবন। 

দিল্লির হয়ে তিনি অপরূপ খেলে 
ঘরোয়া ক্রিকেটে দেন জোর সাড়া ফেলে।
প্রয়াত হলেন পিতা বেশ তাড়াতাড়ি 
আর্থিক সংকট দেখা দিলো ভারি। 
তাঁর কাঁধে এসে গেল পরিবার ভার 
ক্রিকেটের প্রতি টান বেড়ে গেল তাঁর। 

অবশেষে এসে গেল সেই শুভ যোগ 
ভারতের ছোট দলে মিললো সুযোগ। 
ক্যাপ্টেন হয়ে তিনি যান মালেশিয়া 
বিশ্বকাপটা নিয়ে আসেন ফিরিয়া।
এরপর তাঁকে আর গেলনা যে ধরা 
বড়দের দলে তিনি নাড়লেন কড়া।
ওয়ান-ডে খেলতে যে ঢুকলেন দলে 
সাহসিক ছাপ ছিল তাঁর মনোবলে।
শ্রীলঙ্কা-সাথে তাঁর হলো অভিষেক 
তাঁকে দলে নেওয়াটা হয়নি তো ফেক।
ওপেনাররূপে তিনি খেললেন এসে 
প্রথম সিরিজ জয় হলো ওই দেশে।

লেগে গেল তারপর আরো বেশি তাক 
বিশ্বকাপের দলে পেলেন যে ডাক।
দু'হাজার এগারোর মহান সে রণে 
নামলেন মাঠে তাঁরা ধোনি ভাই সনে।
অভিষেক ম্যাচে নেমে পান শতরান 
ভারতীয় হিসাবে তা প্রথম ঘটান। 
সবদলকেই তাঁরা রেখে দিয়ে চাপে 
দুরন্ত খেললেন সে বিশ্বকাপে।
অধরা কাপটা তাঁরা জিতে নিয়ে শেষে 
আনন্দে মাতলেন নেচে-গেয়ে-হেসে।

টেস্ট-দলে ঢুকলেন ধীরে দৃঢ় পায় 
তাঁকে ছাড়া টেস্ট খেলা আজ বড় দায়।
খেলেন আইপিএল আরসিবি-হয়ে 
উজ্জ্বল হয়ে তিনি মনে যান রয়ে।
তিন ঘরানাতেই সে সমসাবলীল 
মাঠে খেলে জিতে নেন সকলের দিল।
অধিনায়ক ছিল সে যে সব ঘরানায় 
ক্রিকেট-জীবন যেন বহুদূর যায়।

অনুষ্কা-সাথে তাঁর হয় পরিনয় 
বলিউড-রানি তিনি পেশা অভিনয়।
 
একাধিক ম্যাচ তিনি জেতান হেলায় 
প্রতিভার ছাপ থাকে তাঁর সে খেলায়।
সহজে মানেনা হার মাঠের খেলায় 
শেষ বল অবধি সে লড়াই চালায়।
অদ্ভুত জোর তাঁর মানসিকতায় 
মাঠে নেমে সব ম্যাচ জিতে নিতে চায়।
মাঠে তাঁর চলাফেরা রাজার মতন
ভারতমাতার তিনি অমূল্য ধন।
 
======================

আনন্দ বক্সী
গ্রাম-বেলিয়াডাঙ্গা, ডাক-দক্ষিণ বারাশত, থানা-জয়নগর, জেলা-দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সূচক ৭৪৩৩৭২।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন