চলেছি আমরা তিন বন্ধু কোয়েল ভিউ পয়েন্ট ছাড়িয়ে পালামৌ পাহাড়ের এক প্রায় জনশূন্য রাস্তা দিয়ে। উদ্দেশ্য এক নির্জন পাহাড়ি ঝোরার খোঁজে।
সাতসকালে নামমাত্র কিছু খেয়ে। যেতে যেতে যে দু-তিনজন আদিবাসীর দেখা পেলাম তাদের জিগ্যেস করলে তারা বলে আর এক ফারলঙ বাকি। সেটার মানে যে কি কে জানে। রাস্তা কিন্তু ফুরায় না। ভাগ্যবশত একটা মোষের গাড়ী দেখে দাঁড় করালাম। তাকে ঝোরার কথা বলতেই সে ওর গাড়ীতে আমাদের উঠতে বললো। আমরা উঠতেই সে মোষের পিঠে বাড়ি মেরে হ্যট হ্যট করে গাড়ীটাকে পথ থেকে ডান দিকে জঙ্গলে নামিয়ে কোনাকুনি চালাতে লাগলো। গাড়ীও জঙ্গলের ভিতর দিয়ে গড়গড়িয়ে চলতে লাগলো। বেশ মজা লাগলো। এ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। গাড়ীর ওপর ঠিক মধ্যখানে গোল করে কোমর সমান ঘেরা দেওয়া। গাড়োয়ানের কথায় ওর ভিতর গিয়ে আমরা দাঁড়ালাম। একসময় সে আমাদের নামিয়ে দিয়ে বলে, 'সিধা যাইয়ে নজদিগমে'।
সাতসকালে নামমাত্র কিছু খেয়ে। যেতে যেতে যে দু-তিনজন আদিবাসীর দেখা পেলাম তাদের জিগ্যেস করলে তারা বলে আর এক ফারলঙ বাকি। সেটার মানে যে কি কে জানে। রাস্তা কিন্তু ফুরায় না। ভাগ্যবশত একটা মোষের গাড়ী দেখে দাঁড় করালাম। তাকে ঝোরার কথা বলতেই সে ওর গাড়ীতে আমাদের উঠতে বললো। আমরা উঠতেই সে মোষের পিঠে বাড়ি মেরে হ্যট হ্যট করে গাড়ীটাকে পথ থেকে ডান দিকে জঙ্গলে নামিয়ে কোনাকুনি চালাতে লাগলো। গাড়ীও জঙ্গলের ভিতর দিয়ে গড়গড়িয়ে চলতে লাগলো। বেশ মজা লাগলো। এ এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা। গাড়ীর ওপর ঠিক মধ্যখানে গোল করে কোমর সমান ঘেরা দেওয়া। গাড়োয়ানের কথায় ওর ভিতর গিয়ে আমরা দাঁড়ালাম। একসময় সে আমাদের নামিয়ে দিয়ে বলে, 'সিধা যাইয়ে নজদিগমে'।
ঝর ঝর ঝর্ণার আওয়াজ পাচ্ছিলাম কিন্তু তাকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। একটু এগিয়ে যেতেই চোখ গেল জুড়িয়ে। ছোট্টপ্রপাত উপর থেকে বহুধারায় বেশ কিছুটা নীচে লাফিয়ে পড়ছে। ভারি সুন্দর লাগছে। আমরাও পাথরের খাঁজে খাঁজে পা দিয়ে একদম নিচে নেমে গেলাম। নিচে বড় বড় পাথরের ওপোর বসে অল্প বহতা জলে পা ডুবিয়ে নানান গল্পে মশগুল হলাম। পুরো নির্জন পরিবেশ। অনেকটা ওপরে জমি জঙ্গল। নিচে নামা্র আগে ওপরেও কাউকে কোথাও দেখিনি। সেই মোষের গাড়ীর গাড়োয়ান তো আমাদের নামিয়ে দিয়ে কোথায় চলে গেছে। হুঁশ ফিরতেই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে চমকে উঠলাম। এখানে বসে আমরা দেড় ঘন্টার ওপর কাটিয়ে দিয়েছি। খিদেটাও বেশ টের পাচ্ছি এখন।
অতএব এবার ফেরার পালা। সেই জঙ্গল আর কৃষিজমির ভিতর দিয়ে কোথাও বেড়া ডিঙিয়ে আমরা শর্টকাটে ফিরতে লাগলাম। ভূট্টার খেত থেকে ভূট্টা ছিঁড়ে খেতে খেতে হোটেলে ফিরতে ফিরতে প্রায় বিকেল চারটে বাজলো। বয়স্ক ম্যানেজার আমাদের দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,'কোথায় গিয়েছিলেন আপনারা? আপনাদের লাঞ্চটা গরম করতে বলি?' সম্মতি জানাতেই একজনকে ডেকে গরম করিয়ে দিলো টেবিলে। তারপর আমাদের টেবিলের কাছে এসে সৌজন্যমূলক ভাবে জিগ্গেস করলো, 'কোথায় গিয়েছিলেন আপনারা'?
তারপর আমাদের গন্তব্যের কথা শুনে প্রায় আঁতকে উঠলেন, 'করেছেন কি, একটু বলে যাবেন তো। জানেন বাঘেরা ওখানে প্রায়শই জল খেতে নামে।
আজও ঐ দিনের কথা মনে পড়লে গায়ে কাঁটা দেয়।
তারপর আমাদের গন্তব্যের কথা শুনে প্রায় আঁতকে উঠলেন, 'করেছেন কি, একটু বলে যাবেন তো। জানেন বাঘেরা ওখানে প্রায়শই জল খেতে নামে।
আজও ঐ দিনের কথা মনে পড়লে গায়ে কাঁটা দেয়।
=============
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন