তাতারসির ঘ্রাণ
সুতিখালটা পেরিয়ে পেঁচাখুলির মাঠ ;
পেঁচাখুলির মাঠটা পেরিয়ে
আমাদের শৈশব ,
নামতা মুখস্ত করার দিন ;
#
আমাদের গ্রামে সুতিখালটা এখনও আছে ;
নেই কেবল বাঁশের সাঁকোটা ;
যেটা দিয়ে পেরিয়ে যেতাম ;
তার পর এক দৌড়ে স্কুল ;
#
শীতের দিন গুলিতে দেখতাম খাল পাড়ে
খেঁজুর গুড় তৈরি করা চেনা মানুষ গুলো ;
পুরো এলাকাটা জুড়ে ম-ম করতো
সুগন্ধি ঘ্রাণ ;
যাতায়াতের পথে
আমাদের জিভে তখন খেঁজুর রস , তাতারসি , গুড়ের স্বাদ ...
#
যে মানুষ গুলো সন্ধ্যার আগে খেঁজুর গাছে
হাঁড়ি বেঁধে আসতো ;
আর , ভোর হতে না হতে নামিয়ে আনতো
রসের হাঁড়ি ;
তারা আজ অনেকেই নেই ;
যারা আছে , তারা ঠিক মতো হাঁটতে পারে না ;
নতুন প্রজন্ম আর খেঁজুর গাছ কেটে না ;
সে রকম গাছ থাকলে তবে তো কাটবে !
#
যে মানুষ গুলো এক দিন যেখানে
খেঁজুর রস জ্বাল দিতো ,
সেখানে এখন বসে শীতের রোদে গা সেঁকে ;
#
আমি এখন চাদর মুড়ি দি ;
শীতের রোদে গা সিঁকি ;
এখন আর এক দৌড়ে পার হতে পারি না
পেঁচাখুলির মাঠ ;
পাইনা আর তাতারসির ঘ্রাণ ...
তবে মাঠ পরলেই শুনতে পাই --
ছেলে বেলার সেই নামতা মুখস্ত :
এক একে একে ,
দুই একে দুই .....
-------