এ হেমন্ত কর্ম ব্যস্ততার
শরতের নীল আকাশ, পেঁজা তুলার মেঘ গিয়েছে সরে।
কুয়াশা জড়ানো আকাশ ঢেকেছে সূর্যের তেজ।
সকালে সোনালী ধানের গা বেয়ে ঝরে পড়া শিশিরে নবান্নের গন্ধ।
সে গন্ধে মাতোয়ারা হয় চাষির মন ।
নতুন চালের স্বাদ নেয়, একটা-দুটা খোসা ছাড়িয়ে।
আর কতদিন বাকী?
গোবরে নিকানো উঠান-খামার অপেক্ষায় দিনগুনে
মা লক্ষীর পদার্পনের।
ধানের গাদায় সাজবে খামার।
চাষীর কাঁধে ধানের বাক দেখে
গোঠের গরুর দল হা করে চেয়ে থাকে,
কাঁচা-মিষ্টি খড়ের স্বাদ তাদের বড্ড প্রিয়।
মাঠের থেকে কাজ সেরে ফিরে আসার পথে পল্লীধুম জানান দেয়,
টাটকা কিছু খাবার হয়তো জুটতে পারে।
এ হেমন্ত নয় বসন্তের ন্যায় মধুর,
এ হেমন্ত কর্ম ব্যস্ততার।
এ হেমন্ত দেয় ডাক,আমন ধান কেটে-
আনতে হবে রবি শস্যের চাষ।