"হিমেল কথকতা"
শীতের দেশ উত্তরে হিমালয়ের হিমবাহ থেকে হিম প্রবাহিত হয়। সেখানে শীতলতা সদা বিরাজমান। সেখানে পাখী গান গাহে না। ফুল ফুটে না গাছে। আঁধার জনহীন তুষারময়। সেখানে কুয়াশার ঘন জাল বিস্তৃত সর্বদা। হিমেল বায়ে পাতার বুকে কাঁপন ধরে। তাই সব পাতা ঝরে পড়ে ঘাসের উপরে। শীতের শীর্ন লতা থরথরিয়ে কাঁপে। শীতের কুয়াশার ঘন জাল সারা প্রকৃতি কে জড় করে দেয়। শীতের কাঙালীপনা বড় বিষন্ন করে। শুভ্র শীত বৈরাগী।সে নগ্ন করে শাখা প্রশাখা কে। কুঞ্জে কুঞ্জে চলে তার মৃত্যুর বিপ্লব। অরন্যের বুকে আঘাত হানে হিমেল হাওয়া।শীত বড় উদাসীন। ঘাসের আগায় শিশিরের উপস্থিতি। শীতের শব-শীতল কোলে প্রাণের নিঃসাড়তা, সব জুবুথুবু। শীত জর্জর সকালে একমাত্র কর্ম চঞ্চলতা এনে দেয় সূর্যের উপস্থিতি।
হিমেল সকালে কৃষক দম্পতি বিছানার আরাম ছেড়ে কাজে হাত দেয়। স্বল্প বাস কোনো রকমে গায়ে ঢাকা দিয়ে হি হি করে কাঁপতে কাঁপতে গৃহস্থালি র কাজ সেরে মাঠের কাজে মন দেয়। অর্ধ নগ্ন বালক বালিকা কুটিরের আঙিনায় বসে রৌদ্রের প্রত্যাশায় উন্মুখ হয়ে থাকে। এতসব জীর্নতাকে উপেক্ষা করে মানুষ শীতকে আকাঙ্ক্ষা করে দেশী মরসুমী ফুলের বাহার অবলোকন করার জন্য। শীতে মনোলোভা সব্জী ক্ষেত, খেজুর রস, পাটালী, নবান্ন উৎসব, নানা ধরনের পার্বন,মেলা, সার্কাস, নানা ধরনের খেলা অনুষ্ঠিত হয় এই শীতেই। জড়তা গ্রস্ত শীতে এগুলিই জনজীবনকে কর্মচঞ্চল করে রাখে।
জাতি ও বর্ণ ভেদে শীত হ'ল বৈশ্য। সে পাকা ধান কাটাই মাড়াইয়ের আয়োজনে চারটি প্রহর ব্যস্ত। যব,ছোলার প্রচুর আশ্বাসে ধরণীর ডালা পরিপূর্ণ। প্রাঙ্গণে প্রাঙ্গণে গোলা ভরে ওঠে।গোঠে গোঠে গরুর পাল রোমন্থন করে। ঘাটে ঘাটে নৌকা বোঝাই হয়। পথে পথে ফসলের ভারে মন্হর হয়ে ঠেলা গাড়ি চলে। ঘরে ঘরে নবান্ন এবং পিঠা পার্বনের উদ্যোগে ঢেঁকি লাল মুখরিত হয়। গৃহলক্ষ্মীর আগমণে মুখর হয়ে গৃহের অঙ্গন।শীত বৈশ্য ঠিকই। সমাজের নীচের বড়ো ভিত্তি হ'ল ঐ বৈশ্য অর্থাৎ শীত।এই শীতেই তো ফসলের সাড়ম্বর আয়োজন।শরতে যাকে নবীন বেশে দেখা যায় , সে হেমন্তে হয় প্রবীণ। সবশেষে শীতেই তাহা ঘর ভরিয়া পরিনতি লাভ করে।
হিমেল সকালে কৃষক দম্পতি বিছানার আরাম ছেড়ে কাজে হাত দেয়। স্বল্প বাস কোনো রকমে গায়ে ঢাকা দিয়ে হি হি করে কাঁপতে কাঁপতে গৃহস্থালি র কাজ সেরে মাঠের কাজে মন দেয়। অর্ধ নগ্ন বালক বালিকা কুটিরের আঙিনায় বসে রৌদ্রের প্রত্যাশায় উন্মুখ হয়ে থাকে। এতসব জীর্নতাকে উপেক্ষা করে মানুষ শীতকে আকাঙ্ক্ষা করে দেশী মরসুমী ফুলের বাহার অবলোকন করার জন্য। শীতে মনোলোভা সব্জী ক্ষেত, খেজুর রস, পাটালী, নবান্ন উৎসব, নানা ধরনের পার্বন,মেলা, সার্কাস, নানা ধরনের খেলা অনুষ্ঠিত হয় এই শীতেই। জড়তা গ্রস্ত শীতে এগুলিই জনজীবনকে কর্মচঞ্চল করে রাখে।
জাতি ও বর্ণ ভেদে শীত হ'ল বৈশ্য। সে পাকা ধান কাটাই মাড়াইয়ের আয়োজনে চারটি প্রহর ব্যস্ত। যব,ছোলার প্রচুর আশ্বাসে ধরণীর ডালা পরিপূর্ণ। প্রাঙ্গণে প্রাঙ্গণে গোলা ভরে ওঠে।গোঠে গোঠে গরুর পাল রোমন্থন করে। ঘাটে ঘাটে নৌকা বোঝাই হয়। পথে পথে ফসলের ভারে মন্হর হয়ে ঠেলা গাড়ি চলে। ঘরে ঘরে নবান্ন এবং পিঠা পার্বনের উদ্যোগে ঢেঁকি লাল মুখরিত হয়। গৃহলক্ষ্মীর আগমণে মুখর হয়ে গৃহের অঙ্গন।শীত বৈশ্য ঠিকই। সমাজের নীচের বড়ো ভিত্তি হ'ল ঐ বৈশ্য অর্থাৎ শীত।এই শীতেই তো ফসলের সাড়ম্বর আয়োজন।শরতে যাকে নবীন বেশে দেখা যায় , সে হেমন্তে হয় প্রবীণ। সবশেষে শীতেই তাহা ঘর ভরিয়া পরিনতি লাভ করে।
স----------মা----------প্ত
শেফালি সর, জনাদাড়ি, গোপীনাথপুর, পূর্ব মেদিনীপুর।