ব্যাডমিন্টনের তারা- সাইনা নেওয়াল
আনন্দ বক্সী
মেয়ে হয়েছে বলে যাঁর ঠাম্মা হন ক্ষুন্ন
বড় হয়ে সে মেয়েটাই ধরেন রূপ অন্য।
মেয়েরাও পারে দেখিয়ে দেন তার নমুনা রেখে
কোন অংশে কম নয় সে পুরুষদের থেকে।
হরিয়ানাতে জন্ম তাঁর হিন্দু-জাঠ জাতি
ব্যাডমিন্টন খেলে খ্যাতি করেন রাতারাতি।
মা'র ইচ্ছা করতে পূরণ র্যাকেট নেন হাতে
দেশবিদেশ তাঁর খেলাতে সদানন্দ মাতে।
ক্যারাটেটাও শেখেন তিনি বাড়াতে মনোবল
চন্দ্রাংশু বোনটি তাঁর খেলেন ভলিবল।
হরবীর সিং জনক তাঁর জননী উষারাণি
সাইনা নেওয়াল নামেই আমরা তাঁকে জানি।
ছোট থেকেই বাড়িতে ছিল খেলার পরিবেশ
তিনিও সেই একই পথে করলেন প্রবেশ।
পিতামাতা উৎসাহ দেন তাঁর চলার পথে
পিএফের টাকাও ঢালেন তুলতে জয়রথে।
শিশু বয়সে তালিম নেন ননী প্রসাদ-কাছে
আজও সেই শিক্ষা তাঁর সতেজ হয়ে আছে।
আরিফ স্যারের কাছেও যে শেখেন কিছুদিন
ভোলেননি যে আজও তিনি তাঁদের সেই ঋণ।
হায়দ্রাবাদ চলে এলেন পরবর্তী কালে
গোপীর অ্যাকাডেমিতে যান উঠতে মগডালে।
সেখান থেকে উড়লো তাঁর স্বপ্নের উড়ান
চোখ ধাঁধানো খেলা দেখিয়ে সুখ্যাতি কুড়ান।
মাজাঘষা করার পর বেরোলো জৌলুস
তাঁর খেলার ভক্ত হলো বিশ্বের মানুষ।
সৃষ্টি হলো তাঁর খেলাতে সুরের মূর্ছনা
মোহিত হয়ে বিশ্ববাসী করলো বন্দনা।
ড্রপশর্টের কারিকুরিতে চেনান তাঁর জাত
ফোরহ্যান্ডে বিপক্ষকে করেন কুপোকাত।
ব্যাকহ্যান্ডেও রয়েছে তাঁর বেশ নিয়ন্ত্রণ
নয়নাভিরাম খেলা দেখিয়ে ভরিয়ে দেন মন।
ফিলি' ওপেনে নামেন তিনি ছিয়াশি র্যাঙ্কিং এ
অবাক করে দেন সবারে চ্যাম্পিয়ান হয়ে।
ষোড়শ বর্ষীয়া রূপে এই ট্রফি সে পান
এশিয়া থেকে তিনি প্রথম এ কান্ড ঘটান।
তিন-তিনবার অংশ নেন তিনি অলিম্পিকে
দ্বিতীয়বারেই গলায় ঝোলান ব্রোঞ্জ পদকটিকে।
সমসংখ্যকবার নেমে কমনওয়েল্থে
দুই সোনা ও একটি ব্রোঞ্জ জেতান ভারতকে।
পর্যটন ভালোবাসেন মা'র রান্না প্রিয়
কোন কিছুর সাথেই যে নয় তা তুলনীয়।
শাহরুখের ভক্ত তিনি, প্রাণের অভিনেতা
বিজ্ঞাপন জগতেও তিনি যে পরিচিতা।
বিশ্ব র্যাঙ্কিং এ তিনি শীর্ষে পৌঁছান
প্রথম ভারত-নারী রূপে পান এ সম্মান।
প্রকাশ পাড়ুকনের পরে দ্বিতীয় ভারতীয়
খেলোয়াড় হিসাবে তিনি সত্য স্মরণীয়।
Vill-Beliadanga,P.o-Dakshin Barasat, P.s-Jaynagar, Dist-South 24 Parganas,Pin-743372.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন