দুটি কবিতা ।। অভিজিৎ হালদার
দুঃখ দিয়ে শুরু
দুঃখ দিয়ে শুরু এ জীবন
শুধু দুঃখের কথা বলে।
অজস্র জন্ম ধরে হাঁটছি আমি তোমার দিকে
তবুও তোমার নাগাল ছুঁতে পাচ্ছি না !
হৃদয়ের দৈর্ঘ্য হতে বিনিদ্র রজনী হাতের মুঠোয় ভরে
এগিয়ে গেলাম বহুদূর.....
মৌপ্রভাতের পাথুরে মরুফুলে
উদাসীন ভাবনা দুঃখ দিয়ে শুরু হয়
আমার আসমুদ্র নীলাভ বেদনার সাগরে
তবুও তোমার দিকে যেতে পারছি না !!
মাইলের পর মাইল আকাশের মেঘগুলো
বৃষ্টির ফোঁটা দলবেঁধে এলো শহরের ধুলো মুছে দিতে
এভাবেই মুছে গেলো সবকিছুই কাঁচের ঘরের জোনাকি জানালায় ;-
তবুও তোমার দিকে যেতে পারছি না!!
সেই মেয়েটি
সে এক মেঘে ঢাকা মেয়ে
চাঁদের হাসি নিয়ে আসে
গাঢ় ঘন অন্ধকারের পথে ;
প্রান্তর থেকে ব্যবধান হ'য়ে
পদচিহ্ন জন্মের ইতিহাস বুকে --
অসীম আলো খুলে দেয় নগরীর দ্বার।
প্রেমেরই গভীরতা পেতে পেতে
কমেছে শক্তি হয়েছে ক্ষয়
নীল চোখের মণিতে
ভালোবাসার সংকল্প জাগে।
তবু জন্ম মৃত্যু চোখের আড়ালে
নীরবে দিন গোণে নরকের দিকে।
যে মৃত্যু জানতে চাইনি মেয়েটির মুখে
স্মৃতিচিহ্ন এঁকে যায় চিনামাটির দেশে।
ইতিহাসের পাতায় রাজত্ব করে
ঘুরে বেড়ায় স্বপ্ন ভরা ছায়া-বৃষ্টির রাতে ;
কুজ্ঝটিকা শিশিরের প্রেম বিরহের ক্ষণে
আমারে বন্দনা জানাই অতি সমাদরে ।
পৃথিবীকে ! আকাশকে ! মরু'কে ভালোবাসি বলে
সেই মেয়েটি গোলাপ বৃক্ষের নীচে
ভালোবাসার টানে বেড়ে ওঠে ঢের
আমার জীবনের শত আয়ু নিয়ে।।
নারী
আমি সেই নারী
যাকে তোমরা অবহেলা করে দূরে সরিয়ে দিয়েছো
আমি সেই নারী
যাকে দাবানলের কীটে পুড়তে হয়েছে
হ্যাঁ আমি সেই হতভাগী নারী।
আমি সেই নারী
যাকে সমাজের লোক কলঙ্কিনী বলে ডাকে
আমি সেই অপমানিত, অবহেলিত এক সাধারণ নারী।
আমি সেই নারী
যাকে শোষণের কারাগারে বন্দী থাকতে হয়েছে
আমি সেই আগুনের শিখা , বারুদের ঝড়
আমি এক বঞ্চিত নারী এটাই আমার পরিচয়।
=================
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন