প্রত্নতত্ত্বের শরীর ও ইছামতি নারীদের জ্যোৎস্না সংহিতা
নিমাই জানা
প্রত্নতত্ত্বের মতো ভূ প্রকৃতির ফাটল থেকে যে নিশাচর শরীর বেরিয়ে আসে তারা ঠিক ঈশ্বরীদের মতো নৌকা চালাতে চালাতে রক্তকাশের পোশাক ফেলে রেখে গেছে জ্যোৎস্নাহীন রাতের মৃত প্রহরে
একা একা ঘুরে বেড়ানো কালপুরুষীদের সারা শরীরে রক্তের প্রলেপ , চিৎকারের বমি উগরে দেওয়ার পর একা একা নিজেই সিঁদুরের আবির মেখে নেয় অন্ধত্ব নিবারণের পাখিরা,
জাইলেম বৃষ্টিতে ভেজা কোন এক মৃৎশিল্পী রাতের ধ্রুবতারা আঁকছে পচে খত হয়ে যাওয়া কমলালেবু গাছের শেকড় দিয়ে
কালো কালো ছায়াকে ছোবল মারলে বিষের পাথর দাঁত উপড়ে আসে, শুধু ঝাউ পাতার মতো সরু কোমরের নারীরা হিমগিরির মত ঠান্ডা উপত্যকায় দাঁড়িয়ে কতবার হিসহিস গোপী সেজে বিরহ কাতর হয়েছেন,
অমরাবতী স্নানের পর মাছেদের শিরদাঁড়ার কাঁটার ভেতরে থাকা জমাট অন্ধকার ক্রমশ গাঢ় হয়ে আসে নিঝুম আশ্রমিক কুঠুরির ভেতর লতাপাতার মতো, সবাই সর্পগন্ধা চেপে রাখে হরিণদের শরীরে
প্রতিদিন নদী রজস্বলা অসুখ ধরে নেমে আসে আমি তার সারা শরীরে একাদশ মধ্যমার তারাদের কক্ষপথ আঁকার পর শ্বেতপাথরের শাঁখটি বাজিয়ে ফেলি, আর্তনাদ করে ওঠে বিবর্ণ পাথরের মত অজগর ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম লবণ
অসংখ্য ক্ষত মুখের প্রলেপ দেওয়া সরোবরের স্নান সেরে সুশ্রুত সংহিতা পড়ছে রাতে ডুবে যাওয়া কোন যাত্রীবাহী নৌকার নিকটাত্মীয়,
পাথরের মতো ছায়ার কাছে নিজের প্রতিবিম্বের মরচে রঙের হুক গেঁথে দিচ্ছে একদল অপার্থিব শরীরের ইছামতি, শরীর একা একাই মহাজাগতিক স্নান ঘরে নেমে যাচ্ছে ক্যালাইডোস্কোপ হাতে নিয়ে
=============
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন