Featured Post

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

ছবি
  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

অণুগল্প ।। বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা ।। মনোরঞ্জন ঘোষাল


বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা!
মনোরঞ্জন ঘোষাল

বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা। কথাটা মনে ছিল না। তাই হল ভুল!

    কদিন আগে আমার গোটা তিন মুরগি একটা মোরগকে নিয়ে মহা আনন্দে বাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। ওদের আনন্দ দেখে আমি নিশ্চিন্ত হয়ে ঘরে বসে দু কলম লিখছি, হঠাৎ দেখি ওর কজন চেঁচাচ্ছে! সে চেঁচানোর ধরন আমি জানি। বুঝলাম কিছুতে তাড়া না হয় পাকড়াও করেছে।

    কুকুর খাটাস গোসাপ এ সব শত্রুরা যে  নোলা পেতে বসে আছে তা আন্দাজ করিনি। 
দৌড়ে ওদের কাছে গিয়ে দেখি, আমার হলদি নেই। বড় সাধের মুরগি, সবে দুটো ডিম পেড়েছে। আশেপাশে একটু খুঁজতে দেখি পালকের ছড়াছড়ি। বুঝলাম সেখান থেকেই পাকড়াও করেছে। আর যে পথে তাকে হরণ করে নিয়ে গেছে, সে সীতার মত কিছুটা ছাড়া ছাড়া একটি করে পালক ছড়িয়ে  নির্দেশনা দিয়ে গেছে। 

    আমি এগিয়ে চললাম সেই পথে। সোজা গিয়ে ঢুকে পড়লাম জঙ্গলে। এদিক ওদিক খুঁজতে শুনতে পেলাম একটা ঝটপট আওয়াজ। দৌড়ে সেখানে গিয়ে দেখি, হলদিকে ঘায়েল করে সে ব্যাটা পালিয়েছে।

    তাকে ধরে আনলাম। তখন সে বেশ চড়কো আছে, ডানার পাশে শুধু একটা জায়গাতে দাঁত বসিয়েছে। বলি থাক তাহলে, আর ভাগিয়ে লাভ নেই, একটু সেবা করলে বেঁচে যাবে। তাই ওষুধ লাগিয়ে খাইয়ে ব‍্যাণ্ডেজ বেঁধে দিলাম। দেখি দিনটুকু দিব্যি আছে। একটু দুর্বল, তা অমন হয়, নার্ভের রোগ, আবার মৃত‍্যুর মুখ থেকে ফিরেছে। 

    তাই আলাদা করে যত্নে ওকে একাকে একটা ঘরে ঢুকিয়ে দিলাম। দেখি সকালে ও আর বের হল না। উঁকি দিয়ে দেখি সে শুয়ে পাথর হয়ে গেছে।

    মনে পড়েনি যে, খাটাস বাবাজী ঐ বেড়াল জাতির একজন। তাই বাঘ বা বেড়াল কিংবা খাটাস এরা যেই ছুঁকনা কেন, ষোল আঠারো কুড়ি যা হোক একটা ঘা পড়বেই। তার থেকে রক্ষা করা ভাগ‍্যের জোর। সে যে আমার নেই তা আমি জানি।





মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল