Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

গল্প ।। অসামাজিক ।। সান্ত্বনা চ্যাটার্জি


অসামাজিক


সান্ত্বনা চ্যাটার্জি

শীত আসব আসব।  সূর্য্য অস্তাচলগামী , সন্ধ্যার আগমনে আকাশের মেঘেমেঘে লজ্জার গোলাপি রঙধরেছে। স্রীমতি সুভ্রা সরকার বারান্দায় আরাম কেদারায় বসে মোবাইল হাতে অধীর অপেক্ষায় সময় গুনছে।

মেয়ে রুচিরা অফিস থেকে দেরী করে ফেরে। কাজের মেয়ে কালি ও চলে গেছে।

অবশেষে অপেক্ষার অবসান, মোবাইল বেজেছে। নতুন  প্রেমিকার মতন বুকটা ধ্বক করে উঠল।

হ্যালো, এতো দেরী করলে আজ  …অভিমানের সুর।

আরে আর বোলো না,  আজ  ড্রাইভার আসেনি , মালতী কে কিটী পার্টিতে ছেড়ে আসতে গিয়ে দেরী হয়ে গেল।

আজ কার বাডিতে পার্টি ? অহনা  সান্যাল।

তারপর কি খবর বলো, না না দাঁড়াও , কি শাড়ি পরেছ আজ, সেই আকাশি মলমল ? একবার দেখি তোমায়, হয়াটস এ্যাপের কেমেরাটা খোলো নাএকবার দেখি সুন্দরি প্রেমিকা কে।

খুশীতে ঝলমলে সুভ্রাকে মোবাইলের পরদায় দেখে দীপ্তেন্দু হাল্কা শিষ দিয়ে উঠল। কি ইচ্ছে করছে জানো "! ফোনের এপাড়ে সুভ্রার লজ্জা রাঙা হাসি, যাঃ…।এর পর ধারাবাহিক প্রেমালাপ, দুস্টুমি ভালোবাসা বাসি চলল।তার সংগে কিছু কেচ্ছা কাহিনী । এরা দুজন দূর সম্পর্কের  আত্মীয় ,চেনা জানা আত্মীয় পরিজন ।এক ইসামাজিক রঙ্গমঞ্চের থেকে আসা । উঁচু সমাজের নানান কলঙ্ক , নানান অন্তরঙ্গ গল্প গুজব নিয়ে মনের সুখেসংগে আড্ডা জমে উঠল।

এ সব পরকীয়া সমাজের উপরতলার মানুষের মধ্যে  হরদম হয়ে থাকে । লোকেরা আডালে। হাসাহাসি, কেচ্ছাটিকা টিপ্পনি করে ঠিকই তবু না বোঝার আড়ালটা রাখে।।

ডাক্তার অতীন সরকার বহুদিন দিল্লীর তে ছিলেন।  সুভ্রা ও রুচিরা মাঝে মাঝে কলকাতায় তাদের নিজস্ব চারকামরার ফ্ল্যাট বাড়িতে  এসে ঘুরে যেত । গত বছর ডাক্তার সরকার করোনার শিকার হয়ে প্রাণ হারান। তারপরেসুভ্রা মেয়ের সংগে কলকাতাতেই চলে আসে। দীপ্তেন্দু চিরকাল ই কলকাতার বাসিন্দা।

সময় যে কেমন করে কেটে যায় বুঝতেই পারে না।হটাত বেল বাজার শব্দে ঘোর কাটে যেন। এখন আমাদেররাখতে হবে দীপ্তেন্দু, মনে হচ্ছে রুচি অফিস থেকে ফিরেছে।

দরজা খুলে রুচিরাকে দেখে সুভ্রা বলে আজ এত তাড়াতাড়ি ! আয়  কি দেব, চা না কফি!

কিছু দিতে হবে না মা, আজ সন্ধ্যায় দেবিকার বাড়ি ছোটো খাটো খানা পিনার ব্যাবস্থা করা হয়েছে, রাত টাদেবিকার ওখানেই কাটাব।আমি শুধুমাত্র কিছু দরকারি জিনিষ নিতে এসেছি মা, দাঁড়াও আমার ঘর থেকে নিয়ে আসছি এক্ষুনি।

বিরক্তি চেপে শুভ্রা দরজার কাছে অপেক্ষা করে।  রুচিরা ফিরতেই শুভ্রা বলে, তোর কি কোনও ছেলে বন্ধু নেইনাকি, সব সময় শুধু দেবিকা আর দেবিকা ।

ঠান্ডা চোখে মার দিকে তাকায় রুচিরা! দেবিকার বাড়িতে অনেক ছেলে ও আসবে মা। তোমার প্রবলেমটা কি ? মা, কত বার তো বলেছি আমার এ ব্যাপারে মাথা ঘামিও না ।

তাই বলে কি তুই বিয়ে থা করবি না না কি। দেবিকা কে ছাড় এবার । বুঝিস না কেন, তোদের এই মেয়েতে মেয়েতে ব্যাপার টা সমাজ মোটেই ভালো চোখে দেখেনা। এটা স্বাভাবিক ও নয়।

রুচিরা সরু চোখে মার দিকে তাকায়, বিদ্রুপের সুরে বলে ,তোমাদের মতন প্রেম এক জায়গায় আর বিয়ে অন্যত্র  বাড়ি গাড়ি টাকা চাকরি , সম্পত্তি ,সমাজ  দেখে করব বলছ!

হ্যাঁ সেটাই স্বাভাবিক ।সংসারের ভার হাতে এলে প্রেম ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। প্রেম দিয়ে তো আর সংসার চলে না।

আমাদের সম্পর্কের ও একটা নাম আছে মা, সমকামী আর আমি তার জন্য একটুও লজ্জিত নই।।

তোমাদের মতন সামাজিক প্রাণী আমি হতে পারব না মা।আর  তাছারা  তুমি কবে থেকে সমাজের কথা মেনে চল মা!

তার মানে?

বোকা সেজো না মা, তোমার আর দীপ্তেন্দুকাকার মধ্যে যেটা চলছে সেটাও কি সমাজ ভালো মনে নেবে!

বাবা মারা গেছে এক বছর ও হয় নি, এর মধ্যেই দুজনের…. যাক গে সেটা তোমাদের ব্যাপার, কিন্তু ব্যাপারটাকেউ জানেনা ভেবোনা । তাছাড়া বাবার আর তোমার সম্পর্কের মতন দীপ্তেন্দুকাকা আর মালতীকাকির সম্পর্ক বরফ ঠান্ডা নয় ।এটাও সবাই জানে।

পরকীয়াটাও কিন্তু সমাজ ভালো বলে না।

শুভ্রা বিস্ফারিত চোখে মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে, এ কি তার মেয়ে, চিনতে পারছে না কেন ? গালে হাত দিয়েচেঁচিয়ে ওঠে ছি ছি নিজের গুরুজনদের সম্পর্ক নিয়ে এমন মিথ্যা কথা বলতে পারলি।

সত্যি কি তা তুমিও জানো আমিও জানি মা ।

তাই বলছি তুমি তোমার মতন চল আর আমাকেও আমার মতন চলতে দাও।

শুভ্রার  ভয়ে অপমানে কালো মুখের উপর দরজা বন্ধ করে চলে গেল রুচিরা।।

===============


Santwana Chatterjee
কলকাতা

মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক