শুকনো গোলাপ
অদিতি ঘটক
কলেজ থেকে এসে বই গুলো বার করে খাবার টেবিলের ওপর রেখে দিল রুমনা।
খেয়েই আবার অনার্সের টিউশন--
--"এই এক বাজে স্বভাব মেয়েটার বলে বলেও শোধরানো গেল না।বই গুলো গোছাতে গোছাতে দাদিয়া বলে।"
রুমনা বাথরুম থেকেই চিৎকার করে," 'বনলতা সেন' টা তুলো না বাসে পড়তে পড়তে যাবো।"
---এতো পুরোনো বই তোকে কে দিলো রে রুমাই, পাতা গুলো হলদে হয়ে গেছে---"
"আমার বন্ধু রেহান।রেহান ইসলাম। ততক্ষণে নয়নিকার বইটা খুলে দেখা হয়ে গেছে - শুকনো গোলাপ বনলতা সেন কবিতার মধ্যে। বইটা চেনা। গোলাপটাও। তারপর কত ফ্যাকাসে বিকেল, পাতাঝরা শীত, শ্রীহীন বসন্ত..... বুকটা হু হু করে ওঠে। অনেক আশা ,স্বপ্ন, ভরসায় ভর করে এক কাপড়ে বেরিয়ে যাওয়া সাহসিনী মেয়েটাকে মুখ নিচু করে বাড়ির পথ ধরতে দেখছেন তিনি..... রুমনা ততক্ষনে বাথরুম থেকে বেরিয়ে খাবার টেবিলে এসে গেছে। বলছে, "জানো দাদিয়া বইটা রেহানের বড় দাদুর ছিল। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে উনি বাস একসিডেন্টএ মারা যান।"
---এতো পুরোনো বই তোকে কে দিলো রে রুমাই, পাতা গুলো হলদে হয়ে গেছে---"
"আমার বন্ধু রেহান।রেহান ইসলাম। ততক্ষণে নয়নিকার বইটা খুলে দেখা হয়ে গেছে - শুকনো গোলাপ বনলতা সেন কবিতার মধ্যে। বইটা চেনা। গোলাপটাও। তারপর কত ফ্যাকাসে বিকেল, পাতাঝরা শীত, শ্রীহীন বসন্ত..... বুকটা হু হু করে ওঠে। অনেক আশা ,স্বপ্ন, ভরসায় ভর করে এক কাপড়ে বেরিয়ে যাওয়া সাহসিনী মেয়েটাকে মুখ নিচু করে বাড়ির পথ ধরতে দেখছেন তিনি..... রুমনা ততক্ষনে বাথরুম থেকে বেরিয়ে খাবার টেবিলে এসে গেছে। বলছে, "জানো দাদিয়া বইটা রেহানের বড় দাদুর ছিল। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে উনি বাস একসিডেন্টএ মারা যান।"
নয়নিকার হাত থেকে জলের গ্লাসটা পড়ে চুরমার হয়ে যায়। প্রাণপণ চেষ্টা করে যান চোখের জল আটকানোর। এত বছর ---!
################################
চুঁচুড়া
হুগলি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন