পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৫৭তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪২৯ নভেম্বর ২০২২

ছবি
  সূচিপত্র কবিতা ।। হৈমন্তী জ্যোৎস্নার আবেশে ।। সোমা মজুমদার  প্রবন্ধ ।। হেনরি ভ্যালেন্টাইন মিলার (Henry Valentine Miller) ।। শংকর ব্রহ্ম কবিতা ।। ড্রাকুলা ।। অমিত মজুমদার পুস্তক-আলোচনা ।। পুস্তক: বেগমপুরের ইতিহাস ।। লেখক: ড. দেবব্রত নস্কর ।। আলোচক: অরবিন্দ পুরকাইত নাট্য সমালোচনা ।। মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের নাটক: 'কমলা সুন্দরী' ।। আলোচনা: সুদীপ পাঠক অণুগল্প ।। থাং ফিং ।। চন্দন মিত্র গল্প ।। গল্প নয় ।। গোপা ঘোষ অণুগল্প ।। নতুন নবান্ন ।। রূপা দত্ত চৌধুরী বাংলা সাহিত্যে চির দীপ্তিমান হাসির রাজা সুকুমার রায় ।। পাভেল আমান কবিতা || দয়িতা তোমাকে || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় দুটি কবিতা ।। ঈশিতা পাল কবিতা ।। আকাশ-ঘুড়ি ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। স্বর ।। রহিত ঘোষাল ছড়া ।। খোকার ছবি ।। বদ্রীনাথ পাল গল্প ।। অনাদি বাবুর অভিজ্ঞতা ।। অঞ্জন রায় চৌধুরী কবিতা ।। কন্যা ।। সুশান্ত সেন রম্যরচনা ।। নাম মাহাত্ম্য । । উত্তম চক্রবর্তী ছড়া ।। নবান্ন উৎসবে ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। সামলানো ।। প্রতীক মিত্র গল্প ।। আজের সে দিনটা ।। রণেশ রায় ছড়া ।। নবান্নেরই আকুল সুর ।। সুনন্দ মন্ডল ছোটগল্প

কবিতা ।। হৈমন্তী জ্যোৎস্নার আবেশে ।। সোমা মজুমদার 

ছবি
 হৈমন্তী জ্যোৎস্নার আবেশে   সোমা মজুমদার  ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশার রঙে লেপ্টে থাকা হৈমন্তী  জ্যোৎস্না... ফিকে হয়ে যাওয়া কাশের বনে এখনও ছড়িয়ে যাচ্ছে বন্য মাদকতা...  চরাচর জুড়ে এক অপার্থিব নৈঃশব্দ্য জাগতিক সব নিয়মের কুচকুচে শরীর যেন ডেকে দিয়েছে স্বর্গীয় মখমলি চাদরে। এখন আমি আপন খেয়ালে ইচ্ছে নদী আঁকতে পারি চলাৎ চলাৎ জলের উচ্ছ্বাস মিশিয়ে...  যে অর্কিড গুচ্ছ খোঁপায় পরা হয়নি তাদের দিয়ে অবাক সুখের আহ্লাদে সাজাতে পারি স্বপ্নীল বাসর।  দরজার  পাল্লা এমনই হাটহয়েই থাক্, আমার  রঙচঙে যন্ত্রণায় সাজানো চিলেকোঠায়  রাতভর হাঁড়ি উপুড় করে সুখ ঢালুক হৈমন্তী জোছনা  সে এক অপার্থিব অবিশ্বাস্য সুখের আখ্যান।  দিগন্ত তখন  নুইয়ে আসে  শিয়রের কাছে  ফিনফিনে ঠোঁটের আবেদনে নরম আলোর টকটকে সূর্য টাও নিজেকে সমর্পণ করেছে অনায়াসে  আমার এক মুঠোয় রোদ্দুর এখন,  অন্য মুঠোয়  নক্ষত্রের কোলাহল আর আঁচলে বৃষ্টির গন্ধ শরীর জুড়ে নতুনের উচ্ছ্বাস....।   এই রাতের মাদকতা না কাটুক,  সকালের আলোয় অসহ্য বাস্তবতায় ও  না ভাঙতে পারুক অরণ্যের কপালে মেঘের তিলক পুরানোর সেই  বল্গাহীন সুখের থোকা থোকা আবেশ। যে ফিঙে টি কাকতাড়ুয়ার গায়ে বসে পার করতো বিপন্ন সম

প্রবন্ধ ।। হেনরি ভ্যালেন্টাইন মিলার (Henry Valentine Miller) ।। শংকর ব্রহ্ম

ছবি
  হেনরি ভ্যালেন্টাইন মিলার  (Henry Valentine Miller) (আমেরিকান বিতর্কিত ঔপন্যাসিক)  শংকর ব্রহ্ম ------------------------                  হেনরি ভ্যালেন্টাইন মিলার (Henry Valentine Miller) একজন আমেরিকান ঔপন্যাসিক ছিলেন। তিনি প্রচলিত সাহিত্যি রূপগুলিকে ভেঙে ফেলেন এবং একটি নতুন ধারার আধা-আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস রচনা করেন যার চরিত্র অধ্যয়ন, সামাজিক সমালোচনা, দার্শনিক প্রতিফলন, চেতনার প্রবাহ,  ভাষার স্পষ্টতা , যৌন-আবেদন, পরাবাস্তবাবাদী মুক্ত মেলামেশা এবং রহস্যবাদকে মিশ্রিত করে 'ট্রপিক অফ ক্যানসার', 'ব্ল্যাক স্প্রিং', 'ট্রপিক অফ ক্যাপ্রিকর্ন'এবং 'ট্রিলজি দ্য রোজি ক্রুসিফিক্সন', যা নিউ ইয়র্ক এবং প্যারিসে তার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে রচনা করা হয়েছে (যার সবকটি ১৯৬১ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ ছিল) তিনি ভ্রমণ স্মৃতিকথা এবং সাহিত্য সমালোচনাও লিখেছেন এবং জলরঙে ছবি এঁকেছেন। তাঁর জন্ম -  ২৬শে ডিসেম্বর , ১৮৯১ সালে - Yorkville, Manhattan, New York, U.S.- তে।            মিলার নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনের ইয়র্কভিলে তার পরিবারের বাড়িতে, ৪৫০ পূ

কবিতা ।। ড্রাকুলা ।। অমিত মজুমদার

ছবি
ড্রাকুলা অমিত মজুমদার  শেয়াল দেবতা দেখে তোমাদের বুকে আসে ফাঁকি  গোপনে তাদের শ্রোতা চোরা কুঠুরিতে ভরে রাখি।  সে এক অসুর কোলে মাচা বেঁধে কাছারি দমনে  রেখেছে শরীরে রোগ শ্রোণী কেটে চলনে গমনে।  অচেনা আবেগে ভরা জ্ঞানে বৃক্ষে মাটি মাটি হিয়া  কুপিয়ে বেসুরো মোহে ধামা চাপা যত পরকীয়া।  জটিল হরফে আঁকা বায়োমাসে মুছে রাখে যাতে  আমি ও নবীন শিশু গুটিপোকা পুষে ফেলি হাতে।  তোমাকে সোনার দামে কিনেছে সে রাতের খাবার  বোতলে জমানো প্রেত ছিপি খুলে বেরোবে আবার।  এখানে কামনা করো বারো ভূতে তেরো কাহিনিরা  ঘাড়ের ওপরে এসে একে একে চুষে গেছে শিরা।  ___________________________________ অমিত মজুমদার  গ্রাম - পশ্চিম জগদানন্দপুর ( ভেড়ামারা )  পো - বেথুয়াডহরি জেলা - নদিয়া  পিন -  ৭৪১১২৬ 

পুস্তক-আলোচনা ।। পুস্তক : বেগমপুরের ইতিহাস ।। লেখক : ড. দেবব্রত নস্কর ।। আলোচক: অরবিন্দ পুরকাইত

ছবি
'বেগমপুরের ইতিহাস' :  অনুসরণযোগ্য জন্মগ্রাম-গাথা — অরবিন্দ পুরকাইত আজন্ম যে স্থানে মানুষের শৈশব-কৈশোর কাটে, যৌবন কাটে, তার স্মৃতি সচরাচর অবিস্মরণীয়। যত নগণ্যই হোক না সে স্থান। প্রত্যক্ষভাবে যদি না-ও হয়, আমরণ ছায়াসঙ্গী যেন তা মানুষের! আমাদের ইতিহাসচেতনা বলবার মতো নয়। একাধিক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব এ আক্ষেপ করে গেছেন, বঙ্কিমচন্দ্রের কথা তো স্বত-ই মনে আসে। আমরা এমনকি ইতিহাস নিয়ে ভাবি-ই না তেমন করে! মৌখিক পরম্পরা একসময় হারিয়ে যেতে থাকে আগের প্রজন্মের মানুষের একের পর এক প্রস্থানের সঙ্গে সঙ্গে, তার লিখিত বা অন্য রূপ তেমন ধরে রাখতে না পারার কারণে।        কেবল শৈশব-কৈশোর-যৌবনই নয়, জন্মতক দেবব্রত নস্করের প্রায়-সাতদশকজোড়া জীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে কেটেছে তাঁর ধাত্রী, পালয়িত্রী বেগমপুরে — দুশো-আড়াইশো বছর আগে বর্তমান উত্তর চব্বিশ পরগনার দাড়া গ্রাম থেকে এসে তাঁদের পূর্বপুরুষদের জঙ্গল হাসিল-করা স্থানেই। জন্মভূমির প্রতি দায়বদ্ধতাস্বরূপ লিখেছেন তিনি তাঁর জন্মগ্রামের কথা। বহু মানুষেরই স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ তাঁদের জন্মভূমির সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা। সেই জন্মভূমির প্রতি প্রায় মানুষই ঋণী মনে

নাট্য সমালোচনা ।। মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের নাটক: 'কমলা সুন্দরী' ।। আলোচনা: সুদীপ পাঠক

ছবি
  নাটক 'কমলা সুন্দরী' : নতুন ভাষ্য ও নব উদ্দীপনার দিকচিহ্ন  সুদীপ পাঠক  পনেরো/ষোলো শতকে দ্বিজ ঈশান রচিত গীতিকাব্য ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের নতুন নাটক কমলা সুন্দরী । গোড়াতেই বলতে হবে যে এক ঝাঁক পরিশ্রমী ও উদ্যমী তরুণ তরুণীর উজ্জ্বল উপস্থিতি এই নাট্য নির্মাণের প্রধান সম্পদ । পরিচালক প্রখ্যাত নট ও নাট্যকার শ্রী গৌতম হালদার । তাঁর সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার চেষ্টা বিড়ম্বনা মাত্র । এই নাটকে তিনি যে শুধু পরিচালনার দায়িত্ব সামলেছেন তাই নয় নাট্যরূপ তাঁরই কৃত । এছাড়া মঞ্চ-পরিকল্পনা , আবহসঙ্গীত নির্মাণ ও আলোক সম্পাতের দায় স্বনিয়জিত ভাবে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন ।  কাহিনী অথবা মুখ্য উপজীব্য বিষয় যে নতুন কিছু তা কিন্তু নয় ; বরং বলা ভালো বেশ পরিচিত ও গতানুগতিক । পুরুষ শাসিত সমাজে পুরুষের কামবাসনা ও লোভের শিকার হতে হয় নিষ্পাপ নির্দোষ নারীকে । অদৃষ্টের লিখন স্বরূপ অশেষ দুর্ভোগ পোহাতে হয় । অকল্পনীয় অপমান সহ্য করতে হয় । এক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে । ক্ষমতাশালী কারকুনের নজর পড়ে তারই মনিব কন্যা কমলার ওপর । অধঃস্তন হওয়া সত্বেও সে দুঃসাহস দেখায় ; গ

অণুগল্প ।। থাং ফিং ।। চন্দন মিত্র

ছবি
  থাং ফিং চন্দন মিত্র   সকালবেলা বিলাসবাবু পেপারে চোখ বোলাতে বোলাতে একটা শিরোনামে এসে আটকে পড়লেন।   'থাং ফিং মুভমেন্ট স্টার্টেড বাই ইয়াং চাইনিজ । ' কিছু মানুষ থাকেন সবসময় নতুন কিছু খুঁজে   চলেন। বিলাসবাবু তেমন ধাতের মানুষ। তিনি প্রতিবেদনটির ভিতরে ঢুকে পড়েন। আর পেয়ে   যান মুক্তির পথ। চিনা তরুণতরুণীরা কর্পোরেট সেক্টরের লোভনীয় বেতনের চাকরি ছেড়ে হঠাৎ   হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। তাদের আর চোখ ধাঁধানো ঝাঁ চকচকে শহুরে উন্নাসিক আবহাওয়ায় আটকে রাখা যাচ্ছে না। তারা চলে যাচ্ছে প্রত্যন্ত গ্রামের নিসর্গে, সেখানে হয়তো পাহাড়ের পাদদেশে ঘাসের উপর শুয়ে চিৎ হয়ে আকাশ দেখছে। চিনাভাষায় থাং ফিং শব্দের অর্থ শুয়ে থাকা। না, নিছক খামখেয়ালে তারা এই থাং ফিং বেছে নিচ্ছে না। একবারে সচেতনভাবেই তারা বিকল্প এক যাপনপ্রণালী দেখাচ্ছে। তারা বলছে, তারা আর পুঁজিপতির হাতে রোবটের মতো   নিয়ন্ত্রিত হবে না। তারা বলছে, জীবন মানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা খেটে নিজেকে নিংড়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে ফ্ল্যাট ভরে লোকদেখানো ধনী হওয়া নয়; জীবনের জন্য অবকাশ প্রয়োজন, মুক্তি প্রয়োজন। এই ম

গল্প ।। গল্প নয় ।। গোপা ঘোষ

ছবি
গল্প নয়  গোপা ঘোষ রিতা বেশ কয়েকদিন ধরেই ভাবছে অনিমেষকে বাবুর ল্যাপটপের কথাটা বলবে কিন্তু সাহসে কুলোচ্ছে না। জানে এই কথা নিয়ে বাড়ি মাথায় করবে ওর ঘরের লোকটা। আবার বাবুর দুঃখী দুঃখী মুখটাও মনে ভাসছে। আজ অনিমেষ অফিস যাওয়ার সময় সাহস করে বলেই ফেললো "শোনো তোমাকে ক' দিন ধরেই ভাবছি একটা কথা বলবো"। অনিমেষ চশমার ফাঁক দিয়ে রিতার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে "এত ভূমিকার দরকার নেই মোদ্দা কথাটা তাড়াতাড়ি বলো, আমার দেরি হয়ে যাবে বেরোতে"। অনিমেষের জিজ্ঞাসু দৃষ্টি ছুঁয়ে থাকে রিতার মুখ। রিতা টিফিন বক্স ব্যাগে ভরতে ভরতে বলে "আসলে বাবুর একটা ল্যাপটপ খুব দরকার, এখনকার পড়াশুনা ল্যাপটপ ছাড়া খুব......" অনিমেষ কথাটা শেষ করতে দেয় না। "হ্যাঁ তাতো বটেই, তোমার লায়েক ছেলের আর কি কি লাগবে তার লিস্ট করে দাও, এখনো ওর মোবাইলের ই এম আই কাটা শেষ হলো না, আবার একটা বায়না, আমার দ্বারা ওইসব কেনা সম্ভব নয়, বলে দিও"। অফিসের ব্যাগ কাঁধে আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে অফিসের পথে পা বাড়ায় অনিমেষ। রিতা স্বামীর যাওয়ার দিকে হাত জোড় করে "দুগ্গা দুগ্গা" বলে রান্নাঘরে

অণুগল্প ।। নতুন নবান্ন ।। রূপা দত্ত চৌধুরী

ছবি
নতুন  নবান্ন  রূপা দত্ত চৌধুরী    বৃদ্ধ হেঁটে গিয়ে হাত রাখল অবহেলায় পড়ে থাকা লাঙলটার গায়। কাল রাতে মোড়লের লোক বাড়ি বাড়ি খবর দিল নবান্ন পালন হবে গভর্নমেন্টের  মাঠে।   স্মৃতি খুবই দুঃখের। পুরানো দিনের এক ফসলি চাষ। কার্তিক মাস, প্রায় অন্নহীন পরিবার তবু মনে আশা ধানকাটা শুরু   হবে অচিরেই- তার প্রতি সবার আগ্রহ শুরু হয় ধানের শীষে ঘর ছাওয়া উঠোনে খুঁটি পুঁতে দুধ, কৈ মাছ ছাড়া আর কিছু দিন পরে আমন ধানের গোছা হাতে ধরে কাটার সময়, একটা মিষ্টি আওয়াজ খচ খচ খচ, জমিদারের পেয়াদার ধমকানি।  চাষীর নিজের হাতে কাটা সোনার ফসল গরুর গাড়ি ভর্তি হয়ে চলে যায় জমিদারের গোলায়। ক্লান্ত-অবসন্ন দেহটা নিয়ে কুড়ের উঠোনে এলিয়ে পড়ে বৃদ্ধ । চাষী বৌ ধান কোটার আশায় ঘর বার করে।  আস্তে আস্তে দিন পাল্টায় বছরে তিনবার ট্রাক্টরের ধারালো ফলায় ফালাফালা হয় ধরিত্রী তিনবার ফসল চাই। কিন্তু সেই পুরানো হেমন্তের নতুন চালের পায়েস এর গন্ধে ম ম করা ভাললাগার শিহরণ খুঁজে পেতে চাইছে মন। ====================== রূপা দত্ত চৌধুরী  কনভেন্ট রোড, মৌলালি, শিয়ালদহ  কলকাতা-৭০০০১৪

বাংলা সাহিত্যে চির দীপ্তিমান হাসির রাজা সুকুমার রায় ।। পাভেল আমান

ছবি
    বাংলা সাহিত্যে চির দীপ্তিমান হাসির রাজা সুকুমার রায়  পাভেল আমান                শিশু-কিশোর সাহিত্যে যে কজন বাঙ্গালী এখনো সাহিত্যাকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র তন্মধ্যে সুকুমার রায় অন্যতম। শিশু-কিশোর মনোযোগী সাহিত্য রচনা করে সাহিত্যকে সর্ব জনপ্রিয় তথাপি পাঠকের সমীপে সুষ্ঠু ও সাবলীলভাবে সৃজনশীলতার পরাকাষ্ঠায় পৌঁছে দিয়েছিলেন সুকুমার রায়। পাশাপাশি বাংলা সাহিত্যে তিনি এক অন্য বিশেষনেও মহিমান্বিত পরিচিত হাসির রাজা হিসেবে হাস্যরসাত্মক সাহিত্য রচনার মধ্যে দিয়ে। ৮ থেকে ৮০ আম বাঙালি তার সাহিত্য সৃজনে মুগ্ধ আল্লাদীত প্রফুল্লিত। স্বল্প জীবনের পরিসরে বাংলা সাহিত্য কে পরিপুষ্ট করেছিলেন তার সৃষ্টী সম্ভারে। সাহিত্য বাঙালির সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক বাঙালিরা সাহিত্যকে কদর করে ভালবাসে বেঁচে থাকার রসদ হিসাবে মনে প্রানে আত্তীকরণ করে। বিশেষ করে নির্ভেজাল পরিতৃপ্ত হাসির খোরাক সৃষ্টিতে সুকুমার রায়ের জুড়ী মেলা ভার বাংলা সাহিত্যে।              সুকুমার রায়ের জন্ম ১৮৮৭ সালের ৩০শে অক্টোবর কলকাতার এক দক্ষিণ রাঢ়ীয় কায়স্থ বংশীয় ব্রাহ্ম পরিবারে।সুকুমার রায় ছিলেন বাংলা শিশুসাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুর

কবিতা || দয়িতা তোমাকে || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

ছবি
দয়িতা তোমাকে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় তোমার জন্য পলাশবনে রঙের খেলা আগুন আগুন গন্ধে ভাসে সারাটা দিন ফাগুনবেলা দিঘল বিকেল মনের উড়াল দৃষ্টিসীমা ছাড়িয়ে গিয়ে ঠিকানাহীন। উড়ছে ধুলো পাতার বুকে উদোম বাতাস টান মানে না নিরুদ্দেশের গয়ংগচ্ছ দেয় ছুঁড়ে কোন খালের দিকে কেউ জানে না। পলাশডালে পাখপাখালির খুনসুটিতে মধুর ছোঁয়া শব্দগুলো গান হয়ে যায় পরাগ মেখে ঠোটের বরণ লালের পোঁচে টকটকে আর চোখ যে রাঙায়! বুকের ভেতর স্বপ্নগুলো ব্যাঙের ছাতা অসময়ে ভেদ করেছে বুকের জমিন হু হু ব্যথা পাঁজর কাঁপায় শিনশিনিয়ে কসাইছুরি খুব উদাসীন বাসন্তী রং দিগন্তটা হঠাৎ কালো চাদরে কে কোন সে কেতু করলো বিলীন? যে মুখ দেখে রামধনু গায় বাহার রাগে সহজ খেয়াল সে মুখটুকু কে লুকালো? দু এক কথা শেষ করে পাই দানববধের প্রাণের রসদ জাগলে ভেতর বাহির জাগে লাগে আলো। এমন কালো সবই আড়াল যায় না দেখা কুজ্ঝটিকায় ভালোবাসার আঁকিবুকি ক্লান্ত ময়াল রাতের ঘোরে কুণ্ডলীতে ঘুমিয়ে থাকা শীতের রাতে পাতাঝরার তাপের আশায়। =========================   জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় গোপেশ্বরপল্লি,বিষ্ণুপুর,বাঁকুড়া-৭২২১২২

দুটি কবিতা ।। ঈশিতা পাল

ছবি
দুটি কবিতা ।।  ঈশিতা পাল মিসিং লিঙ্ক কোথাও যেন কিছু একটা নেই Some missing link আমরা সবাই জীবাশ্ম হয়তো কখনো কিছু একটা ছিলাম। এই নেই হয়ে থাকা ভাবনার ঝুলন্ত কার্নিস কেমন মনমরা বিষণ্ণ বিকেল। নীরবতার মধ্যেও কত কথা কত শব্দ- আমি শব্দ কুড়োই রোজ destiny-র  ভোরে। পাখিদের গান অলস দুপুর সব কোলাহল পেরিয়ে নির্জন twilight যেন কত কিছু বলে ভাষাহারা গানের বিকেলে  এসো আবার হাত ধরি এসো আবার আমরা আগের মত কিছু একটা হই। এসো ফুরিয়ে যাবার আগে platonic love আরেকবার।    এ কি আমি! আগে লিখতে বসলেই বাজারচলতি ছন্দ,অন্ত্যমিল আবেগ,বিষয়ভাবনা নিয়ে মাথা চুলকে যেতাম- হঠাৎ কি যে হল! ধাঁ করে কোথায় মাথাটা ঠুকে গেল জ্ঞান ফিরতেই জায়ান্ট হুইলের সওয়ারি। কিছু বুঝতে না বুঝতেই মাথা বন্ বন্ কাঁধ ঝন্ ঝন্- আমি আর আমিতেই নেই সুখ,দুঃখ,অভিমান,বিষাদ,বিচ্ছেদ ভুলে ছুঁচ-সুতো নিয়ে সেলাই করছি উইকএন্ড পার্টি,অবৈধতা,মন্দারমনি রাজনৈতিক কেচ্ছা,জোড়াভুরু,কালোতিল সারেগেমাপা ও চব্য চোষ্য লেহ্য পেয়- আরো কত কি! ধারণা ছিল না এত ট্যারাব্যাঁকা কথা এত সহজ সুরে বাঁধতে পারি, আবার সহজ কথার জটিল অঙ্ক কষতে পারি- 'কথা কম কাজ বেশি' ট্রিম করে কথা বলা ফ্যাশন