নিরঞ্জন মণ্ডল
দুগ্গা গেছেন শ্বশুর বাড়ি চুকিয়ে ধরার পাট
একলা জেগে দিন রাত্তির শতেক নদীর ঘাট
স্মৃতির ভারে ঘোলাট জলে ক্লান্ত ছলছল
তাকিয়ে ধোঁয়াশ আকাশ পানে বইছে কলোকল।
মন ভালো নেই ডিঙার মাঝির তাকিয়ে নীলের পানে
দাঁড় ছপছপ জল ছড়িয়ে বিষাদ বিদায় গানে
বছর জোড়া অপেক্ষাতেই কাটবে তাদের দিন,
হিমেল হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়ে তৃপ্তি অমলিন।
হিমেল হাওয়া দৌড়ে বেড়ায় গঞ্জ শহর গাঁয়ে
বন বাদাড়ে পথ হারিয়ে আমলা মহুল পায়ে
ঠুকছে মাথা, খেরোর খাতা খুলছে শীতের বুড়ি ;
নিম পাকুড়ের হলুদ পাতা বেড়ায় উড়ি উড়ি।
রক্ত ঘামে সাকার করা মূর্তি কারিগর
পাথর বুকে সব হারিয়ে আঁধার করে ঘর
চমকে উঠে হাতড়ে ফেরে অমল আলোর মাস,
দেখছে কেবল ফ্যালফ্যালিয়ে শিশির ভেজা ঘাস।
কোন পরানে আলোয় ভাসে উদাস আকাশ-নীল
বুঝছে না তা গণ্ডি কাটা শ্রান্ত ডানার চিল!
কলমি দামে আলতো নামে অলস বকের ছায়া,
ঝিলের জলের তিরতিরে ঢেউ জাগায় না আর মায়া।
শাপলা শালুক লুকিয়েছে মুখ ঝিলের অতল তলে
জাগছে না আর ছন্দ নিপাট ঝিঁঝির চলাচলে।
শশার মাচায় নড়ছে না আর প্রজাপতির ডানা
পুঁই ডগাটার উঁচিয়ে মাথা এগিয়ে চলা মানা!
হেমন্ত তাই চুপ-স্বরেতে শীতকে পাঠায় ডাক---
ফসল খেতের শূন্যতাতেই আয় পাগলি, থাক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন