ক্রিকেটের ভগবান
আনন্দ বক্সী
মারাঠা উপন্যাসিক পিতা মাতা বিমাকর্মী
রমেশ-রজনি-পুত্র সে যেন ভিন্নধর্মী।
বেঁটেখাটো কোঁকড়ানো চুল লাজুক লাজুক ভাব
ক্রিকেট নিয়ে দেখতো সে যে নিত্য নতুন খোয়াব।
তাঁর ব্যাটের শাসন দেখে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব
আচারেকার গুরুর তিনি অন্যতম শিষ্য।
অজিত দাদার উৎসাহতে ক্রিকেট খেলার শুরু
কিছুদিনের মধ্যে হন ক্রিকেটপ্রেমীর গুরু।
অন্য গ্রহ থেকে যেন আসলেন এই ধামে
দর্শক উদ্বেল হলো শচীন শচীন নামে।
সারদাশ্রম স্কুলের হয়ে দুরন্ত খেলা খেলে
নজরে চলে এলেন তিনি উড়লেন ডানা মেলে।
কাম্বলিকে সঙ্গী করে নজির গড়েন নয়া
ভারত-দলে় খেলতে তাঁর লাগেনি কারও দয়া।
চলাফেরায় চনমনে় সে সক্ষমতায় সেরা
হার না মানা মানসিকতায় জীবনটা তাঁর ঘেরা।
টেস্ট হোক বা ওয়ানডেতে সমরূপ সাবলীল
মনোহরণ ক্রিকেট খেলে জিতে নেন সব দিল।
বুকচিতিয়ে খেলে যেতেন দূরে রেখে সব ভয়
একাগ্রতা-ধৈর্য্য এবং প্রতিভার সমন্বয়।
একশো শতরানে তাঁর সাজানো রানের ঝোলা
মরুঝড়ের কথা ও ভাই যায় কি কখনো ভোলা?
বল হাতেও বহু খেলায় ভেলকি দেখান এসে
হিরোকাপের সেমি' জেতান বল করে পরিশেষে।
নেতৃত্বের বোঝাটা তাঁর ব্যাটিং-এ ফেলে ছাপ
দু-বার নেতা হয়ে ছাড়েন পারেননি নিতে চাপ।
দু'হাজার এগারোয় পান বিশ্বকাপের ছোঁয়া
ক্রিকেট-জীবন অবশেষে হয় যে পুণ্যতোয়া।
তাঁর সাজিতে সাজানো আছে চৌত্রিশ হাজার রান
ক্রিকেট খেলে পেয়েছেন যে একাধিক সম্মান।
'রাজীব খেলরত্ন' পান 'অর্জুন' আসে হাতে
'পদ্মশ্রী'-'পদ্মভূষণ'- 'ভারতরত্ন' সাথে।
শীর্ষে তুলে ধরেন তিনি ক্রিকেট খেলার মান
দর্শকদের কাছে তিনি 'ক্রিকেটের ভগবান'।
ডাক্তার-অঞ্জলি সনে বাঁধলেন গাঁটছড়া
দুই পুত্র-কন্যা তাঁর অর্জুন আর সারা।
রাজ্য সভার সদস্যও হন তিনি এককালে
সুশৃঙ্খল জীবনধারা সবার নজর টানে।
=====================
আনন্দ বক্সী
গ্রাম-বেলিয়াডাঙ্গা, ডাক-দক্ষিণ বারাশত, থানা-জয়নগর, জেলা-দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সূচক-৭৪৩৩৭২
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন