পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৫৯তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪২৯ জানুয়ারি ২০২৩

ছবি
    সূচিপত্র  ======== প্রবন্ধ ।। সাহিত্য, ধর্ম ও বিজ্ঞান ।। রণেশ রায়   কবিতা ।। শুরুর কথা ।। সৃজনী নায়েক কবিতা ।। খোলা জানলা ।। সোমা মজুমদার গল্প ।। বিপিএল স্কলারশিপ ।। বিজয়া দেব ছড়া ।। সেই গ্ৰামটাই ।। বদ্রীনাথ পাল নিবন্ধ ।। প্রকৃত জীবন  ।। অভিজিৎ দত্ত  ছোটোগল্প ।। সমান্তরাল ।। রুচিরা মুখোপাধ্যায় দাস গল্প ।। বুনো কালীর মাঠ ।। অঞ্জন রায় চৌধুরী গল্প ।। নগতা মেয়ের জীবনসঙ্গী ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল গল্প ।। কুয়াশা ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। ভালবাসার মোহে ।। মহা রফিক শেখ কবিতা ।। ভাঙ্গাপলাশ ।। রাজাদিত্য ছড়া ।। পদ্যওয়ালা ।। ক্ষুদিরাম নস্কর  ৩৬ বছর পরে ফুটবল বিশ্বকাপ মারাদোনার দেশে ।। পাভেল আমান ছড়া ।। ঘাম ঝরে দামে ।। সুব্রত চৌধুরী কবিতা ।। জীবন যে রকম ।। বিজয়কৃষ্ণ রায় ছড়া ।। শীতের মজা ।। দীনেশ সরকার গল্প ।। বহুরূপী ।। মিনাক্ষী মন্ডল গল্প ।। অখণ্ড অবসর ।। কুহেলী বন্ধ্যোপাধ্যায় রম্যরচনা ।। অন্য তিন্নির গল্প ।। সোমা চক্রবর্তী অণুগল্প ।। ভিজে বিড়াল ।। পীযূষ কান্তি সরকার গল্প ।। হিসাবে গরমিল ।। মেঘা চ্যাটার্জ্জী কবিতা ।। রাগ দীপক ।। স

প্রবন্ধ ।। সাহিত্য, ধর্ম ও বিজ্ঞান ।। রণেশ রায়

ছবি
  সাহিত্য ধর্ম ও বিজ্ঞান রণেশ রায় আমরা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও তার সাথে প্রাণী জগতকে কেন্দ্র করে মানুষের মনোজগতে যে কল্পকথা কল্পচিত্র সৃষ্টি হয় তা জানি। এই কল্পকথা আর কল্পচিত্রকে দুভাবে ডানা মেলতে দেখি যাদের কেন্দ্র করে সাহিত্য সৃষ্টি হয়ে চলেছে যুগে যুগে। এক হলো ধর্ম আর এক হল বিজ্ঞান। মানব সমাজের আদি পর্বে যখন বিজ্ঞানের তেমন উন্নতি হয়নি বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য মানুষকে এক অজানা শক্তির ওপর বিশ্বাসে আচ্ছন করে রাখত তখন মানুষের কল্পকথা কল্পচিত্র গড়ে ওঠে অজানা সর্বশক্তিমানের কল্পিত রূপ তাঁর ক্ষমতা তাঁর প্রতি ভক্তিকে কেন্দ্র করে। প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনের ভাবনা যে ছিল না তা নয়। মানুষ প্রকৃতির রহস্য বোঝার জন্য পাশাপাশি যুক্তিবাদী পথ গ্রহণ করে। কিন্তু সে সময় ধর্মই মানুষকে তার জীবন যাপন আচার ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করত যা  অতিপ্রাকৃত এক ক্ষমতার অস্তিত্ব স্বীকার করে। সে বিশ্বাস জন্ম দেয় ধর্ম ও ধর্ম আচরণের। সাহিত্য সৃষ্টি হয় ধর্মকে কেন্দ্র করে। রাষ্ট্রক্ষমতা এর পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে এখনও করে। ভারতে যেমন রামায়ন মহাভারতের মত মহাকাব্য সৃষ্টি হয় তেমনি সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাস গড়ে ওঠার সঙ্

কবিতা ।। শুরুর কথা ।। সৃজনী নায়েক

ছবি
 শুরুর কথা সৃজনী নায়েক কাঠপিঁপড়েরা সারি সারি দিয়ে হেঁটে গিয়ে ভেবেছিল খুঁজে পাবে আল্পস, পায়নি... ওদের দলে আমিও ছিলাম, আরেকটু বেশি মদ, আর দুটো বেশি রুটির প্রিভিলেজ ও পেডিগ্রি নিয়ে আমি ভেবেছি, এত সহজেই পার হয়ে যাওয়া যায় কবিদের ছোটোনদী, এখন একগলা সলিল সমাধি, ওপারে গত বছরের লাশ মাটি চাপা দিচ্ছে কাঁটাওলা ঘড়ি, আমি ঘুম...ঘুম... পিঁপড়েরা পাহাড় চড়তে গিয়ে পা ফসকে মরে না, তাই বেঁচে আছি, অথচ দুনিয়ার ভার পিঠে নিয়ে যায় না উপরে ওঠা, চোখ খুলতেই ভরাট কুয়াশা নতুন বছরটাকে মুখে ঠেসে ঢুকিয়ে দিচ্ছে মানুষের, জোর করে ভালো থাকবই রেজলিউশন... আমি জানি শুরুর কথা বলতে বলতেই কখন যে এ বছরটাও ফৌত হয়ে যাবে, পিঁপড়ে বা মানুষ কেউ জানবে না।।                                                        =====০০০=====

কবিতা ।। খোলা জানলা ।। সোমা মজুমদার

ছবি
  খোলা জানলা  সোমা মজুমদার  একা জানালা এক ফালি রোদ্দুর  বিকেলের বাতাসে দোল খাওয়া আমবন ঘাসফুলের ঠোঁট লেপ্টে থাকা  রোদের আদর  নাম জানি না পাখিটার ফুলের সাথে খুনসুটি  আমি জানলার বাইরে চোখ রেখে এমনই করে জগতের মায়াময় রূপসাগরে অবগাহন করি।  সব মেয়েরই একটা খোলা জানলা থাকুক পাহাড়ের হাতছানি,  গোলাপি সুখের উপাখ্যান  কিংবা  সবুজ দ্বীপের সরলতা জানলায় ফেরি করুক নিঝুম সন্ধ্যা।  একচিলতে সময় সুখের আবেশে জড়িয়ে নিয়ে  মেয়েগুলো খানিক না হয় বাঁচুক এই নরক সংসারে।  সব মেয়েরই  একটি খোলা জানলা থাকুক।   ----------------------------- সোমা মজুমদার  আসাম, হাইলাকান্দি  

নিবন্ধ ।। প্রকৃত জীবন  ।। অভিজিৎ দত্ত 

ছবি
  প্রকৃত জীবন  অভিজিৎ দত্ত  পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষ। তাই তার জীবনচর্চায় শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন থাকা দরকার। আমাদের প্রাচীন শাস্ত্রে বলা হয়েছে, 'আত্মনং বিধি' অর্থাৎ  নিজেকে জানো। আবার স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, প্রত্যেকের মধ্যেই রয়েছে অনন্ত সম্ভাবনা। সবই ঠিক। আসল ঠিক হল নিজেকে তৈরী করা বা প্রকৃত মানুষ হওয়া। নিজেকে তৈরী করা বা সঠিক মানুষ হওয়া মুখের কথা নয়।সেই জন্য আমাদের একজন বিখ্যাত মনীষী মন্তব্য করেছেন, মুরগির বাচ্চাকে মুরগি হতে অত কষ্ট করতে হয় না,কিন্ত মানুষের বাচ্চাকে মানুষ করতে গেলে অনেক কষ্ট করতে হয়।যে কোন স্বপ্নকে সফল করতে গেলে যেমন প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়, সেইরূপ প্রকৃত মানুষ হতে গেলে অনেক সংযত ও নিয়মমাফিক জীবনচর্চা করতে হয়। আজ মানুষে, মানুষে এত ভেদাভেদ, হিংসা,খুনোখুনী, পরশ্রীকাতরতা, ব‍্যাভিচার মানুষের শ্রেষ্ঠত্বা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে।আজ মানুষের প্রধান শত্রু মানুষ। আজ মানুষ, মানুষকে বিশ্বাস করতে পারছে না।কেন মানুষের এত অধ:পতন দশা?এর উত্তর নিহিত রয়েছে মানুষের জীবনচর্চার মধ্যেই। উন্নত জীবনচর্চার মধ্যে যে বেড়ে উঠেছে, তার সঙ্গে একজন অনুন্নত জীবনচর্চার মধ্যে বেড়ে উঠ

গল্প ।। বিপিএল স্কলারশিপ ।। বিজয়া দেব

ছবি
বিপিএল স্কলারশিপ বিজয়া দেব      বিপিএল স্কলারশিপ পেয়েছে ইতি। প্রি- মেট্রিক স্কলারশিপ। ৫৫০ টাকা। ক্লাশ দিদিমণি ইতিকে বললেন - তোমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে?  -জানি না দিদিমণি।  -জানিস না মানে?  -শোনো যারা যারা বিপিএল আছো, তোমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নং ইস্কুলে জমা দিতে হবে। এই নং গুলো ইশকুল থেকে আমরা সরকারের কাছে পাঠাব। তারপর তোমাদের অ্যাকাউন্টে ৫৫০টাকা স্কলারশিপ জমা পড়বে। তিনদিনের ভেতর অ্যাকাউন্ট নং জমা করতে হবে।  ইতি ভালো করে বুঝল না ব্যাপারটা। একে ওকে জিজ্ঞেস করল। ওরা কীসব বলল পরিষ্কার হলো না। সে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরল। মাকে পাঠাতে হবে ইশকুলে।  বাড়িতে এখন মা নেই। ঠাকুদ্দা পরমেশ আছে। ডান পা ওর অকেজো। টেনে টেনে হাঁটে। একটু হাঁটলেই হাঁফিয়ে যায়। পথে বেরোয়। গল্পগুজব করে লোকজন পেলে। একে ওকে হাঁক পেড়ে ডাকে। বলে - একটু দাঁড়াও তো। অত ছুডো ক্যান? দুটো কথা না কইলে পরাণডা হালকা হয়? বুকে কথা জইম্যা জইম্যা পাত্থর হয়্যা গেল।  কেউ দাঁড়ায় কেউ দাঁড়ায় না। দাঁড়ালেই বুড়ো দু'চার কথা বলে বিড়ি চায়। বিড়ি পেয়ে গেলে চোখদুটো হাফবোজা করে কী সুখটান! লোকে নাম দিয়েছে - "বিড়ি বুড়ো"। ইত

ছড়া ।। সেই গ্ৰামটাই ।। বদ্রীনাথ পাল

ছবি
সেই গ্ৰামটাই বদ্রীনাথ পাল যে গ্ৰামটাতে মাটির বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি কাঁচা মেঠো পথ গিয়েছে সাপের মতো বেঁকে, ছবি যেন কেউ রেখেছে এঁকে। পুকুর ভরা কালো জলে ভরা শালুক শতদলে ঢেউ তুলেছে ঠিক যেখানে রাজহাঁসেরা এসে, পানকৌড়ি যাচ্ছে ভেসে ভেসে। চাঁদ যেখানে নদীর বুকে করছে খেলা মনের সুখে মন মাতিয়ে ভোরের বেলা বৈষ্ণবী গান করে, আমলকী ফুল পথের পাশে ঝরে। রাতের শেষে সকাল হলে উড়ছে পাখি দলে দলে যে দিকে চাও দেখবে কেবল শ্যামল সবুজ তুমি, সেই গ্ৰামটাই আমার জন্মভূমি।   ----------------------------------------      বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোস্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া।   ----------------------------------------------

ছোটোগল্প ।। সমান্তরাল ।। রুচিরা মুখোপাধ্যায় দাস

ছবি
সমান্তরাল রুচিরা মুখোপাধ্যায় দাস    - "কিগো শুনছো!" দোতলার জানলার বাইরে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অর্ক। তার স্ত্রী বর্ণালী বহুবার তাকে ডেকে চলেছে। অন্যমনস্ক অর্ক বর্ণালীর কোনো কথাই যেন শুনতে পাচ্ছে না! ধীরে ধীরে বর্ণালী এগিয়ে গেল অর্কর কাছে। আলতো ভাবে অর্কর কাঁধে হাত রাখলো। বর্ণালীর হাতের স্পর্শে চমকে উঠলো সে।  - "কখন থেকে ডাকছি তোমায়! এতো টেনশন করোনা!" অর্ক হালকা করে ঘাড় নেড়ে বলল -"হু, বলো।" - "একটু জল কিনতে পারো কিনা দেখো না! এই এক বোতল জলই অবশিষ্ট আছে।"  অর্ক পাশের চেয়ারে আস্তে আস্তে বসল। মোবাইলটা টিপে টিপে আবার দেখতে শুরু করল। কিছুক্ষণ পর বলল  - " কিছু নেই! কিচ্ছু নেই! বর্ণালী! বিগ বাস্কেট, মিল্ক বাস্কেট এভরিথিং ইজ আনঅ্যাভেলেবল !" একটা লম্বা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বর্ণালী বলল - "কি করে এতগুলো লোকের চলবে বলতো!"  ভুঁড়ু কুঁচকে গেল অর্কর। মাথায় হাত দিয়ে ঘাড় নিচু করে চেয়ারে বসে রইল সে।                               মাথায় হাত বুঝি গোটা শহরবাসীর! ক"দিনের আকাশ বন্যায় বিধ্বস্ত শহর। কোথাও গলা ছুঁই ছুঁই আবার কোথাও বুক ছুঁই ছ