Featured Post
প্রবন্ধ ।। সাহিত্য, ধর্ম ও বিজ্ঞান ।। রণেশ রায়
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
সাহিত্য ধর্ম ও বিজ্ঞান
রণেশ রায়
আমরা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ও তার সাথে প্রাণী জগতকে কেন্দ্র করে মানুষের মনোজগতে যে কল্পকথা কল্পচিত্র সৃষ্টি হয় তা জানি। এই কল্পকথা আর কল্পচিত্রকে দুভাবে ডানা মেলতে দেখি যাদের কেন্দ্র করে সাহিত্য সৃষ্টি হয়ে চলেছে যুগে যুগে। এক হলো ধর্ম আর এক হল বিজ্ঞান। মানব সমাজের আদি পর্বে যখন বিজ্ঞানের তেমন উন্নতি হয়নি বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের রহস্য মানুষকে এক অজানা শক্তির ওপর বিশ্বাসে আচ্ছন করে রাখত তখন মানুষের কল্পকথা কল্পচিত্র গড়ে ওঠে অজানা সর্বশক্তিমানের কল্পিত রূপ তাঁর ক্ষমতা তাঁর প্রতি ভক্তিকে কেন্দ্র করে। প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনের ভাবনা যে ছিল না তা নয়। মানুষ প্রকৃতির রহস্য বোঝার জন্য পাশাপাশি যুক্তিবাদী পথ গ্রহণ করে। কিন্তু সে সময় ধর্মই মানুষকে তার জীবন যাপন আচার ব্যবহারকে নিয়ন্ত্রণ করত যা অতিপ্রাকৃত এক ক্ষমতার অস্তিত্ব স্বীকার করে। সে বিশ্বাস জন্ম দেয় ধর্ম ও ধর্ম আচরণের। সাহিত্য সৃষ্টি হয় ধর্মকে কেন্দ্র করে। রাষ্ট্রক্ষমতা এর পৃষ্ঠপোষকতা করে এসেছে এখনও করে। ভারতে যেমন রামায়ন মহাভারতের মত মহাকাব্য সৃষ্টি হয় তেমনি সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাস গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তাকে কেন্দ্র করে সাহিত্য সৃষ্টি হয়।
বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্যের আঙ্গিকে যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমনি মানুষের কল্পলোকে পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবন বোধে পরিবর্তন আসে। মানুষ প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনের সঙ্গে সঙ্গে জীবনকে অন্যভাবে ভাবতে শুরু করে। মানুষের জীবন ধারণ আচার আচরণে পরিবর্তন আসে। সাহিত্য সৃষ্টির উপাদান বিস্তৃত হতে থাকে। এর প্রভাব পড়ে গল্প প্রবন্ধ কবিতা উপন্যাসে। ধর্ম আর বিজ্ঞান এই দুটি ডানা পরস্পর পরিপূরক হয়ে সাহিত্য জগতে সাহিত্যিককে উড়তে সাহায্য করে না সবসময়। বরং তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা যায়। এই বিরোধের মধ্যেও অনেকে সমন্বয়ের সূত্র খুঁজে পাবার চেষ্টা করেন। এক ধরনের সংস্কারবাদের জন্ম হয়। বিজ্ঞানের উন্নতি সাহিত্যকে প্রগতিশীল করে তুলে মানুষের মননে আলোর রেশমি ছড়িয়ে দেয়। মানুষকে যুক্তিবাদী হতে সাহায্য করে। এটা শাসক গোষ্ঠী চায় না। তাই দেখা যায় বৈজ্ঞানিক ও সাহিত্যিকের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হোক তা তাদের কাম্য নয় । সাহিত্যিকের যুক্তিবাদী ভাবনাকে রাষ্ট্র শক্তি প্রয়োগ করে দমিয়ে রাখতে দেখা যায়। মানুষকে ধর্মে আচ্ছন্ন রেখে সাহিত্য সেবার যুক্তি দাঁড় করানো হয়। সমন্বয়পন্থীরা ধর্মের মধ্যে বিজ্ঞানের সূত্র নিহিত আছে বলে মনে করেন। যেমন মহাভারতের কাব্যগ্রন্তে যে পুষ্পক রথের উল্লেখ আছে সেটা মানুষের কল্পনায় আকাশ পথ আবিষ্কার আকাশ যান আবিষ্কারের উপাদান যোগায় বলে বলার চেষ্টা করেন। মনে করা হয় রামায়ণ মহাভারণ রূপক ধর্মীয় মহাকাব্য । মহাভারতে অসুর হলো অশুভ শক্তির প্রতীক দেবী দুর্গা শুভ শক্তির প্রতীক। তাঁদের মতে দেবী পূজার মাধ্যমে শুভশক্তির প্রতি মানুষের আনুগত্য প্রকাশ করা হয়। সমন্বয়পন্থীরা ধর্মীয় ধারণাকে বিজ্ঞানের আলোচনায় উপমা হিসেবে ব্যবহার করেন। যেমন আচার্য জগদীশ বোসের ভাগীরথীর উৎস সন্ধানে লেখাটি এমনই একটি অসাধারণ লেখন যেখানে আকাশের মেঘকে শিবের জটা বলে উপস্থাপন করা হয়েছে। আজন্ম চর্চিত ধর্মীয় ভাবনার মোড়কে বিষয়টাকে বুঝতে সুবিধা হয়। তবে দেখা যায় সভ্যতার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কল্পকথা কল্পচিত্র গড়ে তোলায় বিজ্ঞানের আবিষ্কার বিজ্ঞান চর্চা বিশেষ ভূমিকা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। আজকের রহস্য গল্প উপন্যাসের সঙ্গে বিজ্ঞানভাবনা ওতপ্রোতভাবে যুক্ত হয়ে পড়েছে। সাহিত্যে নির্মাণ বিনির্মাণের কাজটায় বিজ্ঞান মানস বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। মানুষের জীবন বোধে পরিবর্তন হয়ে চলেছে যা সাহিত্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সাহিত্যের বিষয়বস্তু তার আঙ্গিকে পরিবর্তন হয়ে চলেছে।
সাহিত্যের সঙ্গে দুই মেরুতে অবস্থিত দুটি ডানার প্রভাব সেই প্রাচীন সাহিত্য সৃষ্টি কাল থেকেই দেখা যায়। সেই অনুযায়ী দুই ধারার সাহিত্য সৃষ্টি হয়। একটি হলো সৃষ্টি কর্তার তথা ভগবানের গুণকীর্তনকে কেন্দ্র করে সাহিত্য আরেকটি হলো প্রকৃতির রহস্য উন্মোচনে তার কার্যকারণ বুঝতে চেষ্টা করার যে সাধনা তাকে বেষ্টন করে যে সাহিত্য তা। প্রথমটি এক ধরনের অজ্ঞতাবাদকে মদত করে।আর এর উদ্ভব মানুষের অজ্ঞতার জন্য সর্বশক্তিমান কারও অস্তিত্ব কল্পনার থেকে। তাই এই সাহিত্য অস্তিত্ববাদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে।আর রাজতন্ত্রে রাজাকে সর্বশক্তিমান প্রেরিত দূত বলে মনে করা হয় বলে এ ধরণের সাহিত্যে ভগবান প্রেরিত রাজার গুনগান গাওয়া হয়। আবার রাজার প্রতিনিধি পুরোহিত নবী বা পাদ্রির উপাসনা করতে দেখা যায় এ ধরনের সাহিত্যে। দেখা যায় রাষ্ট্র নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখার জন্য ক্ষমতাকে ব্যবহার করার জন্য এই ভাবধারায় যে আনুগত্য বোধের জন্ম হয় তাকে মদত করে। সাহিত্যিক যারা দেবতা বা রাজার আনুগত্য স্বীকার করে তাকে সাহিত্যে ভজনা করে তারা স্বর্গে দেবতার দরবারে বা মর্তে রাজ দরবারে দর পায় আশ্রয় পায়। অন্য ভাবে বলা চলে রাজপ্রসাদ থেকে বঞ্চিত হয় না।
অন্য এক ধরনের সাহিত্যিক তাদের সাহিত্য বিপরীত চূড়ান্ত মেরুতে অবস্থান করে। অতিপ্রাকৃত শক্তির অস্তিত্ব স্বীকার করে না, যুক্তি তর্ককে আশ্রয় করে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। সেইভাবে তাদের মননে কল্পকথা কল্পচিত্র সৃষ্টি হয়। তাকে কেন্দ্র করে সাহিত্য সৃষ্টি হয়। তাদের সৃষ্ট সাহিত্যকে নাস্তিবাদী সাহিত্য বলে গণ্য করা হয়।
ওপরের আলোচনায় দেখি সাহিত্য জগতে দুধরনের সাহিত্য ও সাহিত্যিক দেখা যায়। অস্তিবাদী আর নাস্তিবাদী বা নাস্তিক সাহিত্য ও সাহিত্যিক। এই দুই চুরান্তবাদিদের মধ্যে বিরোধ লাগাতার। প্রথম ধারার সাহিত্য চর্চা দীর্ঘদিন যুগের পর যুগ রাষ্ট্রের পৃষ্টপোষকতা পেয়ে আসে যতক্ষণ তারা দৈব শক্তিতে বিশ্বাস করে রাজতন্ত্রের অনুগত থেকে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজতন্ত্রের পতনের সূত্রপাত হয়, বিজ্ঞান মনস্কতা মানুষের জীবন যাপন ভাবনা চিন্তায় পরিবর্তন আনে। যুক্তিবাদের বিকাশ ঘটতে থাকে,আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসে। মানুষের ধর্মবোধেও পরিবর্তন আসতে থাকে। আনুগত্যের ভাবনার জায়গায় অধিকারের ভাবনা দানা বাঁধতে থাকে। ধর্মের প্রতি রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য দূর হতে থাকে। এর ফলে সমাজে শোষক শাসকের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যে বিরোধ তা তীব্রতর হয়। সাহিত্যে তার প্রতিফলন ঘটে। সাধারণ মানুষের জীবনের অধিকার স্বীকৃতি পেতে থাকে।
সাবেকি অস্তিবাদী সাহিত্য চর্চা ভেঙে আজকের নাস্তিবাদী সাহিত্য চর্চার বিকাশ একদিনে ঘটেনি। বিবর্তনের প্রক্রিয়ায় ঘটেছে কারণ মানুষের অতিপ্রাকৃত শক্তির প্রতি বিশ্বাস ও আনুগত্য একদিনে উবে গিয়ে মানুষ বিশুদ্ধ যুক্তিবাদী হয়ে যায় নি। আজও যে মানুষটা যুক্তিবাদের ওপর আস্থা রাখে নাস্তিক ভাবনার সহমর্মী সেও একই সঙ্গে সনাতনী মননের অধিকারী অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার ওপর আস্থা রাখে। সাহিত্যিক বৈজ্ঞানিকদের ক্ষেত্রেও সেটা সত্যি। ধর্মে বিশ্বাসী মানুষদের মধ্যে সাধারণ মানুষের স্বার্থে ধর্মকে অনুসরণ করার নীতি কাজ করে। লোকসাহিত্য লোকগীতির চর্চা বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। লোক সাহিত্যকে ধর্মাচরণ এর সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা যায়। মানুষের অধিকার বোধ এর মধ্যেই বিশেষ জায়গা পায়। সনাতনী ধর্মচেতনা বদলায়। এরই মধ্যে অর্থনীতির কাঠামো বদলায়। রাজনীতি নতুন ভাবনায় ভাবিত হয়। সংস্কৃতির জগতে পরিবর্তন আসে। পুঁজিবাদের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিবাদের বিকাশ ঘটে। বাজার অর্থনীতি বাজারে বাজারে একধরনের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়। সেই স্বাধীনতা পুঁজিবাদের বিকাশের শর্ত । সেটা হল বাজারে কেনা বেচার স্বাধীনতা।পুঁজি ও সম্পত্তির ওপর ব্যক্তির মালিকানা অধিকারের স্বাধীনতা। রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রাশ টানা হয়। একে কেন্দ্র করে গণতন্ত্রের দর্শন গড়ে ওঠে। সব ধরনের ভাবনা চিন্তার সহ অবস্থানের কথা বলা হয়। এর প্রভাব পরে সাহিত্যেও। রাজতন্ত্রের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে আর যুক্তিবাদের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে আনুগত্যের ভাবনার জায়গায় বিরোধিতা করা বিদ্রোহ করার ভাবনা চিন্তা বিশেষ স্বীকৃতি পেতে শুরু করে। সাহিত্য চর্চায় এর প্রভাব দেখা যায়। সাহিত্য রাজ দরবার থেকে জনতার দরবারে এসে পৌঁছায়। ধর্মের আনুগত্যের অনুশাসনে সাহিত্য বাঁধা পড়ে থাকে না। প্রযুক্তির বিকাশের তাগিদে ধর্মের অনুশাসনের বিরোধীতা করতে হয় নতুন পুঁজিবাদী ভাবনার ধারক ও বাহকদের। এই প্রসঙ্গে পুঁজিবাদের বিকাশের লগ্নে ইউরোপে যে নবজাগরণ তথা রেনেসাঁস ঘটে তার উল্লেখ করতে হয়।কার্যত এই নবজাগরণ মানুষের চিন্তাভাবনার বদলের সঙ্গে সঙ্গে শিল্প সাহিত্য জগতে এক বিপ্লব আনে যাকে সাংস্কৃতিক বিপ্লব বলা যেতে পারে।সনাতনী ধর্ম ভিত্তিক আনুগত্যের ভাবনার জায়গা নেয় যুক্তিবাদ। পুরোনোকে সরিয়ে দখল নেয় নতুন। অর্থনীতি রাজনীতির ক্ষেত্রে যে বিপ্লবী বদল আসে তাকে মদত করে নতুন ভাবনা নতুন চেতনায় গড়ে ওঠা শিল্প সাহিত্য। মানুষের জীবন যাপনে অন্ধ ভক্তিবাদের প্রভাব কমে যুক্তিবাদের প্রভাব তার জায়গা নেয়।নতুন রাষ্ট্র ক্ষমতা তখন এই নবজাগরণকে স্বাগত জানায় কারণ বাজারের অর্থনীতির বিকাশের স্বার্থে একটা বৃহত্তর সামাজিক পরিসর দরকার ছিল।একই সঙ্গে দেখা যায় হাজার হাজার বছরে গড়ে ওঠা বিশ্বাস অবলুপ্ত হয় না। সে নতুন মোড়কে টিকে থাকে। ধর্ম চর্চার ধরন বদলাতে থাকে। নাস্তিবাদের প্রভাব বিশেষ করে ইউরোপে ব্যাপক ভাবে দেখা যায়।পরিবার সমাজজীবনে মানুষের আচার ব্যবহারে পরিবর্তন আসে। সাহিত্যে প্রকৃতি প্রেম মানব প্রেম বিশেষ গুরুত্ব পায়।তবে রাষ্ট্র নতুন পুঁজিবাদী শোষণ ব্যবস্থাকে নতুন ভাবে টিকিয়ে রাখে বলে সমন্বয়পন্থীরা সাহিত্য জগতে বিশেষ স্থান পায়। রাষ্ট্র নাস্তিবাদকে বেশিদূর সহ্য করে না। তাদের ওপর নিপীড়ন বজায় থাকে যা একচেটিয়া পুঁজিবাদের যুগে ফ্যাসিবাদের জন্ম দেয়। এরই মধ্যে সাহিত্যে নতুন ধরনটা জমি পায় যা মানুষের অধিকারের প্রশ্নটাকে সামনে নিয়ে আসে।এই বিষয়টাও একদিনে উঠে আসেনি দীর্ঘ বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে তাকে এগোতে হয়েছে। পুঁজিবাদের উন্মেষেটাও বিপ্লবী চরিত্র পায়। ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে উঠে আসে মার্কসবাদী চিন্তা যা সাহিত্যকে সমাজতন্ত্রের বিকাশের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
দেখা যায় সারা পৃথিবীতে চিরকাল প্রগতিশীল দার্শনিক সাহিত্যিক বৈজ্ঞানিকদের ওপর রাষ্ট্রের দমন পীড়ন। এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রের চোখে দেশবিরোধী সন্ত্রাসবাদী জেলে বন্দী অধ্যাপক কবি গলকন্ড নাগা সাইবাবার লেখা বইতে তিনি লেখেন:
Memories abound,
the tracks of history.
Socrates was given a glass of hemlock,
Galileo was walked to the gallows
for mapping the skies,
for defying the idea of the sun going around the earth.
Hikmet was incarcerated,
for the Turkish soldiers
read his poems hidden
under their pillows in army barracks.
Faiz faced the death sentence,
as he sang paeans of labouring hands.
(দ্রষ্টব্য: ‘Why Do You Fear My Way So Much? Poems and Letters from Prison'.
G N Saibaba)
এর বাংলা করলে দাঁড়ায়:
দার্শনিক সক্রেটিসকে বিষপানে হত্যা করা হয়।
বৈজ্ঞানিক গ্যালিলিওকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়
কারণ তিনি আকাশের মানচিত্র এঁকেছিলেন
বলেছিলেন সূর্য পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে না।
সৈনিক কেকমেটকে বন্দী রাখা হয়
তিনি গোপনে রাখা কবিতা পড়তেন ।
মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় ফইজকে
তিনি মেহনতি মানুষের হাত এক করতে চেয়েছিলেন।
আমরা দেখি আজ ভারতে তারই পরম্পরা। সরকার বদলায় কিন্তু রাষ্ট্রের চরিত্র অপরিবর্তনীয় সে যেই আসুক ক্ষমতায় কারণ এ রাষ্ট্র হল শোষকের হাতে শোষণ নিপীড়নের যন্ত্র।
- লিঙ্ক পান
- X
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন