Featured Post

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

ছবি
   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন:  'লেখাটি স্বরচিত ও অপ্রকাশিত'। মেল আইডি :  printednabapravat@gm

গল্প ।। কুয়াশা ।। প্রতীক মিত্র

কুয়াশা

প্রতীক মিত্র


কুয়াশায় কিছু দেখা যাচ্ছে না।ট্রেন সব লেট।নইলে এতক্ষণে নন্দনের হাওড়া পৌঁছনো হয়ে যেত।পরের ট্রেনের যাত্রীরা হাজির। তাদের মধ্যে অন্তরাও ছিল।ও সাধারণত এইসময়ের ট্রেনটাই ধরে। বরের অফিসে খুব চাপ।বেরোনোর সময় ব্যস্ততা বরের যতটা তার চেয়ে কিছু কম নয় ওর। চুল ঠিকঠাক বাঁধতে পারেনি।কানে যে মাফলার জড়িয়েছে সেটাও খুলে খুলে যাচ্ছে। ভাবছিল ব্যাগ খুলে কোল্ড ক্রিমটা মাখবে কিনা, তখনই নন্দনের সাথে চোখাচুখি হয়।অন্তরাতো আর জানে না নন্দন এর আগে একবার অন্তরাকে দেখেছে।দেখার পর থেকেই বেশ দ্বিধাগ্রস্ত হয়েছে।বুঝতে পারেনি কি করবে।তুমুল শীতেও ঘেমে-নেয়ে হয়েছে একাকার। এখনও চোখাচুখি হতে চোখ ঘুরিয়েই নিয়েছিল সে।অন্তরাই তড়িঘড়ি করে ওকে 'সোনাই' বলে ডাকাতে নন্দন বেচারা উত্তর দিতে কতকটা বাধ্যই হল। যদিও নন্দনের অস্বস্তি ছিল দেখার মতন। এলাকা ওর।লোকে চেনে।অন্তরা এখানকার নয়।তারওপরে দেখতে শুনতে ভালো। সে এইভাবে ওর ডাকনাম ধরে ডাকলে লোকজনের কৌতুহল হতে পারে বইকি।ছোট্ট মফস্বঃল।সবাই যে সবাইকে চেনে।যারাই ট্রেনে ওঠে বা উঠছে টুকটাক তাদের অনেকেই ওকে চেনে। নন্দন সত্যিই আকাশ থেকে পড়েছে।ওদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর নন্দন আর কোনো যোগাযোগ রাখেনি।বেরিয়ে গেছে ফেসবুক ইত্যাদি থেকেও যাতে না অন্তরা কিছু জানতে পারে।ও নিজেও অন্তরা সম্বন্ধে সব কৌতুহল চেপে গিয়েছিল ফলে জানতেও পারেনি যে ওর বিয়েই হয়েছে শুধু হয়েছে তা নয় সেটা হয়েছে ওর এলাকাতেই।আর অন্তরাটাও কেমন!যার কারণে রাগ-অভিমান করে এমন মেঠো জায়গায় বিয়ে করে হেলায় চলে এল বাড়ির কথায় সেই অন্তরাই বা কি করে যেচে কথা বলে ফেলে নন্দনের সাথে! নন্দন এক ঝলক অন্তরাকে দেখে যা বুঝলো যে সে বেশ খুশিই আছে।যেমন নন্দনকে দেখেও অন্তরার মনে হল খুব ফোকাসড। বাস্তবটা যদিও অন্য। অন্তরা এখন চলেছে বেলুড়।শপিং মলে।ওখানে সময় কাটাবে।অনেকটা।শ্বশুড় বাড়িতে ওর এক মুহুর্ত ভালো লাগে না।শ্বাশুড়িকে দেখার জন্য একটি মেয়ে আছে।ওর বিয়ের আগে থেকেই আছে।ওর বরের সাথে যেরকম ঢলানেপনা করা তাতে তো ওর মনে হয় মেয়েটির বরের ইতিমধ্যে বেশ ক'বার শয্যাসঙ্গীনী হওয়া হয়ে গেছে।নন্দনও মানসিকভাবে ভালো নেই।ছাড়াছাড়ির পর।তারপর ঠিক এই মুহুর্তেতো খুবই খারাপ অবস্থা ওর।অন্তরাকে অমন সাজে দেখে ও প্রথমে কামুক হলেও পরক্ষণেই মনটা ওর ভেঙে যায় এই ভেবে যে ও অন্য কারো। অন্তরাও যেমন বাচাল যদি মুখ ফসকে এটা বলে দেয় যে ওর বরের সাথে ওর ফুলশয্যে এখনও হয়নি এমনকি বিয়ের বয়স এক বছর হয়ে গেলেও! না কেউই তেমন মুখ খোলেনি।হৃদয়ের কথা যেমন নীরবতায় চাপা পড়েছিল তেমনই রয়ে গিয়েছিল। ঠান্ডাটা বেশি পড়েছিল বলেই কিনা কে জানে।দু'জনে দু'কাপ দুধ চা খেয়ে নিল।তাতে অন্তরার হয়তো অম্বল হবে, অফিস ঢুকতে দেরি হবে নন্দনের।তবু…ফোন নম্বর দেওয়া-নেওয়ার কথাটা নন্দনের মনে হয়েছিল। ওর দৃঢ়তার ভানের মধ্যে করূণ আবদার যথেষ্ট চোখে পড়েছিল অন্তরার।তবে দু'জনের ছাড়াছাড়ির মধ্যে দোষ যেহেতু নন্দনের মত ওরও ছিল তাই এই বিচ্ছেদের শাস্তিটাকে ও মাথা পেতেই নিল। তারপর নম্বরের প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে ও দুরে কুয়াশায় যে কিছু দেখা যাচ্ছে না সেটার কথা মনে করালো নন্দনকে। ট্রেন এলো। অন্তরা দুম করে লেডিস কামরায় উঠে গেল। নন্দনও চায়ের পয়সা দিতে দিতে ট্রেনে ওঠবার সময় ভাবছিল ওই কুয়াশারই কথা।
 
====================

প্রতীক মিত্র
কোন্নগর-712235, পশ্চিমবঙ্গ


















































































































মন্তব্যসমূহ

জনপ্রিয় লেখা

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৭৯তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮০তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩১ অক্টোবর ২০২৪

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

"নবপ্রভাত" ৩০তম বর্ষপূর্তি স্মারক সম্মাননার জন্য প্রকাশিত গ্রন্থ ও পত্রপত্রিকা আহ্বান

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

মুদ্রিত নবপ্রভাত উৎসব ২০২৩ সংখ্যার ডাউনলোড লিঙ্ক